এক মা গল্প পার্ট ওয়ান

2 0 0
                                    

একজন মা তার সন্তানদের জন্য জীবনে অনেক কষ্ট করে কিন্তু সন্তানরা খুব কমই বোঝে এই কথাগুলো যখন তারা বড় হয়ে যায় আজ এরকম একটা গল্প আপনাদের সামনে শোনাতে যাচ্ছি এই গল্পের মেইন চরিত্র নাম হচ্ছে আয়েশা আয়েশা ছোটবেলা থেকেই খুব সন্তুষ্ট একটা মেয়ে তার খুব কম বয়সে বিয়ে হয়ে যায় কিন্তু তার যার সাথে বিয়েটা হয়েছিল সে একজন বেকার একটা ছেলে কিন্তু আয়েশার স্বামী অনেক চেষ্টা করত চাকরির জন্য কিন্তু মহান রব্বুল আলামীন তার ভাগ্যে হতে পারে চাকরি লেখে নাই এ কারণে বারবার আয়েশার স্বামী ব্যর্থ হত আয়েশার স্বামী পড়ালেখায় অনেক ভালো ছিল কিন্তু সে চাকরিটা যেন পেয়ে উঠতো না কিন্তু হার মানে না আয়েশা নিজেও কম পড়ালেখা করেছে কিন্তু সে যেন এক সাহসী এক মা কেন জানেন এই কারণেই যখন তার বিয়ে হয় তার এক বছরের ভিতর তার একটা গর্ভে সন্তান আসে জানে সংগ্রামের নেমে পড়ল ওই দিকে আয়েশার স্বামী কোন একটা নরমাল একটা চাকরি হলো যেটাতে তাদের কোন মতে সংসার চলতো কিন্তু আগেকার যুগের কথাটা তো আপনারা সবাই জানেন সবাই একটা ছেলে সন্তান চায় কিন্তু আবার যখন একটা সন্তান নিতে গেল তখন আরেকটা মেয়ে সন্তান হল তাদের ধীরে ধীরে সংসারে অভাব দেখা দিচ্ছিল কিন্তু তারা আরেকটা ছেলে সন্তানের আশায় আরেকটা সন্তান নিল তখন তাদের ঘরে একটা ছেলে সন্তান আসলো এটাই মনে হয় মহান রব্বুল আলামীনের পরীক্ষা আয়েশার জন্য শুরু হল ধীরে ধীরে দিন যেতে থাকে তিনটা সন্তানের খাওয়া দাওয়া কঠিন হয়ে পড়তে আসার জন্য কিন্তু সন্তানরা যেন কষ্ট না পায় আয়েশা ও আয়েশা স্বামী যথাযথ চেষ্টা করত কিন্তু আল মহান রব্বুল আলামীন তাদের যে পরীক্ষায় ফেলাবেন এটাই তো তিনি তাদের ভাগ্যে লিখে রেখেছিলেন সেটা হচ্ছে এত পড়াশোনা থাকার পরেও সে যেন ১৫০০০ টাকায় একটা সিকিউরিটির কাজ পেল ওইটা দিয়ে তাদের সংসার চলতো হঠাৎ এক সময় আয়েশার হাসবেন্ড অসুস্থ হলো তাকে একটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতন টাকা তার কাছে ছিল না কেন জানেন তার তিন সন্তানের ভরণ পোষণ করতেই ১৫ হাজারের বেশি লেগে যেত তাদের যখন আয়েশার হাসবেন্ড বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ল তখন তাকে সবাই ধরে একটা হাসপাতালে নিয়ে গেল ওই হাসপাতালে তার চিকিৎসা হতে হতে সেখানেই ইন্তেকাল করলো তারপরে আয়েশার এমন হয়ে উঠল যে তার মাথার উপরে আকাশ ভেঙ্গে পড়ল সে একা হয়ে পড়ল কান্না করতে লাগলো এবং বলল হে আল্লাহ এখন আমার তিন সন্তানের কি হবে তুমি খাওয়াতে পারো তুমি দেওয়ার মালিক আমার প্রতি দয়া কর তার হাজবেন্ড মারা যাওয়ার পরে যখন তার  লাশটা নিয়ে কবর দেওয়ার  জন্য নিয়ে যাবে তখন হাসপাতালে মানুষরা বলল আগে টাকা পরিশোধ করুন তারপর আপনার স্বামীর লাশ নিয়ে যান কিন্তু আয়েশার তো অত টাকা ছিল না যেথায় অতগুলো টাকা পরিশোধ করবে সে ডাক্তারের পায়ে ধরে ধরে কান্না করতে করতে বলে স্যার একটু হলেও দয়া করেন আল্লাহর ওয়াস্তে কিন্তু তো গরিবের পাশে কেউ থাকেনা আয়েশা তাহার স্বামীর চাকরির স্থানে গিয়ে বড়লোকদের পায়ে ধরে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো যে আপনাদের এখানেই তো কাজ করতো দয়া করে আমাকে একটু কিছু টাকা দেন যেন আমি আমার স্বামীর লাশটা নিয়ে এই বড় শহর থেকে চলে গ্রামে যেতে পারি আল্লাহ অবশ্যই এই পৃথিবীতে এখনো ভালো মানুষ রেখেছে দেখে এই পৃথিবীটা এখনো টিকে আছে একটা বড়লোক মানুষের মন গলে গেল সে তাকে হেল্প করল আয়েশা তার হাজবেন্ডের লাশ নিয়ে গ্রামের বাসায় চলে গেল তার স্বামীকে ওখানে কবর দেওয়া হল সে ভাবতে লাগলো এখন আমার সন্তানদের কিভাবে চালাবো আমার সন্তান বড় হচ্ছে তুমি রাস্তা দেখাও আয়েশা কিছুদিন পর তার সন্তানদেরকে নিয়ে আবার শহরে গেল গিয়ে কাজের সন্ধান করতে লাগলো কারণ গ্রামে তো এভাবে কাজ পাওয়া যায় না তিনি কাজের সন্ধান পেল ওই কাজ করে ধীরে ধীরে তার সন্তানদের লালন-পালন করতে লাগলো তারপরে তার সন্তানরা ধীরে ধীরে বড় হতে লাগল।

You've reached the end of published parts.

⏰ Last updated: Nov 12, 2022 ⏰

Add this story to your Library to get notified about new parts!

এক মা গল্প পার্ট ওয়ান Where stories live. Discover now