এক মুঠো গোলাপ
৪হালকা শীত অনুভূত হওয়ায় ঘুম ভেঙে গেলো তৌহিদের । চোখ বন্ধ রেখেই বিছানা হাতড়ে রাফনিদ কে খোঁজার চেষ্টা করলো, না পেয়ে চোখ খুলে পাশে তাকালো । এ কি বিছানায় তো কেউ নেই । হামি দিয়ে উঠে বসলো , কম্বলটা গায়ের পেঁচিয়ে হেডপোস্টে হেলান দিয়ে পুরো ঘরে চোখ বুলালো একবার । এলোমেলো হয়ে আছে ঘরটা , তার কাপড় চোপড়ও ছড়ানো ছিটানো ।
চোখ কচলে ডেস্ক টেবিলের ওপর থেকে ফোনটা নিতে গিয়ে দেখা গেলো তার নিচে একটা গোলাপি রঙের চিরকুট । ফোন সমেত চিরকুট টা হাতে নিয়ে প্রথমে সুইচড অন করে সময়টা দেখে নিলো বেলা সাড়ে বারোটা বাজে , বাপরে এতক্ষণ ঘুমিয়েছে! রাফনিদের সাথে থাকলে দিন রাতের খেয়াল থাকে না তো , ঠোঁটের কোণে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠল তৌহিদের। পরক্ষণে চিরকুটের কথা মনে হতেই সিরিয়াস ভঙ্গিতে কাগজের ভাঁজ খুলে পড়তে শুরু করলো । ক্রমশ ভ্রু জোড়া কুঁচকে আসছে তৌহিদের , রাগে মুখ চোখ লাল হয়ে উঠছে । রাফনিদ লিখেছেঃ
আমার একসময় ভীষণ ইচ্ছে হলো আমি একজন মহান মানুষ হবো। সবাই আমাকে মনে রাখবে , আমাকে রাগ কিংবা ঘৃণা ভরে স্মরণ করবে কিন্তু সেই রাগ কিংবা ঘৃণার ভেতর লুকিয়ে থাকবে ভীষণ যত্নে লালিত করা ভালোবাসা । বিশ্বাস করো তৌহিদ আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি , তোমার ভালোবাসা বারবার আমাকে স্বার্থপর হতে নিষেধ করেছিল কিন্তু পরিস্থিতি মনে করিয়ে দিয়েছে সব ভালোবাসা তো পূর্ণতা পায় না কিন্তু মনের আশা ঠিকই পূর্ণ করা যায় । শুনতে খারাপ লাগলেও এটা সত্যি তোমাকে যখন পাবো না বুঝলাম তখন ভীষণ ভালোবাসা দিয়ে ছেড়ে দিলাম । তোমাকে পেলাম না তো কি হলো , মনের আশাটা পূরণ হোক । ভালো থেকো তৌহিদ-আমাদের আর কখনোই দেখা হবে না ।
চিরকুটটা পড়া শেষে কয়েক টুকরো করলো তৌহিদ৷ চোখের কোলে আসা পানিটা পলক ফেলতেই কপল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো । ভীষণ রেগে বিড়বিড় করে তৌহিদ বলল_
-- সবসময় তোমার মনের আশা কেনো পূর্ণ হবে রাফনিদ? এবার না'হয় আমার মনের আশাটাও পূর্ণ হোক। কি ভাবো তোমার খোঁজ আমি পাবো না? এই তৌহিদ কখনো কাঁচা কাজ করে না ।
দ্রুত বিছানা ছেড়ে উঠে কাপড় চোপড় পরে নিলো তৌহিদ , তার বড় ভাই ডিটেকটিভ । ওনার নম্বর ডায়াল করে হোটেল রুম থেকে বেরিয়ে গেলো । এই ফাজিল মেয়েটা শায়েস্তা করেই ছাড়বে এবার ।
__
পরিসংখ্যান প্রাইভেট শেষ করে বাসায় ফিরতে ফিরতে সাড়ে তিনটা বেঁজে গেল । দু'বার কলিংবেল বাজিয়েও কারো সাড়াশব্দ পেলাম না পরে ওপর তলায় পুলিশ ভাইয়ার কাছে গিয়ে জানতে পারলাম বাপি-মা ছোট ফুপির বাসায় গিয়েছে । রেগে ওখানেই কল করলাম । এবার রিসিভ করলেন বাপি । আমাকে হ্যালো বলার সুযোগ অবধি দিলেন না , হাসতে হাসতে প্রশ্ন করলেন_
-- আরে মামণি বার্থডের দাওয়াত শেষ হয়েছে? বাসায় ফিরতে চাচ্ছ ,গাড়ি পাঠাবো কি?
-- তোমরা কোথায় বাপি?
