এক তরফা প্রেম

25 0 0
                                    


নওমি ইন্টারমেডিয়েটে সাইন্স সাবজেক্ট নিয়ে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। এক রঙিন জীবনের অধিকারী।  রঙিন জীবন বলতে সারাক্ষণ বিনোদনের পরে থাকা একজন। পরিবারের সকলেই বন্ধু স্বরুপ বিধায় বেশিরভাগ সময় হাসির আবেশে ভেসে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে তার। তাছাড়া তার বান্ধবী গুলো তারই মত বিনোদনের ডিব্বা। সব মিলিয়ে নওমির দিন গুলো বেশ আমেজেই কেটে যাচ্ছিলো। কিন্ত কে জানে এই বিনোদিত জীবনে আরো বেশি বিনোদন তার নিকট আসছে উদ্ভট এক প্রানীর মাধ্যমে  !!

কলেজ ছুটির পর কোন এক দুপুরে খাবার দাবারের পর শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে নওমি। দুপুরে ঘুমায়না তবে গান শুনে আর গুনগুন করে। প্রতিদিনের মত সেদিনও কানে হেডফোন গুজে একটা গান সিলেক্ট করার জন্য ফোনের প্লে লিস্ট ঘাটাঘাটি করছিলো। একটা গান খুজে বের করে তাতে প্লে অপশনে টাচ করেই বিকট এক চিৎকারে তার ঘরের দেয়ালকে জ্ঞান হারা করে ফেলে। ভাবছেন দেয়াল তো প্রানহীন বস্ত? তাহলে জ্ঞান হারায় কি করে?

তার আগে সেটা ভাবেন, লোকমুখে যদি শোনাযায় দেয়ালেরও কান আছে তবে দেয়ালের অজ্ঞান না হবার কি আছে !! 

নওমি - তুই কল করার আর সময় পেলিনা? আতকে উঠেছি হঠাৎ তোর কল আসাতে।

রাইসা- কেন আতকে উঠার কি আছে ! এবং কল তো হঠাৎই করে সবাই। কেও তো আর কল করার আগে বলে নেয়না " দোস্ত কল করবো এখন, প্লিজ আতকে উঠিস না"

নওমি- আমরা মানুষ রে বাপ!!  আমাদের তো আর সম্ভব না যে দূর থেকে বলে দেয়া " দোস্ত কল করছি এখন" প্লিজ ঘাবড়ে উঠিস না। এলার্ট থাকিস। তাই মাঝে মধ্যে আতকে ওঠাই স্বাভাবিক।

রাইসা- আচ্ছা ঠিক আছে। তবে একটা প্রশ্ন আছে।

নওমি- কি বল!

রাইসা- দোস্ত আতকে উঠার সময় কি কোন অদৃশ্য সিঁড়ি আবিষ্কার হয়?

নওমি- না তো দোস্ত। এইটা আবার কেমন কথা। আমি বাপের জন্মেও শুনিনি!!

রাইসা-  ওইযে বললি আতকে উঠেছিলি। কিন্ত সিঁড়ি ছাড়া আতকে কোথায় আর কিভাবে উঠলি।
আর বাপের জন্মে শুধু বাপেরাই শুনে। কারন তখন তুই ছিলিনা।

এক তরফা প্রেমWhere stories live. Discover now