পর্বঃ ৩০

74 6 2
                                    



শুভ এবার কাপড় গুলো তুলে মুরিয়ে মুড়িয়ে আলমারিতে তুলতে লাগলো আর তিশা আবার কাপড় বের করতে লাগলে শুভ হেচকা টানে তিশাকে আলমারির সাথে চেপে ধরে রাগি দৃষ্টিতে দাঁতে দাতঁ চেপে তিশার দিকে তাকায়।

- আমার কথা তুমি শুনতে পাচ্ছো না? নাকি কানের নিচে দিয়ে শোনাতে হবে?
- আমি কি করলে আপনি খুসি হবেন স্যার প্লিজ কাইন্ডলি বলবেন? আমি বাসায় থাকলেও আপনাদের সমস্যা আবার বাসা থেকে চলে যেতে চাইলেও আপনাদের সমস্যা কি করবো আমি বলবেন?
- আমি কিছু জানতে চাই না তুমি বাসা থেকে যাবেনা ব্যাস।

কথাটা বলেই শুভ তিশাকে ছেরে দিয়ে লাগেজ টা তুলে ফ্লোরের অন্যদিকে ছুরে ফেলে দেয়।

- আমাকে তো যেতেই হবে।
- ( তিশাকে আবার আলমারির সাথে আটকে নেয়) আমি বলিনি তুমি কোথাও যাবে না? তো যাবেনা। আমার কথার অবাধ্য হলে তোমার কপালে কিন্তুু দুঃখ আছে বলে দিচ্ছি।
- কি ব্যাপার স্যার আমাকে তুমি করে বলছেন? আপনার ইরা জানলে কষ্ট পাবে না?
- সবাইকে নিয়ে তো তোমার কোনো মাথা ব্যাথা ছিলোনা? আজ কেনো এমন করছো?
- সেটাই স্বাভাবিক।
- কোনোকিছু স্বাভাবিক নাই তুমি বুঝতে পারছো না তুমি তখন যা কিছু দেখেছো.....
- আমি কিছু শুনতে চাই না। আপনাদের প্রেমলীলা আমি কিছু শুনতে চাই না। প্লিজ ক্ষমা করুন।
- আমার কথাটা শোনো ইরা জোর করে আমায়.....
- সেটা আপনাদের ব্যাপার স্যার আমার কোনো ইচ্ছা নেই জানার। প্লিজ আমায় ছারুন স্যার।
- কেনো ছারবো?
- কেনো ছারবেন না?
- আমার অধিকার আছে তাই।
- তাই?  কিসের অধিকার?
- কেনো জানোনা???
- কই না তো জানিনা।
- টেনে ঠাস করে চড় মেরে তোমার গাল ফাটিয়ে দিবো।
- হুহ পারেন তো ওইটাই।
- আমি কি পারি দেখতে চাও তুমি? সেই সাহস টা রাখো নিজের কাছে?
- না আমি কিছু দেখতে চাই আর না কিছু শুনতে চাই। আপনার যা কিছু দেখানো বা শোনানোর হয় আপনার ইরার কাছে গিয়ে শোনান।

তিশা শুভর কাছ থেকে নিজেকে ছারিয়ে নিয়ে ঠাস করে দরজা খুলে বের হয়ে আসে।

- তিশা? (শুভর মা)
- হুম আম্মু?
- কাল আশা আর তুই যেনো বাসা থেকে বের হস না।
- কেনো আম্মু?
- কাল কি যে বাড়ি থেকে বের হতে পারবো না?(আশা)
- সময় হলে জানবি। এতো কিছু জানার প্রয়োজন তোর নেই এতোটা বড় হসনি।
- বাহ্বা আমি আবার কি বললাম? আমি তো জাস্ট শুনলাম। আচ্ছা আমায় কি পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে? আসলে কিন্তুু ভালোই হবে এত পড়া আর ভালোলাগেনা হিহিহিহিহি।
- তবে রে বদমাইশ।

বউ - Wife  | √Where stories live. Discover now