-- আমরা তো তোমার ছোট ফুপির বাসায় এসেছি । তোমার শাম্মী আপুকে দেখতে ছেলেপক্ষ এসেছে , সব ঠিকঠাক থাকলে আজই আকদ করিয়ে দিবে ।
-- শাম্মী আপুর আকদ আর তোমরা আমাকে একা রেখে চলে গিয়েছো?
-- আরেহ্ আমরা তো তোমাকে জানানোর সুযোগই পাইনি। গতকাল হুট করে দুপুরবেলা তোমার ফুপি কল দিয়ে বলছে শাম্মী বিষ টিষ খেয়ে একাকার করে দিচ্ছে । বিয়ে না দিলে মানবে না , পরে আমরা তাড়াহুড়ো করে চলে আসলাম । ড্রেস চেইঞ্জ করারও সুযোগ পাইনি বাসার কাপড় পরেই এসেছি জানো!
-- বিষ খেলে শাম্মী আপু বেঁচে আছে কি করে?
-- আরেহ্ সত্যি সত্যি বিষ খেয়েছে নাকি! অভিনয় করেছে । হা হা হা
-- বাপি তুমি হাসছো!
-- হাসবো না? ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং । বিয়েতে রাজি করানোর জন্য বিষ খাওয়ার ভয় দেখানো । এখন এক রাতের ব্যবধানে কাজি ডেকে বিয়ে । হা হা হা ।
-- বাপি আস্তে হাসো ফুপি মাইন্ড করবেন । ব্যাপারটা কিন্তু হাস্যকর নয় ।
-- আমার ভীষণ হাসি পাচ্ছে মা । আমি কল্পনা করছি শাম্মীর জায়গায় রাফনিদ থাকলে কি করতো? একটা ছ্যাবলা ভিখিরী ছেলেকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে এসে বলতো বাবা ওকে আমি বিয়ে করবো হয় রাজি হও নয়তো বিষ খাবো!
-- আর তুমি কি করতে? বিয়ে দিয়ে দিতে?
-- অফকোর্স আমি তো এক পায়ে রাজি । বাট আমার রাজি হয়ে তো লাভ নেই তোমার আপুকে রাজি করাতে হবে ।
ফোনের ওপাশে বাপির গলা বিষণ্ন শোনালো । তাকে স্বাভাবিক করতে আমি একটু বিরক্ত হবার অভিনয় করলাম ।
-- উফফ বাপি কিসব উল্টোপাল্টা কথা বলছো। মা কোথায়? মা কে দাও ।
-- ওহ্ শিওর ইয়াং লেইডি ।
নিদের আম্মু এদিকে আসো বাবু তোমার সাথে কথা বলবে..
বাপি চেঁচিয়ে ডাকলেন। মা সম্ভবত পাশেই ছিল খানিক পরেই তার কণ্ঠ শোনা গেলো ।
-- বাবু কেমন আছিস? বার্থডে সেলিব্রেশন কেমন হলো?
-- ভালোই হয়েছে । তুমি আমার ওপর রাগ করে আছো মা? স্যরি
-- আরে পাগল রাগ করবো কেন?
-- তা'হলে আমার খোঁজ নিলেনা কেন।
-- শুনলি না তোর বাবা'র মুখে? এখানে এসে তো ঝামেলায় ফেঁসে গিয়েছি । তবে তোর খোঁজ যে নেইনি তা নয় । তোর ছোট মামুকে পাঠিয়েছিলাম আভাদের বাসায় , ও তো ডিনার করে তোকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে এসেছে ।
-- মামু এসেছিল কই আমাকে তো বললো না ।
-- আমি বারণ করেছিলাম ফোনে, পাছে তুই রেগে যাস ।
-- মা তুমিও না অদ্ভুত!
-- আচ্ছা শোন মজার মজার কয়েকটা গল্প জমেছে বুঝলি শেয়ার না করে শান্তি পাচ্ছি না । চলে আয় না এখানে?
-- অয়ন ভাই আছে?
-- আছে তো কালই এসেছে ।
-- তা'হলে যাবো না । ওই বদমাশ সারাক্ষণ আমাকে বুয়া বুয়া বলে ক্ষেপাবে ।
-- আরে ক্ষেপাবে না আয় তুই ।
-- উঁহু তারচেয়ে তোমরা জলদি চলে আসো বাসায়, আমি ওয়েট করবো ।
-- সে কি তুই বাসায় গিয়েছিস?
-- হু । দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি ।
-- দরজা খুলে ভেতরে ঢোক। দাঁড়িয়ে আছিস কেন? চাবি দ্যাখ লেফট সাইডের মনস্টেরা গাছের টবটায় লুকিয়ে রাখা আছে ।
মায়ের কথা শুনে নিচু হয়ে দেখলাম ঠিক গোল্ডেন কালারের চাবিটা চকচক করছে । একটু হেসে হাতে তুলে নিলাম ।
-- এখানে যে রাখো! বিপদাপদ হলে?
