পর্বঃ ৪৪

32 1 0
                                    








শুভ তিশাকে খাইয়ে দিচ্ছে আর তিশা চুপটি করে খাচ্ছে। এর মধ্যে ইরা কোথ থেকে এসে খাবার প্লেট টা টেনে নিয়ে ফ্লোরে ছুরে ফেলে দেয়।

- তুমি? তুমি আবার এখানে এসেছো?
-  আমি বিষ খেয়েছি শুভ।
- what?

ইরা শুভর গায়ে ঢলে পরে।

- ইরা? ইরা?(শুভ)
- কি হলো? ইরা?ইরা?(শুভর বাবা)
- হায় হায় কি হয়েছে ওর?(তিশার ভাবি)
- কি রে বাবা ও এখানে কেনো? আর..(শুভর মা)
- ও নাকি বিষ খেয়েছে। ওকে এখনি হসপিটালে....
- আমাকে একটু রুমে নিয়ে যাবে শুভ?
- কিন্তুু এখন ওকে....
- প্লিজ?
- বারাবারি করছো তুমি।

শুভ ইরাকে সোফায় শুইয়ে দেয় তারপর  তিশাকে কোলে নিয়ে রুমে নিয়ে গিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে বের হতে লাগে।

- শুভ!
- হুম?
- ইরাপু বিষ খায়নি।
- হোয়াট ননসেন্স? তুমি দেখলে না ওর সেন্স নেই। অজ্ঞান হয়ে আছে ও। এখনই যদি ওকে হসপিটালে না নিয়ে যাওয়া যায় তো? আমি জানি তুমি ওকে পছন্দ করো না কিন্তুু তুমি....
- আমায় বিশ্বাস করো না ভালো কথা। নিজেই পরিক্ষা করে দেখো। দারাও (কথাটা বলেই তিশা উঠে দারায়। তিশাকে নিজের পায়ে দারানো দেখে শুভর চোখ কপালে উঠলো।)
ওভাবে তাকানোর কি আছে? এলিয়েন নাকি আমি?  পা একদম ভালো হয় নি। হাটতে পারতাম কিন্তুু কোলে উঠতে আমার খুব ভালো লাগতো। কিন্তুু আমি আমার বর এর কোলে উঠেছি। তোমার কি? যাই হোক চলো আমার সাথে তোমার ইরার কি অবস্থা করি দেখি।

- হায় হায় আম্মু মেয়েটা এভাবে মরে গেলো?(চোখ মেরে)
- আহা রে মেয়েটা বড্ড বাজে ছিলো। এখন শান্তি পাবো একটু।(শুভর মা)

শুভ চুপচাপ ওদের দিকে বোকার মতো তাকিয়ে আছে।

- এমন ভাবে বলতে নাই আম্মু। বল এটা একটা ডাইনি,রাক্ষসী,পেঁচিমুখী,বান্দরনী,শাকচুন্নি, ছিলো। মরে গেছে বেঁচে গেছি। নয়তো আমার শুভকে কেরে নিতো হুহ।
- হয়েছে অনেক। এখন ওকে ডাক্তারের কাছে....
- ওই চুপ ব্যাটা।  আম্মু চলো আমরা দুজন মিলে ওকে গার্ডেনে নিয়ে মাটি চাপা দিয়ে দেই। আহ তাহলেই আমার পথের কাটা দুর হবে। যদি বাই চান্স বেচে থাকে তো মাটির নিচে এমনি মরে যাবে । তুমি বস্তা টা নাও আগে ওকে বস্তায় ভরে নেই।

বউ - Wife  | √Место, где живут истории. Откройте их для себя