"আচ্ছা মা, আমি যে পড়েছি মাঝে মাঝে রকেট দূর্ঘটনা ঘটে আর অনেক সময় নভোচারী নিখোঁজ হয়ে যায়, তাদের কি হয়?"
--"তাদের চাঁদের বুড়ি যত্ন করে রেখে দেয়।""চাঁদের বুড়ি চাঁদে কি করে?"
--"সে তার সুতার চরকা ঘুরায় আর সুতা বুনে। যেদিন ভালো সুতা বুনতে পারে সেদিন চাঁদ আলোতে ঝলমল করে।""কিন্তু হারানো নভোচারীদের সে কেনো রাখে?"
--"নাহ। তোর এতো প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারবো না। যা এবার ঘুমা।"মা রুমের বাতি নিভিয়ে চলে গেলেও তার ছোট্ট ছেলে ঘুমায় না। তার মনে অনেক প্রশ্ন।
********
সুজান এ্যটকিনসনের জ্ঞান ফিরে কিছু একটার আওয়াজ শুনে। কিন্তু চোঁখ মেলে সব ঝাপসা দেখছে সে। কি হয়েছিলো ভাবতে থাকে সুজান।
শুধু এইটুকুই মনে আছে যে সে আর তার সহকর্মী এন্ড্রিউ হ্যামিল্টন তাদের স্পেসশিপের বাইরে কিছু মেরামত করছিলেন আর হঠাৎই একটা দূর্ঘটনা ঘটে। এরপর আর কিছুই মনে নেই তার।
আশেপাশে কি আছে তা বুঝে উঠার আগেই একটা গোঙ্গানীর শব্দ শুনে সুজান। পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এন্ড্রিউ আর শব্দটা সে ই করছে। তার গায়ের অনেকখানি জায়গা জুড়ে চামড়া নেই। মাথার ধুসর চুলগুলোও যেনো কেউ টেনে তুলে নিয়েছে।
কি হচ্ছে এসব বুঝার আগেই সুজান এন্ড্রিউ এর পাশে বসা এক বয়স্ক মহিলাকে দেখে। আর ঠিক এরপরেই সুজানের চোঁখ আটকে যায় মহিলার হাতে ঘুরানো চরকার দিকে যেখানে সে সুতার মতো কিছু একটা ঘুড়াচ্ছে।
সুজানের আর বুঝতে বাকি থাকে না এন্ড্রিউ এর গায়ের চামড়া নেই কেনো।
******
মা চলে যাওয়ার একটু পর ছোট্ট ছেলেটি উঠে এসে রুমের জানালা দিয়ে আকাশে তাকিয়ে দেখে চাঁদটা আজ খুব ঝলমলে। নিশ্চই চাঁদের বুড়ি ভালো সুতা বুনছে...