গল্পের সময়কাল এখনকার নয়। ১৯৫০ সালের দিকের। তাই আশা করি কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করি গল্প সময় মতো লেখার, "আপডেট প্লিজ", "নেক্সট" এ ধরনের কমেন্ট করবেন না দয়া করে।
মাস্টার্সের থিসিসের কাজ শুরু হয়েছে আমার। তাই আশা করি আপনারাও সহনশীল আচরণ প্রদর্শন করবেন।
ধন্যবাদান্তে~
আফসানা মুশতারী
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ছাদে দাঁড়িয়েছিলাম একা একা। বড় আপা ডাকতেই নেমে এলাম ছাদ থেকে। আপা তার সাতমাস বয়সী ছেলে টুকুনকে আমার কোলে দিলো। আপা আর দুলাভাই খুলনা যাবে হাসপাতালে, আপার ননদকে দেখতে।
মেজো আপার বিয়ে সামনে, আট দিন পরেই। সারাবাড়ি তাই মেলা ব্যস্ততা। রং মিস্ত্রীদের দিয়ে বাড়ির দেয়াল রং করাতে ব্যস্ত বাবা।
মা রান্নাঘর থেকে হাঁক ছাড়লো, "টুকুনরে লোপার কোলে দিয়ে এইদিক এট্টু আয় দেহি স্বর্ণ।"
স্বর্ণ। আমার নাম স্বর্ণলতা। লোপা আমার মেজো বোনের নাম। মেজো আপার কাছে টুকুনকে দিয়ে দৌড়ে গেলাম রান্নাঘরে। যেতেই মা সবজি কেটে দিতে বললো আমাকে। মা রান্নাবান্নায় ব্যস্ত।
বাড়িতে মেহমান আছে । মেজো আপার বিয়ে উপলক্ষ্যে তারা এসেছে। আমার তিন চাচা আর তাদের পরিবার। কয়েকদিনের মধ্যেই আমার দুই ফুপু, মামা, খালারা সহ সকল আত্মীয় স্বজন এসে হাজির হবে।
মেজো আপা গত কয়েকমাস ধরে বেশ রূপ চর্চা করছে। ন্যাবো আর আমি সব সময় মেজো আপাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করি এজন্য। ন্যাবো স্কুলে মাস্টারি করে।
বড় ভাবী গেছে একদিনের জন্য বাপের বাড়ি, তার বড় ভাই নাকি ইন্ডিয়া যাচ্ছে ব্যবসার কাজে, তাই ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেছে।আমার আরো একজন ভাই আছে। আমার মেজো ভাই। তাকে আমরা ভাই বোনেরা নানো বলে ডাকি। সে থাকে পশ্চিম পাকিস্তানে। চাকরীর কারণে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে বদলি হয়েছে তার। মিলিটারীতে চাকরী হয়েছে তার দু বছর হলো। নানো যখন বাড়ি আসে তখন আমি তার কাছে শুনতে পাই, পাকিস্তান আর্মিতে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীদের বড় হেলাফেলা করা হয়, তাদের পদোন্নতিও হয় না সহজে। নানো বড় আফসোস করে আর্মিতে যাওয়ার জন্য।
YOU ARE READING
অরুণোদয়
Historical Fictionআমি আয়নার দিকে তাকিয়েই রইলাম, সেখানে যাকে দেখা যাচ্ছে, তার চোখে অশ্রু নেই, আগুন জ্বলছে। এই আগুন পুড়িয়ে দেবে সব কিছু। সব ছাই হয়ে যাবে, ভস্ম হয়ে যাবে।