ভৌতিক ডান্স ক্লাব

5 0 0
                                    

,,,,,,,,,,,DANCE CLUB,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,১ম পর্ব,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
# রূপকথার_সেই_রাজকুমার (আলম রাজ)
,,,,রাত ১০টার সময়।ঘরের(মা বাবার) শত
বাধা সত্বেও ঘর থেকে বের হলো মীম।মীম
তার মা বাবার আদরের মেয়ে।তবে
সমস্যাটা হলো বেশি আদরে বাদর টাইপের।
ঘুরে বেড়াতে ইচ্চা করে খালি।তবে ও
একটা ছেলেকে ভালোবাসতো।নাম রাজ
আলম।যে বর্তমানে একটা খুদে গোয়েন্দা
(২০-) টিমে কাজ করে।
রাজের কাজ আগে ভালো লাগলেও এখন
ভালো লাগেনা মানে যখন থেকে এই
গোয়েন্দা টিমে ডুকেছে।যখন মীম বলে
ঘুরতে সে তখনই সে বলে কাজ আছে।যাই
হোক এখন ঘরতে বের হইসে।সে একা নয়।
সাথে আরো ৩জন।তারা হলো
মাহিন,তারেক আর সৌরভ।
তারা ৩ জনই হলো মীমের বেস্ট ফ্রেন্ড।
সেই ছুটোবেলা থেকে একসাথে পড়াশোনা।
প্রতিদিনই তারা একসাথে ঘুরতে যায়।
তারা কেউই রাতে ঘুরে নি।তাই তারা
আজকের তারিখ ঠিক করে একটা ডান্স
ক্লাবে যাওয়ার পরিকল্পনা করে।তারেকর
কিছুটা আপত্তি ছিলো তবুও চলে আসে।তাই
সে শত বাধা সত্বেও বাড়ি থেকে বের
হলো।তারা থাকে সিলেট জেলায়।যার
কারনে ডান্স ক্লাব পাওয়াও খুব কস্টকর।
তারা তা চিন্তা করেনা।যে করেই হোক
বের করে ফেলবে একটা ডান্স ক্লাব।এ
নিয়ে টেনশন করলে চলবে না।সব শেষে বের
হলো মীম।এখন উদ্যেশ্য সুরমা ব্রিজ।
যেখানে তারা প্রত্যেকে প্রতিদিন
মিলিত হয়।তবে মীম তারেকের সাথে
সাক্ষাত করে এম সি কলেজের সামনের
ফাকা জায়গায়।এখন মীম বাড়ি থেকে বের
হয়েই ফোন করলো মাহিন কে।মাহিন কে
বললো সে কোথায়?মাহিন বললো সে তার
বাসায়।
মীম বললো দাড়া তর খবর আছে।আমি মেয়ে
হয়ে রাস্তায় এতরাতে আর তুই ঘুমাচ্চিস।
মাহিন বললো ওহ মনে পরসে।আমি
আসতাসি আর সৌরভকেও আনতাসি।
মাহিনের সাথে কথা বলে সে সুরমা
ব্রীজে গেলো।গিয়েই পেলো তারেককে
সিকারেট হাতে।সে গিয়েই তারেককে
কিল দিলো আর বললো শালা তুই এখনো
সিকারেট খাস।
তারেক বললো খামু নাতো কি করমু তুরাতো
একটা গফ জুগাড় করতে পারলি না আমার
জন্য।
মীম -গফ কেনো।
তারেক :কিস খামু।
-শালা লুচ্ছা।
:হুহুহুহু।
-হাসতাসস কেনো সিকারেট ফেল।গন্ধে
ঠিকতে পারতাসি না।
:হু
-এইতো ভালো ছেলে।
এরই মধ্যে হাজির হলো মাহিন আর সৌরভ
কার নিয়ে।
এসেই মাহিন গলা বের করে বললো
তাড়াতাড়ি উট ১০:২৭ বাজসে।
মীম তাড়াতাড়ি উঠে গেলো।তারেক ও
উটলো।
গাড়িতে মীম আর সৌরভ সিটে আর পেছনে
মাহিন তারেক।তারা সবাই গল্প করছিলো।
এমন সময় মাহিন বললো গাড়ি ছাড়
তাড়াতাড়ি।সৌরভ বললো কোন দিক দিয়া
যাবো?
