Normia নামের একটি মেয়ে ছিল। যে পড়ালেখা প্রথমে ভালো ছিল না । বাবা-মা তাকে নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত ছিল কারণ সে ছিল তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান । বাবা-মা তাকে দিয়ে অনেক আশা দেখতো কিন্তু ছোট ছিল বলে কিছু বুঝতো না । আস্তে আস্তে সে বড় হয় । প্রথম শ্রেণীতে সে অনেক খারাপ করে । বাবা-মা প্রায়ই তার প্রতি আশা ছেড়ে দিয়েছিল । কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণীতে সে অনেক চেষ্টা করে ভালো নম্বর পায় । তৃতীয় শ্রেণীতে সে আস্তে আস্তে ভাল করতে থাকে । কিন্তু পঞ্চম শ্রেণীতে দেশে আবার খারাপ করা শুরু করে দে । চেষ্টা-প্রচেষ্টায় সে বোর্ড এক্সাম এর ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করা ।
তার জীবনের আসল সময় শুরু হয় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে। নরমিয়া কাওর সাথে বেশি কথা বলতে পারতো না । কিন্তু সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে যাদের সাথে বসা শুরু করে তারা খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায় তার সাথে । কিন্তু নরমিয়ার কোন ছেলে বন্ধু ছিল না। কারণ সে অনেক লাজুক। নরমিয়ার একটি মেয়েদের দলের সাথে যুক্ত হয়। ওই দলের মধ্যে প্রায় অনেক মেয়ে তাকে পছন্দ করত ।
এর মধ্যে একটি মেয়ে ছিল যার নাম সিয়া । সিয়া একদম নরমিয়ার মত ছিল । নরমিয়া ঠিক সবার সাথে কথা বলতো না কিন্তু সে নিজের মধ্যে অনেক কিছু পারত । সে গান গেতে , নাচতে , আঁকাআঁকি করতে এবং নানা রকম ভাষা শিখতে সে অনেক বেশি ভালোবাসো । সিয়াও একদম নরমিয়ার মত
ছিল । তাদের সখ এটি ছিল বলেই আস্তে আস্তে সিয়া একজন বন্ধু হিসেবে নরমিয়া কে অনেক বেশি পছন্দ করা শুরু করে । সারাদিন ক্লাসের মধ্যে নাচ-গান আঁকা আকি করত এবং নানা ধরনের গল্প করতো শিয়া এবং নরমিয়া । যখন তাদের ষষ্ঠ শ্রেণি শেষ হতে লাগল । সময় এসে পড়েছিল সিয়া এবং নরমিয়া থেকে আলাদা হওয়ার । সিয়া তখনও বলে নরমিয়াকে যে সে তার বেস্ট ফ্রেন্ড হতে চাই । কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে আজ যখন নরমিয়াকে বলে দেয় যে সে তার বেস্ট ফ্রেন্ড হতে চায়। নরমিয়া কোনো উত্তর দেয় না কারণ সে অনেক বেশি লাজুক ছিল । কিন্তু মনে মনে নরমিয়া সিয়াকে নিজের ভালো বন্ধু মান্তু ।যখন সপ্তম শ্রেণী তে নরমিয়া এবং সিয়া উঠে যায় । তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে । একপর্যায়ে তারা একে অপরের সাথে খুব কম কথা বলা শুরু করে । এতে করে তাদের বেস্ট ফ্রেন্ড সিপ ভেঙ্গে বন্ধুত্বে পরিণত হয়। এতে নরমিয়া অনেক বেশি কষ্ট পায় । আস্তে আস্তে সপ্তম শ্রেণী ও শেষ হয়ে যায় এবং অষ্টম শ্রেণীর শেষ হয়ে যায় । নবম শ্রেণীতে উঠে তখন তার অনেক বন্ধু হয় । একদিন নরমিয়া স্কুলে ক্লাস করতে ছিল তখন স্যার একটা ছেলের পরিচয় দায়ে । ছেলেটা ছিল কোরিয়ান । ছেলেটার নাম ছিলো জ্যাক । ছেলেটা বাংলা না । আসলে জ্যাকের জন্ম ছিল অস্ট্রেলিয়ায় , মা বাংলাদেশী এবং বাবা কোরিয়ান । জ্যাক পড়ালেখা করছে কোরিয়াতে । এখন বড় সমস্যা হচ্ছে জ্যাক বাংলায় কথা বলতে পারে না কিন্তু সব বাংলা বুঝে । ক্লাসের মধ্যে স্যার যখন জ্যাকে পরিচয় করে দিচ্ছিল তখন স্যার জিজ্ঞাসা করে কে করিয়ান বুঝি । নরমিয়া তখন হাত উঁচু করে বলে স্যার আমি বুঝি আমি সাহায্য করতে পারব ।
Continue.......
YOU ARE READING
Mysterious You
Romanceএকটি লাজুক মেয়ে যে সবার সাথে কথা বলতে পারতো না । কিন্তু তার জীবনের অনেক বড় একটা পরিবর্তন এসে পড়ে।