আমি তানি। পুরো নাম পার্ক তানি। আমি কোরিয়ার ইলসান শহরে থাকি। ছোট বেলায় মা-বাবাকে হারাই। আসলে আমি জানিও না তারা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন। আমিতো আমার নিজের নামটাও জানতাম না যদি না আমার দিদা থাকতেন। দিদাই আমাকে দেখে শুনে রেখেছেন এতোদিন। কিন্তু আমার ভাগ্য খুবই খারাপ। দিদাও এখন নেই।তিনিও আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন। এখন আমি একা থাকি। নিজের পড়ালেখার পাশাপাশি ছোট্ট একটা পার্ট টাইম জব করি। সেটা দিয়েই আমার চলে যায় কোনো রকম। দিদার নিজের বাড়ি ছিলো বলে আমাকে এখন ভাড়া বাড়িতে থাকতে হয় না।
.
.
.
.
.
.
.
.
রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম খুব বেখেয়ালি ভাবে। কিছু নিয়ে ভাবছিলাম হয়তো। তখনই পরে যাই আমি। কিছুটা ব্যাথা পাই হাতে। হাত কেটে গেছে তাই। কোথা থেকে দৌড়ে একটা ছেলে এসে আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে বলে.... আরেহ দেখে চলতে পারেন না??
আমি ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছি।ছেলেটা খুবই সুন্দর। ছেলেটার চোখ গুলোতে মায়ায় ভরপুর।
.
.
.
ছেলেটার ডাকে আমার হুশ ফিরলো। ছেলেটা বলছে...আপনার বেশি লেগেছে? আমি বল্লাম...না আমার বেশি লাগেনি। ছেলেটা কিছুক্ষণ চুপ থেকে হুট করে বললো...আপনি যদি কিছু মনে না করেন আমি কি আপনাকে আপনার বাসায় এগিয়ে দিয়ে আসতে পারি? উনার এমন কথাতে আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। ছেলেটা বললো.. ভয় নেই আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন। আমিও আর না করলাম না সেদিন। তারপর থেকে প্রতিদিন সকালে ছেলেটা আমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতো। আমি কিছুই বলতাম না।এমন করে ২ মাস চলে গেল। কিন্তু হঠাৎ করেই ৭ দিন হয়ে গেলো কিন্তু ছেলেটা একয়দিন একবারও আসেনি। তানির খুব খারাপ লাগছে। ছেলেটা কে সে খুবই ভালোবেসে ফেলেছে সেই প্রথম দিনই। এতো দিনে একবারও ছেলেটার নাম জানার প্রয়োজন মনে করেনি। তাই তানির খুব খারাপ লাগছে আবার টেনশনও হচ্ছে। পরের দিন ছেলেটা দেখে দৌড়ে গিয়ে জরিয়ে ধরলো... আর বলতে লাগলো... কোথায় ছিলেন এতোদিন?? আপনাকে চিনিও না যে আপনার কথা কাউকে জিজ্ঞেস করবো?.. ঠিক আছেন আপনি? এক নিশ্বাসে বললো তানি কথা গুলো।...তারপর ছেলেটা বললো এতোদিন আমি অফিসের কাজে আটকে গিয়েছিলাম তাই আসতে পারি নাই। আমার নাম জংকুক। আমি জিওন কোম্পানির সিইও। আমি এতোদিন তোমাকে ছাড়া একদমই ভালো ছিলাম না।... বলেই জংকুক ও আমাকে জরিয়ে ধরলো।কিছুক্ষণ পরে জংকুক বললো... আচ্ছা আমিতো তোমায় সব বল্লাম। তোমার কিছুইতো বললে না আমায়।
কিছুক্ষন চুপ থেকে সব বলে দিলো তানি।
time skip.....
এই কিছুদিনে তারা অনেক ঘুরাঘুরি করেছে।একসাথে মুভি দেখেছে। একজন আরেকজনকে অনেক সময় দিয়েছে। জিওন তার পরিবারকে তাদের রিলেশন এর কথা বলেছে। এবং তারা মেনেও নিয়েছেন।
তানি ভাবতেই পারে নি যে জিওন এর পরিবার তাদেরকে মেনে নিবে।
৬ মাস পর....
একদিন জংকুক হঠাৎ করেই তানি কে বিয়ের প্রপোজাল দেয়। এবং তানি ও রাজি হয়ে যায়।
কিছুদিন পরেই তাদের বিয়ে হয়ে যায়।ভালোই কাটছিলো তাদের দিনগুলো।
জিওন এর পরিবার তানি কে তাদের মেয়ের মতো ভালোবাসেন। তানি কে নিজ হাতে খাইয়ে দেন জিওন এর মা। তানির খুব খেয়াল রাখেন। তানি ও তাদের কে নিজের মা-বাবার মতো ভালোবাসে।
তাদের বিয়ের ২ বছর পরে তানির কোল জুড়ে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। তারা তাদের মেয়ের নাম জিনি রাখে।(জিওন-জি+ তানি-নি=জিনি)
একদিন রাতে জিনি ঘুমিয়ে যাওয়ার পর তানি বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাতের আকাশে চাঁদ দেখছিলো। জিওন এসে তানি কে জরিয়ে ধরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ করেই তানি জিওনকে জিজ্ঞেস করে... আচ্ছা জিওন, তোমার কি মনে হয় না আমাদের এই সুন্দর ভালোবাসার একটা নাম দেয়া দরকার??
জিওন বল্লো... হুম ঠিক বলেছো। আমাদের যেহেতু হঠাৎ দেখা হয়েছিল তাই আমি চাই আমাদের ভালোবাসার নাম হোক "Sudden Meet".. তানির মুচকি হাসি দেখে জিওন তানিকে পেশনেট কিস করতে লাগলো। ১ মিনিট পর জিওন তানি কে ছেড়ে দিয়ে বললো.. তানি তোমাকে খুব বেশি ভালোবাসি। আমাকে ছেড়ে যেওনা।তানি জিওনকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে বললো... যাবো না তোমাকে ছেড়ে কোথাও। আমিও যে খুব ভালোবাসি তোমায়।
সমাপ্ত~~~~
(জানি খুব খারাপ হয়েছে। অনেক দিন পর লিখেছি তাই। মাথায় যা আসছে তাই লিখসি।কথা গুলো ঠিকমতো সাজানো হয় নাই।যদিও আমার লিখার কোন ইচ্ছা ছিলো না... তাও লিখলাম। ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা করবেন।)
YOU ARE READING
Sudden Meet💜
Randomখুব বেশি ভালোবাসি তোমায়। এই গল্পটা মনের মতো হয় নি🥺 ক্ষমা করবেন আমাকে।