মাহিন বললো যা এক দিকে মন চায়।
সৌরভ ছাড়লো গাড়ি।তারা গল্প করে করে
যাচ্চিলো।হাঠাৎ মাহিনের চোখ পড়লো
একটা ক্লাবের মতো কিসের উপর।
মাহিন সৌরভ কে বললো থাম।
সৌরভতো ভাবলো গল্প থামাতে বলছে তাই
সে গাড়ি থামচ্ছে না।পরে আবার বললো
গাড়ি থামা। সাথে সাথে থামালো
গাড়ি।তারা বললো কি হয়েছে?
মাহিন বললো গাড়ি পেছনদিক দিয়ে নে।
সৌরভ পেছনদিক দিয়ে নিলো।নিয়ে তারা
দেখলো একটা নাইট ক্লাব।
মাহিন বললো চল সবাই। ক্লাবের পাশে গিয়ে দেখলো চমৎকার
একটি ক্লাব কিন্তু ক্লাবটা অন্যরকম ক্লাব
মনে হচ্ছে। ক্লাবের সামনে স্পাইডার
আকাঁ।
আর ক্লাবের বানানোর তারিখটা
তারিখটা লেখা ১৯৮৭ সালের জুন মাসের ৩
তারিখ।
সৌরভ বললো চল এটা ক্লাব বলে মনে হচ্ছে
না।কিন্তু তারেক বললো আরে ক্লাবই যদি
না হয় তাহলে উপরে লেখা কেনো এস ডান্স
ক্লাব।
এমন সময় রাজের ফোন আসলো মীমের
মোবাইলে।মীম ফোন তুলে বললো কি করো?
রাজ বললো যাই করি তুমি নাকি বাড়ি
থেকে বের হইসো।
মীম বললো হুম।আমার সাথে
মাহিন,তারেক,সৌরভ আছে।
রাজ বললো আচ্ছা ভালো থাকিস।হয়তো
এটাই ছিলো রাজের সাথে মীমের শেষ
কথা এটা কেউই জানত না।
এখন সৌরভ বললো কি করবি?
ডুকবি বারে?
মাহিন বললো হুম চল।
তারেকও বললো চল।
তারা চললো ক্লাবের ভিতর।
গিয়ে সেখানে ডুকেই দেখলো জমজমাট
মিউজিকের সাথে ডান্স চলছে।আর একটা
জিনিস লক্ষ করলো সবার মুখে মুখুশ পড়া।
তারাও সামান্য ড্রিংকস করে শুরু করলো
ডান্স।কিছুক্ষন পরে তারা নাচতে নাচতে।
বারের একজন মানুষকে সৌরভ বললো এই যে
ভাই শুনছেন(ডান্স করে করে)
লোকটা বললো হুম বলো।
মাহিন বললো ভাই এখানে সবার মুখে মুখুশ
কেনো?
লোকটা বললো এমনিতেই।
আবার মাহিন বললো মুখুশ কোথায় মিলবে?
লোকটা বললো কেনো?
