ব্লোজব (ছোটগল্প)

321 0 2
                                    

চাকরি জিনিসটা রাশেদের সাথে ঠিক যায় না। তার আত্মসম্মান বোধ প্রবল। যাদের আত্মসম্মান বেশি থাকে তারা চাকরি করতে পারে না। কিন্তু রাশেদ অপারগ। পেটের দায়ে এখন তার চাকরি করতে হয়। স্যার স্যার বলে কুকুরের মতো সিনিয়রের পেছনে পেছনে ছুটতে হয়, ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, অবিশ্রান্ত দেহে রাত নয়টায় বাসায় ফিরতে হয়। মোদ্দাকথা, রাশেদের জীবনে আর পাঁচজন চাকুরিজীবীর মতো বিনোদন নেই, রসকষ নেই। তার জীবনে চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই। অনেককিছুই করতে মন চায় তার। অন্যান্য বন্ধুদের মতো মেয়েছেলে নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে যেতে মন চায়, গভীর রাত পর্যন্ত মদ খেয়ে মাতাল হতে মন চায়, স্বপ্নের রাণীকে নিয়ে উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সেসবই তার অলীক কল্পনা। তার জীবন বেঁধে আছে অফিস আর বাড়ির গণ্ডিতেই। কোনোরকম আনন্দ-ফুর্তি নেই।
আজ রবিবার। বিজিবি ৩নং গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে রাশেদ। তার হাতে একটা কালো ফাইল। এরমধ্যে অফিসের যাবতীয় দরকারি কাগজপত্র আছে। সে একটা বেসরকারি ব্যাংকে ছোট্ট একটি পদে কর্মরত আছে।
এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো ঘড়ি দেখলো সে। ১০:৪৫ বাজে। এখন পর্যন্ত একটা বাসও গেল না এই পথ দিয়ে। দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো তার বুক চিঁড়ে। প্রতিদিনই লোকাল বাসে ঝুলতে ঝুলতে বাসায় ফেরে রাশেদ। ঘর্মাক্ত দেহে, নানান ধরনের মানুষের ধাক্কাধাক্কিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে সে। কখনও কখনও বমিও আসতে চায়। তবুও কিছু করার নেই তার। টাকা বাঁচায়। ইদানিং তার এই 'টাকা বাঁচানো'র বাতিকটা বেড়ে গেছে। সামনে মাসেই বাবার ওপেন হার্ট সার্জারি। প্রচুর টাকাপয়সা দরকার।
মিনিট দশেক পর একজন লোককে রাশেদ দেখতে পেল। তার হাতে একটা প্লাস্টিকের জুসের গ্লাস। লোকটা তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় বললো,
"ভাই, আজকে তো অবরোধ। বাস পাইবেন না।"
নিজের বোকামিতে রাগে চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করলো রাশেদের। আজ সকালেই খবরের কাগজে পড়েছে সে, টিভিতেও দেখেছে। সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে বিরোধী দল বিএনপি। এত হট নিউজ কিভাবে ভুলে গেল সে!
অগত্যা রাগে গজগজ করতে করতে বাসার দিকে হাঁটা দিলো রাশেদ। তার বাড়ি আজিমপুরে, কলোনির পাশেই এক বাড়িতে মা-বাবার সাথে থাকে সে। ধানমণ্ডি লেকের রেলিং ঘেঁষে হাঁটছে সে। পাশ দিয়ে শোঁশোঁ শব্দ তুলে প্রাইভেট কারগুলো ছুটে যাচ্ছে। সে স্বপ্ন দেখে যে তারও একদিন এমন একটি গাড়ি হবে, সেও সশব্দে গাড়ি চালিয়ে ছুটবে।
