"আশা"

147 12 0
                                    

বেশ অনেক দিন কেটে গেছে কিন্তু আর অনন্যার সাথে দেখা হয়না। সে আর আসে না কফি হাউসে। অরিজিৎ ভাবল হয়তো অনন্যার বাবার গুরুতর কিছু ঘটে গেছে তাই সে আর কফি হাউসে আসে না। অরিজিৎ এর খুব মনে পড়ে অনন্যার কথা। এর আগে এরম সুন্দরী মেয়ে সে দেখেনি তা নয় তবে অনন্যার মতো কাউকে কোনোদিন এত ভাল লাগেনি। তার দৃঢ় দুটি চোখ, মিষ্টি গলার আওয়াজ আর ঠোঁটের নিচে সেই কালো তিল টা। তবে কি অনন্যার সাথে আর দেখা হবে না তার - এ কথা ভেবেই তার মনটা খারাপ হয়ে গেল। কত কিছুই না তার জানার ছিল তার কাছ থেকে। এই সব ভবাতে ভাবতেই সে কফি হাউস থেকে বেরিয়ে গেল।

গাড়ি চালিয়ে সে বাড়ি ফিরছে এমন সময় হটাৎ একটি মানুষ তার গাড়ির সামনে চলে এল। অরিজিৎ জোরে ব্রেক কষে গাড়ি থামিয়ে হন্ত দন্ত হয়ে বেরিয়ে এসে দেখে একটি মেয়ে মানুষ।
সে তার হাতটি ধরে তাকে তুলতে গিয়ে লক্ষ্য করল মেয়েটি আর কেউ না অনন্যা। অরিজিৎ এর মুখ থেকে বেরিয়ে গেল -

"আরে! অনন্যা! ঠিক আছেন আপনি?"

অনন্যা কোনো উত্তর দেওয়ার অবস্থায় ছিল না গাড়ির ধাক্কা না লাগলেও সে পায়ে চোট পেয়েছিল পড়ে গিয়ে। সে অরিজিৎ এর হাত আকড়ে ধরলো আর তার দু চোখ জলে ভরে গেল। সে একটু নিজেকে সংযত করে উত্তর দিল -

"আই অ্যাম সরি। আমি আসলে না দেখে তাড়াহুড়ো করে রাস্তা পার হতে গিয়ে আপনার গাড়ির সামনে চলে এসেছি। "

অরিজিৎ অনন্যার হাত ছাড়ল না। তাকে গাড়িতে বসিয়ে বলল -

"আপনি এখানেই বসুন। আমি আসছি।"

সে অনন্যাকে গাড়িতে একা ছেড়ে সামনের দোকান থেকে জলের বোতল কিনে আনল। অনন্যাকে বোতলটি দিয়ে তাকে চোখ মুখে জল দিতে আবেদন করল। অনন্যা মুখে জল দিয়ে একটু জল পান করল। অরিজিৎ তাকে জিজ্ঞেস করল যে সে কোথায় থাকে কিন্তু সে কোনো উত্তর দিল না... চুপ করে বসে জানলার বাইরে তাকিয়ে থাকল। অরিজিৎ আর প্রশ্ন করল না। সে নিজের বাড়ি দিকেই গাড়ি ছুটিয়ে নিয়ে গেল......

 চুপ করে বসে জানলার বাইরে তাকিয়ে থাকল। অরিজিৎ আর প্রশ্ন করল না। সে নিজের বাড়ি দিকেই গাড়ি ছুটিয়ে নিয়ে গেল

Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.
অপরিমেয় ভালোবাসাWhere stories live. Discover now