পর্বঃ ৩১

45 4 0
                                    




- তিশা আমার কথা শোনো মাথা খারাপ করোনা আমার যাও। যাবেনা তুমি?
- না।
- ওকে।

শুভ তিশার শাড়ির আচল ধরে টান মারতেই তিশা শুভর হাত খামচে ধরে।

- আ,আমি যাচ্ছি।
- go now
- উড়ে যাবো নাকি? ছারবেন তো নাকি? ধুর ভালো লাগেনা।
- কি ভালো লাগে? সবাইকে নিজের শরীর দেখাতে?
- কেনো? আপনার ইরা তো এইভাবেই শাড়ি পরে তাহলে কি ও শরীর দেখাতো? আচ্ছা তা হলে ওর সাথে রিলেশন করেছিলেন কি ভাবে? আচ্ছা রিলেশন করলেও তাকে বারন করেন নি কেনো? নাকি তাকে ভালোবাসেন আর আমাকে ভালোবাসেন না বলে নাকি?
- চুপ একটা কথা না,গিয়ে চেন্জ করে নাও।
- কেনো চুপ করবো হ্যা? কেনো চুপ করবো? হুহ আমার ও দিন আসবে দেখে নিবো আপনাকে।

তিশা রাগে গজগজ করতে করতে ওয়াসরুমে ঢুকে পরে।তিশা এখন সবুজ রং এর সুতি শাড়ি পরে বের হয়েছে আর বেশ মার্জিত ভাবেই পরে আছে। তিশা দুদিকে দুহাত টান করে দিয়ে শুভর সামনে দাড়ায়।

- এবার ঠিক আছে?
- হুম,শাড়িটা ঠিক আছে বাট এভাবে পরেছো কেনো?
- এটা তিশার স্টাইল।
- হাহাহাহাহা  স্টাইল? এভাবে শাড়ি পেচিয়ে পেচিয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত জরিয়ে স্টাইল? হাহাহাহাহা
হেহেহেহেহে হোহোহোহো

এক দিকে দুবার শাড়ি পড়া তার পরে আবার তিশা শাড়ি পরতে পারে না তার পরে শুভর হাসি দেখে তিশা আর নিজের রাগ কন্ট্রল করতে পারে না।

- ( দৌড়ে গিয়ে শুভর কলার টেনে ধরে) চুপ একদম চুপ।আমার যা ইচ্ছা তাই করছি তোর কি? তুই যা তোর ইরার কাছে ওকে আগে শাড়ি পড়ানো  শিখা তারপর আমার কাছে  আসিস। বদপোলা কোথাকার, দাত দেখানো হচ্ছে? মেরে তোর দাত ভেঙে দিবো।

এর মধ্যে ইরা এসে দরজা ধাক্কা দিতে থাকে।

- যা এসে গেছে তোর ইরা শাকচুন্নি কোলে নিয়ে গাছে ঝুলে পর রাক্ষস একটা। নয়তো ফিডার হাতে নিয়ে গিয়ে মুখে ঢুকিয়ে দে সব সময় ম্যা ম্যা ম্যা অসহ্য।

বলেই তিশা শাড়িটা পেচিয়ে গুটিগুটি পায়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।

বউ - Wife  | √Where stories live. Discover now