কিছুটা আনমনা হয়ে যাওয়াতে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিশ বছর বয়সী টি-শার্ট ও টাইট জিন্স পরিহিত মেয়েটাকে খেয়ালই করেনি রাশেদ। ধপ করে ধাক্কা লেগে যায়। শেষমুহুর্তে নিজেকে সামলে নিলেও মেয়েটা মেঝেতে পড়ে যায় ধুপ করেই৷ হতবিহ্বল হয়ে কয়েক সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকে রাশেদ। এরপরই কাচুমাচু ভাব ফুটিয়ে তুলে চেহারায়। ফাইলটা একপাশে রেখেই মেয়েটার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তাকে পাত্তা না দিয়ে মেয়েটা রেলিং ধরে উঠে দাঁড়িয়ে গা ঝেড়ে ধুলোবালি ঝাড়তে থাকে।
মেয়েটাকে ভালোমতো লক্ষ্য করে রাশেদ। বিজাতীয় পোশাকে মেয়েটাকে অনিন্দ্য সুন্দর লাগছে। চেহারায় হালকা মেকাপ, চুলগুলো পনিটেইল করে বাঁধা। চেহারায় বেশ 'ডেম কেয়ার' ভাব আছে একটা। এই টাইপের মেয়েরা কথায় কথায় চপট চপট ইংরেজি বলে খুব।
রাশেও তাই করলো। "আ...আই এম রিয়েলি স্যরি।"
"ইট’স ওকে। দোষ আপনার না। দোষ হলো ওই গাড়ি চালকের। এত দামি গাড়ি বাংলাদেশের মতো রাস্তায় চালাতে হয় না, হিহিহি..."
মোহ লাগা দৃষ্টিতে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকে রাশেদ। কত সুন্দর করে হাসে মেয়েটা! গালে টোল পড়ে হাসলে। সে আরো অবাক হলো এটা দেখে যে তার সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে যাওয়ায় মেয়েটা একদমই রাগ করেনি, উল্টো দাঁত কেলাচ্ছে।
রাশেদ বলে, "না...মানে...ইয়ে...আমি..."
"কোথায় যাচ্ছেন?"
"আমি?"
"আমি কি ভুতের সঙ্গে কথা বলছি?"
পুনরায় নিজের বোকামিতে বিরক্ত হয় রাশেদ। ঠিকই তো! এখানে সে আর মেয়েটা ছাড়া আর কেউ কিছু আছে! গর্দভ!
"না..মানে...আমার বাসা আজিমপুর।"
"আজিমপুর! ওয়াও! আমার বাসাও ওখানেই।" বেশ উৎফুল্ল দেখায় মেয়েটাকে। একহাত প্রসারিত করায় করমর্দনের উদ্দেশ্যে। "মাইসেল্ফ শাহানা।"
"রাশেদ।"
"আপনি কি হেঁটে যাবেন? চলুন, একসাথে যাই।"
বেশ অপ্রস্তুত হয়ে যায় রাশেদ। সে হেঁটেই যাবে। কিন্তু এমন একটা মেয়ে তারমতো অচেনা-অজানা এক লোকের সাথে অবলীলায় হেঁটে হেঁটে এতদূর পর্যন্ত যাবে, বিষয়টা বেশ ভাবায় তাকে।
সে বলে, "শিওর?"
"হান্ড্রেড পার্সেন্ট!"
দুজন হাঁটতে থাকে। রাশেদ বেশ গুটিয়ে রেখেছে নিজেকে। জীবনে কখনো কোনো মেয়ের সাথে এভাবে এতদূর পর্যন্ত হাঁটেনি সে। আর পশ্চিমা পোশাক পরিহিত মেয়ের সাথে প্রশ্নই ওঠে না!
রাশেদকে চুপ থাকতে দেখে শাহানা বলে,
"আপনি কি বিবাহিত?"
আচমকা এমন প্রশ্নে আরো অপ্রস্তুত হয়ে যায় সে। আমতা আমতা করে জানায় যে সে অবিবাহিত। শুনে মেয়েটার মুখে এক চিলতে হাসি লক্ষ্য করে ও। তার মনের ভুলও হতে পারে।
"আসলেই ব্রো, এসব বিয়েসাদি করে কোনো লাভ নাই। সব মানুষই বহুগামি।" শাহানার কথাগুলো হজম করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে তার। "লাইফটা এনজয় করেন।"
আচমকাই রাশেদের হাতে হাত রাখলো মেয়েটা। চমকে উঠে হাঁটা থামিয়ে দিলো সে। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো মেয়েটার দিকে।