মাহিন বললো আমরা ও পরবো মুখুশে
আপনাদের সেই রকম লাগছে।আমরাও পরব।
লোকটা মুখুশ খুলে বললো তুমরা তো ভালো
আছো কাল থেকে মুখুশ পরবে।
নাচের তালে হঠাৎ তারেকের চোখ পড়লো
লোকটার চোখ নাই।আর চোখের পেছনে
দেয়াল দেখাচ্ছে মোখ দিয়ে রক্ত বের
হচ্ছে।অন্য দিকে গান বন্ধ হয়ে গেলো আর
তারা দেখতে পেলো লোকেরা তাদের
দিকে এগিয়া আসছে।আর সবার এখন মুখুশ
নাই।কারো চোখ নাই।তো কারো মুখ নাই।
একসময় সবাই তাদেরকে ধরলো আর তারা
চিৎকার করতে লাগলো।
বাচাও বাচাও বাচাও করে চিৎকার করলো
মীম।
কিন্তু বাচলো না।
অবশেষে সমাপ্তি হলো তাদের জিবনের।
তবে তাদের আত্মাটা অতৃপ্ত রয়ে গেলো।
# অপরদিকে সকাল হওয়ার পর বাড়িতে আসে
নি তাই মীম,তারেক,মাহিন,সৌরভের মা
বাবা অস্তির। মীমের মা দিলো সৌরভে
মা কে।
ফোন দিয়ে মীমের মা বললো সৌরভের
মাকে মীম বাড়িতে আসে নি।সৌরভের মা
বললো সৌরভকও নাকি পাওয়া যাচ্ছে না
ফোনে।সৌরভের ভাই মাহিনকে ফোন
দিলেন তারও ফোন বাজসে কিন্তু ধরছে না।
তারেকের ফোনও বন্ধ।
এদিকে তাদের সবার মা বাবা পুলিশে
গিয়ে পুলিশকে ইনফর্ম করেন।সেখানে
অফিসার ছিলেন দিপু আহমেদ।যিনি রাজ
যে গোয়েন্দা টিমে কাজ করে।সেই টিমের
একজন আর তিনি রাজের ঘনিস্ট বন্ধু।তারা
একই জেলায় বসবাস করেন।তাই তিনি
চিনতেন মীমের মা বাবাকে।এর জন্য
তিনি রাজকে ফোন দিলেন।আর
হাসনাত,তানবির,ইশান,হৃদয়কেও ফোন
করলেন।যাতে তারা তাদের কাজ আবার শুরু
করে।
রাজ শুনা মাত্রই চলে আসে তাদের সিলেট
কার্যালয়ে।আর অন্যদিকে তানবির খুলনা
হতে আসে ঢাকায় আর ইশান চট্টগ্রাম
থেকে।এসেই তারা ঢাকায় হৃদয় আর
হাসনাতকে নিয়ে ট্রেনে করে চলে আসে
সিলেটে।তাদের আসার সময় কুলাউড়া
স্টেশনে গিয়ে রাজ আর দিপু তাদের নিয়ে
আসে দিপুর বাড়িতে। ,,,,,,,,দিপুদের বাড়ি কুলাউড়া হতে প্রায় ৩০
কিলোমিটার দুরে।আর তাদের আসতে
আসতে সন্ধা হয়ে যায়।দীপুদের বাড়িতে
আসার পর।তারা সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
সেই রাতে দিপু আর তানবির একসাথে
ঘুমায়।
আর অন্যরুমে রাজ(আলম) এবং হৃদয় ঘুমায়।
হাসনাত আর ইশান আরেক রুমে।পরের দিন
সকালের নাস্তা খেয়ে সবাই চলে আসে
তাদের সিলেট খুদে গোয়েন্দা মিপতাহ এর
কার্যালয়ে।এসেই তারা দিপুর সাহায্যে
সকল তথ্য সংগ্রহ করে।
এখন তানবির বললো মীম তো রাজের গার্ল
ফ্রেন্ড ছিলো আর বাকিরাও ফ্রেন্ড।এখন
প্রশ্ন কোথায় হতে পারে ওরা?