-- আরে ভয় নেই আল্লাহ ভরসা । রাখতাম না কিন্তু তোর বাঁদর বোনটা কেমন হুটহাট বেরিয়ে যায় । ওর জন্যই তো রাখতে হয় । কোনো ক্ষতি টতি হলে ওর দোষ দিয়ে দিবো হুহ্
মায়ের পাগলাটে কথা শুনে আবারও হেসে ফেললাম ।
-- মা ফুপি কি কাচ্চি রেঁধেছে?
-- হু । কেন?
-- ড্রাইভার ভাইয়ার হাতে পাঠিয়ে দিবা । দুই পট দিও আর রোস্টে লেগ পিস চারটা দিবা আমার মনে হচ্ছে আপু বাসায় এসেছে ।
-- দরজায় না তালা?
-- উঁহু ভেতর থেকে লকড আর ফ্যানের শব্দ পাচ্ছি।
-- দ্যাখ দ্যাখ জলদি দ্যাখ বাঁদর টা এসেছে কি না ।
-- হু ।
অতঃপর চাবি দিয়ে লক টা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখলাম আমার ধারণাই ঠিক । ড্রয়িংয়ে লাগেজ , জুতো , ব্যাগ এটসেটরা এটসেটরা ছিটিয়ে ঘরে চলে গিয়েছে আপু । সম্ভবত কাঁদছে , ফোঁপানোর আওয়াজ পাচ্ছি ।
মা কে আপডেট জানিয়ে কলটা কেটে দিলাম । সোফার ওপর ব্যাগটা রেখে আপুর ঘরের দিকে গেলাম ।দরজা অর্ধেক খোলাই আছে তবুও নক করলাম আস্তে করে ।
আপু ওপাশ থেকে ধরা গলায় বলল_
-- এই মুহুর্তে আমি কারো সাথে কথা বলতে চাইনা । ডোন্ট ডিস্টার্ব মি ।
-- আমার সাথেও না?
-- উঁহু ।
-- আচ্ছা তা'হলে আমার কাপড় অন্তত বার করে দাও । ধুলোবালি মেখে বসে আছি শাওয়ার নিতে হবে ।
-- গেস্ট রুমের ব্যালকনিতে দ্যাখ ব্ল্যাক টিশার্ট আর শর্টস আছে পরে নে ।
-- আপু আমি শর্টস পরিনা ।
-- আজকের জন্য পরে নে । বাসায় কেউ নেই ।
বুঝলাম আপুর মন খারাপ সে কিছুতেই দরজা খুলবে না ।
অগত্যা আমাকে হাল ছেড়ে দিতে হলো । ওয়ারড্রোব থেকে মায়ের নতুন টাওয়াল আর বাপির আর্মি প্যান্ট টা বের করে শাওয়ারে চলে গেলাম । যতই হোক আমি বাচ্চা নই যে শর্টস পরবো । লজ্জা লাগে তো আমার ।
প্রায় এক দেড় ঘণ্টা যাবৎ পানিতে লাফিয়ে , নাচানাচি করে বেরুলাম ।
আপাতত একটা গানের লাইন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে । মনে মনে লিরিক আত্মস্থ করে গুনগুন করে গাইতে শুরু করলাম । গান টান অবশ্য আমি ভালোই পারি , স্কুলে কয়েকবার মিউজিক কম্পিটিশনে ফার্স্ট প্রাইজ পেয়েছি । বাপি মাঝেমধ্যেই বলেন গান নিয়ে এগোনো উচিৎ আমার , কিন্তু গান নিয়ে কিছু করতে ইচ্ছে হয়না। আমার ইচ্ছে আমি একজন লইয়ার হবো;ডিভোর্স লইয়ার । তিল তিল করে গড়ে ওঠা সম্পর্ক কলমের আঁচড়ে ভেঙে যায় কি করে? জানতে ইচ্ছে হয় খুব।
যে ভালোবাসা মানুষকে বাঁচতে শেখায় , সম্পর্কের কয়েক বছর যাওয়ার পর সেই ভালোবাসাটাই বিষ হয়ে ওঠে কেন? জানতে ইচ্ছে হয়।
সাথে এটাও জানতে ইচ্ছে হয় কয়েক ঘণ্টা ভালোবাসার উষ্ণতা মেখে যে নতুন প্রাণের জন্ম পরে তাকে ছাড়া থাকতে কষ্ট হয় না গর্ভধারিণী মানুষটার?
