নিজের যন্ত্রণায় যদি নিজেই সম্পূর্ণ পুড়তে না পারো, তবে মনুষ্যরুপী মায়ার ঠান্ডা আঁচ লাগাতে যেও না। মানুষ কখনোই কারোর সমান পুড়তে পারেনা , যেই পোড়া তুমি নিজেই সহ্য করতে পারছনা , সেই আগুনে অন্য কাউকে পুড়তে দিওনা। যে আজ বরফ ছোঁয়ার মতো চুয়ে চুয়ে দুই ফোঁটা পানি ছিটিয়ে সামান্য সময়ের জন্য যন্ত্রণার আঁচটা কমিয়ে দিচ্ছে, তার শীতলতাকে জ্বালিয়ে দিওনা। এখন নিজের যন্ত্রণায় ছারখার হয়ে গেলেও , অদূর ভবিষ্যতে বরফ যদি তার সুপ্ততাপকে সরিয়ে জলীয়বাষ্প হয়েযায়, তবে তার দেখা যেনো মেঘের সাথে ঘটে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে। তবুও তোমার যন্ত্রণার শিখায় পুড়তে গিয়ে বরফ যেনো তার অস্তিত্ব হারিয়ে না ফেলে। তুমি অনল, তাই কোনোদিন বরফের দিকে চোখ দিওনা । তুমি বরং পুরোটাই নিজে জ্বলে যেও।বরফকে তার মেঘের সাথে সাক্ষাতের নজির হয়ে থেকো শুধু।
YOU ARE READING
নজির
Short Storyসবাই সবকিছুতে চাইলেও অংশীদার হতে পারে না, তবে কোনো কিছু সাক্ষীর জন্য নজির অনেকেই হয়।