শাড়িপরা বঙ্গরমণীর ছবি দেখতে কার না ভালই লাগে আর তা যদি হয় দ্যা প্রাইম ব্ল্যাক রংএর! উফফফ! অসাধারন।
মায়া ভরা একরাশ হাসির মাঝে, খাজ কাঁটা শাড়ির কুচি আর আচল জুড়ে অদ্ভুতুড়ে সব কল্পনা মিশে আছে হাজার বছরের কবিতায়।
আজ রমণীতে অসাধারন লাগছে তার কালো শাড়ির উপর সাদা প্রিন্টের ছোয়া, দেখে তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছা করছে, তাকিয়েই আছি। ১০০ মাইল দুরে রমনী, জঞ্জালে ভরা শহরে! আমি পথিক! গরম আর অবরধে পড়ে আছি গ্রামে। ১০০ মাইল দুর থেকে দেখছি তাকে! প্রযুক্তি বাবা প্রযুক্তি! মনের চোখের পাওয়ার এত বেশি না! আর আমি কোন কবিরাজিতে এক্সপার্ট না । i
গালে স্নো-পাউডারের ছিটেফোঁটাও নেই তবুও তাকে অমায়িক লাগছে। রংবেরং এর ছবিতে যেন একাই রাজত্ব তার! অবশ্যই রমণী বলে কথা।
ঈদের ছুটি চলছে, চারদিক অমায়িক সুন্দর, রংবেরঙ এর বাতির আলোয় অলিগলি আলোকিত। রমণীও নিজ বাড়িতে, এবার আর আগের মত ট্রেন ছুঁটে যায়নি। বর্ষা ভরা শহরে আমি আর রমণী আর হাঁটি নি। থাকনা পুরনো কথা।
ঈদের রাতে একটা ছোট বার্তা তো পাঠানোই যায়। কি লিখবো? ঈদ মোবারক? আরো কিছু লিখা তো দরকার। এত ছোট বার্তা তো পাঠানো যায় না। এই ভেবে ভেবে গ্রামের পথে জোৎস্না রাতে হাঁটছি।
রমণী এখন কি করছে? ঈদের আগের দিন বাঙ্গালি রমণীরা কি করে? তারা মেহেদী লাগায়। গোল করে বসে ৮-১০ জন একসাথে বিভিন্ন সাঁজের মেহেদী লাগায়। হয়তো রমণীও লাগাচ্ছে। শুনেছি রমণীদের মেহেদী রং যত বেশি রঙ্গিন হয় তাদের জিবন সঙ্গী নাকি ততবেশি ভালোবাসে। আচ্ছা রমণীর মেহেদীর রং কেমন হয়েছে?
আমি এই নিয়ে এত ভাবছি কেন? আমি তো তার জিবন সঙ্গী না। আমি কি রমণীকে ভালোবাসি? এহহহে এই তো পড়ে গেলাম কঠিন গোলকধাঁধায়। আসলে কি?
এর মধ্যেই বুলেট হাজির! ভট ভট ভট ভট আওয়াজ করছে পেছনি। নিশ্চই ওর বাবার আদিমকালের ইযামাহা মোটরসাইকেলটা নিয়ে এসেছে। শুনেছিলাম যেই আমলে আংঙ্কেল এই মোটরসাইকেল কিনেছিল তখন অত্র জেলা তেও কোন মোটরসাইকেল ছিলনা। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ নাকি দেখতে আসতো গাড়িটি। আচ্ছা যাই হোক, পেছন থেকে আওয়াজও শোনা যাচ্ছে। পথিক পথিক এই পথিক্কা........