মাঝেমাঝেই ভীষণ ক্ষোভ জাগে আমার গর্ভধারিণী'র ওপর । ভাবি তার সাথে দ্যাখা হলে একটা কথাই বলবো , "এই পৃথিবীতে সবচাইতে ব্যর্থ মানুষটা হলো সে"
এসব কথা মাথায় আসলে কারো সাথে সম্পর্কে জড়াতে ইচ্ছে করেনা । কেবলই মনে হয় কারো সাথে সম্পর্কে জড়ালেই একটা নতুন সুপ্ত'র জন্ম হবে । আমার মত ভাগ্যবান ঐ সুপ্ত হয়তোবা হবে না । সেও হয়তোবা একসময় তার গর্ভধারিণী কে ঘৃণা ভরে স্মরণ করবে । লানত করে বলবে, তুমি ব্যর্থ, তোমার মরে যাওয়াই ভালো ।
নাহ্ আর ভাবতে ইচ্ছে করছে না । অসহ্য বোবা কষ্টের অনল দাউ দাউ করে জ্বলছে বুকে ।
দগ্ধ মনে প্রলেপ লাগাতে গানের ভলিউম টা বাড়িয়ে দিলাম । যত জোরে পারা যায় গাইতে শুরু করলাম , "jo wada kiya woh nibhana padega , roke jamana chahe roke khudayee tumko aana padega..."
কালো রঙ বেশ মানায় আমায় , কাজল পরলে মন্দ হয়না । টাওয়াল টা খুলে ভেজা চুল এলোমেলো করে দিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসলাম । মা নিজ হাতে কাজল বানিয়ে রাখেন , ড্রয়ার থেকে কাজল দানী বের করে তর্জনী দিয়েই কাজল লাগিয়ে নিলাম । এক চোখে লাগানো শেষে অপর চোখে আঙুল ছুঁয়েছি অমনি আপু রাগত স্বরে বলল_
-- আমার মন খারাপ আর তুই গান গাইছিস!
আমি আয়নার ভেতর দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম_
-- হু । সুন্দর হয়েছে না? ভাবছি কভার করে আপলোড দিবো আজ । তোর গিটার টা কোথায় রে , বের করে দে না ।
-- মানেহ্ আমার মন খারাপ তোর গায়ে ই লাগছে না!
ধপ ধপ করে পা ফেলে ভেতরে এসে বসলো আপু ।
কাজল লাগানো শেষ করে আমি ঘুরে বসলাম ।
-- তৌহিদ ভাইকে ছেড়ে এসেছিস । এখন তোর ভীষণ খারাপ লাগছে তাই তো?
-- আমার সাথেই কেন এমন হয় বলতে পারিস!
-- তুই উনাকে সত্যিটা বললে উনি কিন্তু রাগ করতো না বরং আরো শক্ত করে তোর হাতটা বুকে চেপে ধরে বলতো , "রাফনিদ যত যাই হোক আমার তোমাকেই চাই । আমার হৃদপিণ্ডের স্পন্দন তুমি । তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকবো কি করে!"
-- আমি পারিনি রে । বিবেকে বেঁধেছে বারবার । এমনিতেই আমি বয়সে ওর চাইতে চার বছরের বড় তারউপর যদি জানতে পারে আমি ইনফার্টিল তাহলে ওর বাবা মা কিছুতেই আমায় মেনে নিবে না আর ও আমায় ছাড়বে না । ওর বাবা মা ওকে ভীষণ ভালোবাসে । আমি জেনেবুঝে ওকে ওর বাবা-মায়ের থেকে সরিয়ে দিবো?
আর আমার সাথে থাকলে ও তো কষ্ট ছাড়া আর কিছু পাবে না ।
মুখ ঢেকে শব্দ করে কেঁদে উঠল আপু ।
ওকে শান্তনা দেবার ভাষা আমার জানা নেই । আমি চুপটি করে ওর পাশে গিয়ে বসলাম । আমার কাঁধে মাথা এলিয়ে দিলো ও । ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বললাম, "সব ঠিক হয়ে যাবে আপু , আমি আছি তো"
সিদ্ধান্ত নিলাম তৌহিদ ভাই কে সব জানাবো । দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে , চেষ্টা করলেই বেবী নেয়া পসিবল। বংশধরের কথা চিন্তা করে আমার বোন ভালোবাসা বিসর্জন দিবে, এটা মানতে রাজি নই আমি ।
চলবে,
sinin tasnim sara
أنت تقرأ
এক মুঠো গোলাপ
غموض / إثارةশুচিস্মিতা কবির সুপ্ত। সর্বদা নিজ জীবন চক্রকে জটিল ভেবে এসেছে। এক সময় তার জীবন সম্পর্কে জটিল ধারণাগুলোকে ভুল প্রমাণ করে জীবনের মানে শেখাতে এসেছিল একজন। জীবন নামক বর্ণহীন আকাশে হুট করে শত রঙের প্রজাপতি ডানা মেলে উড়তে শুরু করেছিল। সকল জড়তা কাটিয়ে বর্ণ...