আয়না চুরি (প্রথম পর্ব)

19 0 0
                                    

সমুদ্রে, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের  নিচে চাঁদহীন রাতের মতো কালো ঘন অন্ধকার।  সেখানে রয়েছে শয়তানের প্রাসাদ, কালো ছায়া দিয়ে তৈরি। শয়তান সেখানে তার অগণিত সৈন্যদের নিয়ে বসবাস করে। শয়তানের সৈন্যরাও ছায়ার তৈরি।
কালো ছায়ার শয়তানরা থাকে কালো অন্ধকার প্রাসাদে, তাই তারা এবং তাদের প্রাসাদ  থেকে যায়  দৃশ্য জগতের আড়ালে।
সেখান থেকে তারা মানব সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রধান শয়তান ইবলিস প্রতিদিন তার সৈনিকদের সারা বিশ্বে প্রেরণ করে। খুব ভোরে তারা সাত মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষের মস্তিষ্ক,  মনে আর তাদের চিন্তাভাবনায় অনুপ্রবেশ করে তাদের কে পথভ্রষ্ট করে। তাদেরকে মন্দ কাজ করতে, রক্তপাত করতে উৎসাহিত করে। সন্ধ্যায় তারা ফিরে আসে এবং তাদের প্রধানের কাছে তাদের পুরো দিনের ওয়ার্কশিট জমা দেয়। তারপর অন্য একটি দল রাতের জন্য বাইরে যায়, তারা সারা রাত কাজ করে এবং ভোরে ফিরে আসে। সম্প্রতি তারা  আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের চিন্তার জগতের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখছে। মানুষ, প্রকৃতির পরাশক্তি। তারা যদি শয়তানের নিয়ন্ত্রণে চলে, তাহলে আর কিছু করার দরকার নেই। পৃথিবীর জল- স্থল, পাহাড়- পর্বত, এর বন, জলবায়ু, বায়ুমণ্ডল, সবকিছুই ধ্বংস করা সম্ভব। আর এই লক্ষ্যটি পূরণের জন্যই শয়তানরা হাজার বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে।.
বর্তমানে, তারা মানব জাতির কাছ থেকে একটি বড়  আয়না চুরি করেছে।  যা আবিষ্কার করেছিলেন বিশ্বের মহান বিজ্ঞানীরা। তারা পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে এবং নির্দোষ বিনোদন সরবরাহ করার জন্য এটি তৈরি করেছিলেন। এটি আকারে একটি ফুটবল মাঠের মতো। সুশীল সমাজ প্রথমে এর মধ্যে পৃথিবীর প্রয়োজনীয় সমস্ত ডেটা একত্রিত করেন। তারপর তৈরি করেন এর ক্ষুদ্র সংস্করণ যার নাম দেন "মিনি মিরর" । এই মিনি মিরর গুলো তারা পৌঁছে দেন পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের নিকট। অতপর মূল আয়নার সাথে মিনি মিরর গুলোর কানেকশন দিয়ে ঘোষণা করেন যে এখান থেকে পৃথিবীর মানুষ তাদের যেকোনো প্রয়োজনীয় ডেটা সংগ্রহ করতে পারবে এবং ইনপুট করতে পারবে। এমনকি তারা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ মোডে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণও করতে পারবে। বিষয়টি বর্তমান সময়ের ইন্টারনেটের মতোই ছিল। বিজ্ঞানীরা দাবি করেন যে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চুরি ছিনতাই,যিনা ব্যাবিচার সহ সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের উপর নজরদারি করা যাবে। চিকিৎসা সেবা সহজ করা যাবে।আত্মীয় স্বজনদের খুঁজ খবর রাখা যাবে। শিক্ষার সহজলভ্যতা ও এর গুণগত মান উন্নত করা যাবে। মানুষের মধ্যে নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করে মানব সমাজকে যেমন করা যাবে আরো নিরাপদ আরো শান্তিপূর্ণ তেমনি এই গ্রহটিকেও করা যাবে আরো উন্নত ও সমৃদ্ধ। মোটকথা এই আয়না প্রযুক্তি মানবজাতির জন্য নিয়ে আসবে এক অভাবনীয় সাফল্য। এর পর তারা মূল আয়নাটিকে সবার অজান্তে আমাজন ফরেষ্টের একবারে মধ্যিখানে একটা সাদা বিল্ডিংয়ের ভেতর ভরে বিল্ডিংটি তালাবদ্ধ করে রাখেন। চারপাশে বসিয়ে দেন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যেন কোন ক্ষতিকর তথ্য উপাত্ত মূল আয়নার মধ্যে কেউ যুক্ত করতে না পারে সেজন্যই এতো সতর্কতা।

আয়না চুরি Where stories live. Discover now