পড়ন্ত বিকেলে সূর্য যখন পশ্চিম গগনে ডুব দেয়। তখন ক্লান্ত বিকেলের গল্প শুনাতে নামে সন্ধ্যা।গোধূলি আকাশে আস্তে আস্তে নামে আধার। এক সময় শুরু হয় তারাদের লুকোচুরি। রাতের আকাশে তখন মিটমিট করে জ্বলতে শুরু করে অসংখ্য তারা,জানান দেয় তাদের অস্তিত্ব।তেমনি এক তারা ভরা রাতে শুয়ে আছি আমি, না আমরা ,, এক বিশাল প্রান্তরে। নিচে নরম সবুজ দূর্বা সাথে শীতল শান্ত বাতাস গুন গুন করে গেয়ে তার গান। আচ্ছা বাতাস তো গুনগুন করে গান গায় না। বাতাস শনশন করে বয়ে।
ছোট বেলায় যখন বাবা আমাকে ছড়া পড়াতেন "থালা ঝনঝন বায়ু শনশন ফোরা টনটন"এমনি হবে হয়তো মনে পড়ছে না এখন।আবারো আমি আকাশের বুকে তাকিয়ে ভাবনায় ডুব দিলাম।আজকের রাতের আকাশটা যেন অস্বাভাবিক রকমের সুন্দর। কৃষ্ণবর্ণা গগনে আজ লক্ষ তারার আলোকচ্ছটা।
সে- কী ভাবছো এতো?
আমি- হমম, কিছু বলছ?
সে- না কি বলবো
আমি-হমম (অন্যমনস্ক হয়ে)
সে-কী হলো?হঠাৎই চুপ হয়ে গেলে কেন?
আমি- কই নাতো
সে- হ্যা তাই
আমি- আরে না পাগলি
আবারো কিছুক্ষণ চুপ....
সে- আচ্ছা একটা জিগ্গেস করবো?
আমি- বলো কী কথা?
সে- আচ্ছা তোমার কী মনে হয় না তুমি আর আগের মত নেই। তোমার মধ্যে পরিবর্তন এসেছে
আমি- এটা কেন মনে হলো?
সে- নিজেই একবার ভেবে দেখ
আমি-হাহা মোটেও না
সে- হাসছো কেন?
আমি -তুমি কী জানো,তুমি ভয়ংকর রকমের অভিমানি?
সে - তা এটাকি আমার দোষ?
আমি - সেটা না, ভালবাসলে একটু অভিমান হয় মাঝে মাঝে
সে- সেটাই মাঝে মাঝে
আমি -কেন সবসময়ই?
সে-জানি না
আমি- কী জানো তুমি??
রাগতে শুরু করেছে আরেকটু রাগিয়ে দেওয়া যাক,,