শাহানা ওর একদম কানের কাছে এসে দাঁড়ালো। ফিসফিস করে বললো, "এনজয় করতে চান?"
মোহগ্রস্থের মতো উপর-নিচে মাথা নাড়ালো সে। হ্যাঁ, এনজয় করতে চায়।
শাহান একপ্রকার তার হাত ধরে টানতে টানতে ধানমন্ডি লেকের ভেতর ঢুকে গেল। এককোনায় বেশ ঘন ঝোপঝাড় দেখতে পেল রাশেদ। তার বুকের ভেতরটা ধ্বক করে উঠলো। জীবনে প্রথম আদিম উন্মত্ততায় মত্ত হতে যাচ্ছে সে।
মেয়েটার চরিত্র ভালো না খারাপ, সেইসব বাছবিচার তার মাথায় নেই এখন। আশেপাশে কেউ নেই। একদম ফাঁকা। হঠাৎ করেই শাহানা তার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। একসময় ঠোঁট ছাড়িয়ে কয়েক পা পিছিয়ে গেল। নিচু হয়ে হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়লো সামনে। নিয়মিত পর্ন দেখা রাশেদের কাছে এই আসন পরিচিত। ব্লোজব!
দ্রুত বেল্ট হাতড়ে প্যান্ট খুলতে উদ্যতই হচ্ছিল সে, তখনই তার হাত ধরে তাকে থামিয়ে দিলো শাহানা। মেয়েটার চোখের দিকে তাকালো ও। কুটিল হাসি ঝুলছে। আশ্চর্যজনকভাবে বেশ ভয় হলো তার। তবে পরক্ষণে বুঝতে পারলো যে অনেক মেয়েরা নাকি পার্টনারের প্যান্ট খোলার মধ্যেও উত্তেজনা অনুভব করে। শাহানা নিজের হাতেই তার প্যান্ট খুলে দিলো৷
জাঙ্গিয়া টেনে নামাতেই লাফিয়ে বেরিয়ে উঠলো রাশেদের ধন। সেটা আলতো করে কপাল ছুলো শাহানার। ধনের মাথায় ছোট্ট করে চুমু দিলো সে। জিহ্বা বুললো আলতো করে। এরপর পুরো একবারে ঘপ করে মুখে পুরে নিলো। শুরু হলো ব্লোজব। শাহানার চুল খামচে ধরে আবেশে চোখ বুজে এলো তার। দূর থেকে ভেসে আসা গাড়ির হর্নের শব্দ সুররিয়ালিস্টির জগতের ধ্বনি মনে হলো তার। চুষতেই লাগলো শাহানা। অনবরত, অবিরত।
সে চোষার মাত্রা বাড়িয়ে দিলো। রাশেদ শক্ত করে চেপে ধরলো তার মাথা। আলতো করে তার গলায় ধন দিয়ে ঠাপাতে লাগলো। প্রতিটি ঠাপ শাহনার গলায় গিয়ে লাগছে। সল গোঁ গোঁ করে আওয়াজ করছে, মুখ থেকে লালা ঝরছে।
রাশেদ নিচু হয়ে জোড়রে জোরে তার দুধ টিপতে লাগলো।
এভাবে চলতে লাগলো মিনিট বিশেক। হঠাৎ করেই কি যেন হলো কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে এই সেক্সি সিন বদলে গেল লোমহর্ষক সিনে।
জ্বলজ্বল করে উঠলো শাহানর চোখজোড়া। পরমুহূর্তেই একটানে গোড়া থেকে টেনে ছিঁড়ে ফেললো রাশেদের পুরো ধন। ঘটনার দ্রুততা ও আকস্মিকতায় চিৎকার করার শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেললো সে। গলগল করে রক্ত পড়তে লাগলো। ধনবিহীন কাটা অংশ ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গোঙাতে লাগলো রাশেদ। তখনও তার থেকে খানিকটা দূরে হাঁটু গেঁড়ে বসে হাসছে শাহানা। তার ঠোঁটের ফাঁকে ঝুলছে তার কাটা ধন। চুইয়ে চুইয়ে রক্ত ও বীর্য গড়াচ্ছ মেয়েটার ঠোঁট বেয়ে....

সমাপ্ত

You've reached the end of published parts.

⏰ Last updated: Nov 11, 2023 ⏰

Add this story to your Library to get notified about new parts!

ব্লোজবWhere stories live. Discover now