সোহনা ল্যাপটপ থেকে চোখ সরালো।
"এই অবেলায় চললি কোথায়?"
"যাক নজরে পড়লো তাহলে? আজকাল তো ল্যাপটপ থেকে মুখ তুলিসনা।" রিনি ঝনঝন করে উঠলো।
সোহনা মুচকি হেসে বিছানা ছেড়ে উঠলো। সে জানে এখন তার কি করা উচিত।
"লাভ ইউ রিনি। ভুল বুঝিস না প্লীজ। আসলে কদিন একটু busy ছিলাম। বুঝতেই পারছিস, নতুন ল্যাপটপ।" রিনির গলা জড়িয়ে আদুরে গলায় সোহনা বলে উঠলো।ব্যস, রিনির রাগ গলে জল।
"কোথায় চললি?"
"আদিত্য দার সঙ্গে একটু বেরোবো আর কি।" রিনির মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেল।
"বাহ। ভালো। যা ঘোর ঐ ফালতু ছেলেটার সাথে।তোকে আগেই বারণ করেছিলাম। শুনবি কেন ! যেদিন ল্যাং খাবি, সেদিন বুঝবি।" সোহনা কাঁধ ঝাঁকালো।
"Demoralise করিস না তো।" রিনি ভয়াতুর চোখে তাকালো।
"যারা ইমন চ্যাটার্জী এর মতো লোকের পা চাটে, তাদের life ওখানেই শেষ। জেনে রাখ। হুহ।" সোহনা চোখে অবজ্ঞা হেনে গটগটিয়ে বাইরের বারান্দায় চলে গেলো।প্রায় বছর খানেক হলো ওরা দুজন এই ভাড়া বাড়ি তা নিয়েছে। ওদের কলেজ থেকে মিনিট কুড়ির হাঁটা পথ। দুজনের এই ছোট্ট সংসার বেশ চলে যায়। কলেজে থেকে ফিরে আড্ডা, সন্ধ্যে বেলা নমনোমো করে পড়ার পাঠ চুকিয়ে প্রায়ই হয় ইভিনিং শো, নাহয় youtube। ঘুম আজকাল গভীর রাতের অতিথি, তারপর সকালে ঘুম ভেঙে পড়িমরি করে আবার কলেজ। দুজনের ই ইকোনমিক্স এ মাস্টার্স চলছে।
সব চুপচাপ দেখে সোহনা ঘরে এলো। রিনি বেরিয়ে গেছে। আদিত্য দা কেমন তা নিয়ে সোহনা অতটাও ভাবে না, তার অসুবিধা শুধু ইমন চ্যাটার্জী কে নিয়ে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সোহনা আবার ল্যাপটপ তা কোলে নিয়ে বসলো। ফেসবুকে লগ ইন করে কোলবালিশ টা টেনে গা টা বিছানায় এলিয়ে দিলো।
ওর টাইমলাইনে কেউ একজন পোস্ট করেছে :
"Are you really Jill? Is it a real account or fake one?"মুচকি হেসে সোহনা লিখলো:
No, it's not my real name. But yeah, I'm genuine one. Not a fake profile.ওদিক থেকে উত্তর এলো :
Then why didn't you gave your picture or anything about you?সোহনা এবার যথেষ্ট বিরক্ত হলো। আঙুলের ডগায় টকাটক টাইপ করতে লাগলো...
If you've trust issues, then I'm gonna unfriend you. If you want to accept a friend with fake name then accept, otherwise you may go. This profile is for fun, I'm not in mood of discussing nuclear weapons. LOL..রাগের বশে একেবারে unfriend ই করেদিল ছেলেটাকে।
****
ইলেক্টিভ ইংলিশ এর নোটস গুলো নাড়াচারা করতে লাগলো সোহনা, হঠাৎ ই একটা pop up মেসেজ ঢুকলো ওর ল্যাপটপ এ।
"Hello jill..."
মিনিট দুয়েক ভেবে সে লিখলো "hello, who are you?"
"Jack."
"What?" ভ্রু দুটো কুঁচকে গেলো সোহানার।
"Kidding. So, how are you?"
"Fine."
"Nice to meet you." হাসি পেলো সোহনার।কতটা চিনলো তাকে? এতো সহজেই বলে দিল আলাপ করে ভালো লেগেছে! প্রোফাইল এর নাম টাও আনকোরা, ‘you may know me’। তার ই মতো ইনিও নিজের সেক্স ছাড়া কোনো তথ্য দেননি; বাংলা, হিন্দি, ইংরাজী আর স্প্যানিশ জানেন, বয়স তিরিশ।
"Thank you."
ছোট করে ইতি টানলো চ্যাট এর। ফেসবুক এ সদ্য হাতেখড়ি তার। উৎসাহ রাশ টানা প্রয়োজন। কাল কলেজে ইমন স্যার ক্লাস টেস্ট নেবেন, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। মানুষ টা কে সোহনার একদমই নাপসন্দ।পড়া জিনিসটা বোধয় অতটাও সহজ না, তার ওপর আবার ফেসবুক এ আজ সকালেই প্রোফাইল টা খুলেছে। অনেকে শুনলে হয়তো অবাক হবে, তেইশ বছরের একজন আধুনিকা এতদিন ফেসবুক নামক কুহেলিকা থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলো।
হাজার চেষ্টাতেও যখন মন বসলোনা, বাধ্য হয়েই হাল ছাড়লো সোহনা, You may Know Me কে কিছুতেই চিন্তা থেকে বের করতে পারছে না।
Author's note: Hi, this is my first attempt in writing Bengali story in wattpad. Plz support me by votes and comments...❤
Storyteller...
YOU ARE READING
Hide And Seek
General Fictionবাংলা গল্প। জানিনা কতটা ভালো ফুটিয়ে তুলতে পারবো। চেষ্টা করছি আপ্রাণ। Where two unknown people get emotionally attached through social media not knowing about the consequences.