রাজ বললো মীমের/রাজের কল রেকর্ড
করলে পাবে।কারন রাত ১২ টার সময় রাজ
ফোন করে মীমকে।তারা কল রেকর্ড চেক
করে দেখলো সিলেট থেকে অদুরে
ফেঞ্চুগন্জে একটা রাস্তার পাশে মীমের
শেষ কল লোকেশন।
তারা সেখানে গিয়ে দেখলো একটা গাড়ি
রাস্তার পাশে সাইড করা।আর রাস্তা
দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে রাস্তাটা দিয়ে
যাতাযাত খুবই কম।
তবে একটা জিনিস লক্ষ করলো পাশে বাড়ি
কয়েকটা আছে।
রাজ গাড়ির পাশে গিয়ে বুঝতে পারলো
গাড়িটা সৌরভের। তারা গাড়ির ভিতর
চেক করে দেখলো যে শুধুমাত্র সেখানে
মীমের ব্যাগ আছে আর কিছুই নাই।এতক্ষনে
তাদের চোখ পড়লো সামনের ক্লাবের
দিকে।ক্লাবটা অনেক পুরাতন দেখেই বুঝা
যাচ্ছে তবে ক্লাবটা গতরাতের মতো
ক্লবটি জেগে উঠেনি যদিও তারা তা
জানে না।আর ক্লাবটি এতো পুরাতন যার
আশেপাশে শুধু ঘনঘন জন্গল আর মাকরসার
জাল।তারা এখন চারপাশ খুজে আর কিছুই
দেখলো না।
হাসনাত বললো এই ক্লাবের আশেপাশে
কিছুই নাই তাহলে তো এটাতে ডুকেছে।
তানবির বললো আর গাদা তুই কিছুই বুজস
না।কারন একটা জিনিস দেখ তুই এইটা এতো
পুরাতন এটার ভিতর কিভাবে ডুকবে?
দিপু বললো হয়তো কিডনাপার এট্যাক।
হৃদয় বললো আরে কিডনাপাররা তো গাড়িও
নিতে পারতো।তাহলে গাড়ি কেনো
রাখলো।
তানবির বললো ধরা পরে যাওয়ার ভয়ে
হয়তো।
রাজ বললো সবাই দাড়া,আমি দেখতাসি।ও
কিছু সময় ভাবতে লাগলো ওরা ভাবতাসে।
# হৃদয়ের রাজের দিকে তাকিয়ে থাকতে
থাকতে বুক ফেটে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।একটা
ছেলে যে নিজের থেকেও বেশি
ভালোবাসতো তার ভালোবাসা
মারাগেলো।রাজের দিকে তাকালেই তার
নিশ্পাপ হাসিখুশি মুখটা কেমন ফ্যাকাশে
হয়ে গেলো বুঝা যায়।তবুও রাজ এটা
লুকাচ্ছে।
এদিকে #রাজ মনে মনে ঐ # বারমুডার_রহস্য
তে যে তাদের বাচিয়েছে সেই আত্মাকে।
আর তারাই পরে # বারমুডা_থেকে_ফে
রার_পথে তার আত্মাকে মুক্তি করে দেয়।
ডাকার
সাথে সাথেই আসলো সে।
রাজ বললো বন্ধু হেল্প করো।
আত্মা বললো বন্ধু বলো আমায় কি হেল্প
করা লাগবে।
রাজ বললো তুমি আমায় একটু দেখে বলো
মীম,মাহিন,তারেক,সৌরভ কি এখন আত্মা
জগতে।কালকে ওরা বড়ি হতে বের
হইসিলো।তখনই চলে গেলো আত্মাটা।
সবাই অবাক হয়ে রাজের দিকে থাকাচ্ছে।
আর ইশান বললো এটা কি বলিস রাজ?ওরা
কি মারা গেসে এটা ভাবলি কি করে তুই?
রাজ বললো আগে শিয়র হয়ে নেই ওরা কি
ওখানে আছে?
সে আবার আত্মাকে ডাকলো।এবার আত্মা
আসলো এসেই বললো ওরা আত্মাদের জগতে
আছে কালকে ওদের মৃত্যু হয়।আর তাও খুব
খারাপ ভাবে।এদের মৃত্যুর সাথে আত্মারা
জড়িত।আর এই ডান্স ক্লাবে।
রাজ বললো আরো কিছু জানো?
