#একটি_অভিমান_ভাঙানোর_আবেদন
বিকেলে অফিস থেকে ফিরে খুব চা খেতে ইচ্ছে করে লিলি! নিজেই চা বানাতে যাই। কি করবো বলো? তুমি তো নেই! চা-পাতা দিয়ে চিনির বয়াম খুঁজতে খুঁজতেই চা পড়ে গিয়ে চুলো একাকার।
ভাত বসিয়ে খেলার আপডেটটা শুনতে বসি একটু, এই দু-মিনিটের জন্য। তার মাঝেই ভাত ফ্যানে জাউ, জাউ! ডিমভাজি উল্টানোর আগেই পুড়ে গিয়ে প্যানে আগুন ধরে যায়। সেদিন তো নেভাতে পানি দিলাম একটু করে; ধাম করে জ্বলে উঠলো আরও।
ঘুমোবার সময়ে বই নিয়েই শুই, কখন যে ঘুমিয়ে পড়ি; বাতি নেভানো হয় না। চোখের চশমা, চোখেই থাকে।
জানো, গত পরশু রাতেও ঔষধ খেতে ভুলে গিয়েছি।আচ্ছা নীল টাইটা কোথায় রেখে গেছ লিলি? আমার চার তারিখেই একটা প্রেজেন্টেশন। টাই না পেলে চলবে, বলো?
বারান্দায় চন্দ্রমল্লিকার টবটায় গতরাতের বৃষ্টিতে এত পানি জমেছিল! পানিটা পরিষ্কার করতে গিয়েই সকালে টবটা ভাঙলাম। তোমার "ইলিবিলি" ডিম পেরেছে একটা। আমি খাবার দিতে গেলাম টুক করে ঠোঁকর মেরে দিলো আমার আঙুলে। এত রাগ! আমি বললাম,
-লিলি চলে আসবে, তাও মুখ ফিরিয়ে থাকলো।
এখন আমার অফিস যেতে রোজ দেরি হয় লিলি। তোমারও নিশ্চয়ই দেরি হয় না, তাই না?
তোমাকে ছাড়া আমি একদম চলতে পারি না লিলি। এইবার চলে আসো তো!কান ধরছি, আর কখনোই খেলার ঝোঁকে রিমোট ছুঁড়ে মারবো না টিভিতে। ব্রেকফাস্ট টেবিলে একদম মোবাইল স্ক্রল করবো না। সোফায় সস ফেলবো না। তরকারির চামচ ভাতে ডোবাবো না। ভেজা তোয়ালে আলনায় রাখবো না, ঝাড়ুর শলা ভেঙে দাঁত খোঁচাবো না।
প্রমিস!
প্লিজ লিলি, চলে আসো।একটু বারান্দায় বেরিয়ে দেখো। আমি হা করে অপেক্ষা করছি।
সত্যি।#তৃধা_আনিকা