আমি আর টুকটুকি কোনো এক অজানা নদীর মাঝে নৌকোয় বসে আছি।নদীর পানি আকাশের রঙে রাঙানো। গভীর নীল।বসন্তের বাতাস বইছে।বাতাসে টুকটুকির চুলগুলো মুখের সামনে চলে আসছে।কিন্তু তাকে খারাপ লাগছে না মোটেও।টুকটুকি আমার পাশে বসা।"কেনো এমন করছো তুমি?" টুকটুকি অবাক সুরে আমাকে জিজ্ঞেস করলো।
"কি করছি?"
"এই যে প্রতিদিন স্বপ্নে আমার সাথে দেখা করতে আসছো,এটা কি তোমার জন্য ঠিক?"
"সঠিক আর ভুলের পরে যে ময়দান আছে, সেটাই স্বপ্ন।"
টুকটুকি কিছুই বললো না।চুপ করে আকাশের পানে চেয়ে আছে।আমি মুগ্ধ হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছি।
"খোদা বোধয় খুব যত্নে এই রুপের নকশা করেছে"
"কি?"
"কিছু না"
আমি টুকটুকির চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম,"কখনো কখনো মনে হয় তুমি নেই"
"আমি সত্যিই নেই।"
আমি দীর্ঘ শ্বাস ফেললাম।টুকটুকি অভিমান সুরে খুব আসতে আসতে বললো,"চলে যাও "
"কিহ?"
"চলে যাও এখন। অন্য কোনো স্বপ্নে আবার এসো"
"না,আমি যাবো না আজ,এই স্বপ্নে আজীবন তোমার সাথে কাটিয়ে দিতে চাই"
টুকটুকি দাঁড়িয়ে গেলো।নৌকোটা একটু লড়ে উঠলো।
সে কিছু না বলতেই আমি একটি উচ্চস্বরে বলে উঠলাম,"সুইসাইডটা এবার করেই ফেলবো,আর বাচতে চাই না"
"যারা মরে যেতে চায়,তারাই খুব বেশী বাচতে চায়"
"আমি বাচতে চাই না।"
"ভালো থেকো" এই বলে সে পানিতে ঝাপ দিয়ে দিলো।আমি চিল্লিয়ে টুকটুকির নাম চেপে উঠে গেলাম।ঘুম থেকে উঠে গেলাম।৩ টা বাজে,মাঝরাত।রুমের লাইট জ্বালানো।খুব অসুস্থ অনুভূত হলো।কপালে হাত দিয়ে দেখি জ্বরটা অনেক বেড়ে গেছে।