সে বললো মীমকে বলে সমান্য তথ্য
পেয়েছি ।তবে ওরাও এখন অতৃপ্ত আত্মা।
তাই নিজেরও ক্ষমতা কম ছিলো।আর এই
ডান্স ক্লাবটা রাতে নতুন রুপ নেয়।আর
ভয়ানক হয়ে ওঠে মাঝে মাঝে।আর এভাবে
অনেক লোককে এই ক্লাবে মরতে হয়েছে। ,,,,,,,আর তারা সবাই পরবর্তিতে হয়ে যায়
অতৃপ্ত আত্মা।তারও অপেক্ষা করে নতুন
একটা শিকারের।
ইশান বললো এই হয়ে যাওয়া ঘটনার
কাহিনী কি?কার কারনে এই ঘটনা ঘটেছে।
আত্মা বললো আমি বেশি কিছু আর
জিগ্যেস করি নি।কারন ওখানে আমার
শক্তি নাই।
রাজ বললো তাহলে বাই দুস্ত।
আত্মা বাই বলে চলে গেলো।
তানবির বললো তাহলে এখন সবাই শুনো
আমরা এই ক্লাবে ডুকবো।
হাসনাত বললো যদি আত্মারা আমাদেরকে
এট্যাক করে তাহলে?
তানবির বললো না এটা করবে না।কারন এটা
রাতে জেগে ওঠে।আর রাতেই শিকার করে।
হৃদয় বললো করলেও করতে পারে।
তানবির বললো হুম।
ইশান আর দিপু একসাথেই বললো তাহলে
চলো।
সবাই বললো হুম।
ভিতরে ডুকেই কাউকে মিললো না।তবে
অন্ধকারে মাকরসার জাল আছে বুঝা
যাচ্ছে।
হৃদয় মোবাইল দিয়ে লাইট মরলো।
হাসনাতও লাইট মারলো।
এখন অনেকটা দেখা যাচ্চে।
তারা একজন একেকদিকে থাকাচ্ছে।
হঠাৎ রাজ বলে উটলো তারেক তুই এরকম হলি
কেমনে মামা(হাল্কা কেদে)?
(আর এদিকে সবাই লাইট ফিরালো, দেখা
যাচ্চে একটা মৃত শরীর দাড় করানো যার
হাত গুলা ভাঙ্গা চোখ দিয়ে রক্ত দেখা
যাচ্চে)
তারেক বললো দুস্ত আমরা বন্দি হয়ে আছি
আত্মা জগতে আমাদের মুক্তি কর।
রাজ বললো বল তদের এই অবস্তা কে
করেছে?
তারেক বললো ঐশি করেছে।
তানবির বললো কে ঐশি?
তারেক বললো যে সব মানুষকে মেরেছে
তারা এখন আত্মা।
তানবির বললো ও কেনো মারলে ওদের আর
তোমাদের?
তারেক বললো ও আমাদের কিছুই বলেনি।
তানবির বললো কেনো?
তারেক বললো অন্যান্যদের নিকট থেকে
শুনেছি যে ও নাকি বুবা।আর কিছুই কেউ
জানে না।
আর তোমাদের দেখে ও রাগ করেছে।
হৃদয় বললো কে রাগ করেছে।
তারেক বললো ঐশি রাগ করসে।তোমরা
তারাতারি চলে যাও এখান থেকে।আর
ভালো থেকো
আর আমাদের মুক্তি দাও।
রাজ বললো ওকে দুস্ত।তদের আর বাচাতে
পারলাম না।সরি।
সবাই বের হয়ে চলে আসলো তাদের
কার্যালয়ে। এসে তারা সবাই ভাবছে কি
করা যায়?
রাজ দিপুকে বললো তুই এক কাজ কর আমাকে
বল তুই এ বছর কতটি মিসিং কেস আছে এই
থানায়?
দিপু বললো প্রায় শ খানেক হবে।কেনো?
রাজ বললো হয়তো এটা থেকে আমরা বের
করতে পারি টোটাল রহস্য।আর মুক্তি দিবো
আমাদের বন্ধুদের।
দিপু বললো আচ্চা কত সালের রিপোর্ট
লাগবে?
রাজ বললো এক বছর আগের রিপোর্ট দে।
দিপু বললো আচ্চা।যদিও আমি জয়েন দিসি
এই বছর তবে বের করতে পারবো।
রাজ বললো আর হ্যা,,,,,,
দিপু বললো কি?
রাজ বললো আর এই ডান্স ক্লাবের মালিক
কে এটা বের করতে হবে?
দিপু বললো আচ্চা আমি যাই।
সবাই দিপুকে বিদায় দিলো।
আর সবাই সবার রূমে গেলো।
সবাই ফ্রেশ হলে।আর ছাদে উটে একত্র
হইসে।
যদিও তারা এখন এক হইসে তাই আড্ডা
জমবে কিন্তু এই আড্ডায়
একজন বাদ পরবে সে হলো রাজ।তার ৪ বন্ধু
হারিয়ে সে কি কস্ট পেয়েছে তা বলার
মতো না।কারন এর মধ্যে তার ভালোবাসার
মীম ছিলো।
তবুও সে এই কস্ট কমাতে আড্ডায় যোগ
দিলো।
অনেক কথা হবার পর সবাই হোটলে গেলো।
হোটেলে গিয়ে দিপুকে ফোন দিলো।
দিপুর কাজ থাকায় সে আসলো না।
তারা হোটেল থেকে এসে এক এক
তারেক,মাহিন,সৌরভের বাড়ি গেলো আর
জানিয়ে দিলো কথাটা।
তারেকের মা যখন শুনলো তার ছেলে মরেও
কথা বলেছে।তিনি রাজকে বললেন বাবা
তুমি আমাকেও নিয়ে চলোনা সেখানে।
আমি আমার তারেককে দেখে আসবো।
তখন রাজ অনেক কাদলো।
কেদে বুজালো সেখানে যাওয়া সম্ভব না।
আর সৌরভের বাবা শুনার পরই হার্ট এট্যাক।
তবে মারা যাননি।
আর মাহিনের মা অজ্গান হয়ে যান ,,,,,,ওনাদের(মাহিনের মা আর সৌরভের
বাবাকে) নিয়ে হাসপাতালে গেলো
তারা।ডাক্তার রাজকে বললেন ওনারা ঠিক
আছেন।ওরা নিজেদের কার্যালয়ে আসলো।
রাত প্রায় ৭টার সময় স্কিনে দিপুর ফোন
আসলো।রাজের পাশে ছিলো হৃদয় আর
হাসনাত তারা গেম নিয়ে আলোচনা
করেছিলো।প্রথমে ক্লাস অফ ক্লানস পরে
হিরোস অফ ৭১ আর কল অফ ডিউটি নিয়ে
আলোচনা করে।
রাজের কাছে ফোন আসা মাত্রই সে ফোন
ধরে।ফোন ধরে দিপুকে বললো কয়জন মিসিং
আগের বছরে?
দিপু বললো এটা বড় কথা নয়।সবচেয়ে ভাবার
কথা হলো।এই ক্লাবের মালিক কে এটা?
রাজ বললো কে?
দিপু বললো মীমের বাবা।
রাজ অবাক হয়ে মীমের বাবা!
দিপু বললো এটা ২৫ বছর ধরে বন্ধ আছে।
সে দীপুকে বললো এখনই চল মীমের
বাড়িতে।আর কয়েকজন পুলিশ সাথে আনবি।
দিপু বললো ওকে দুস্ত।
দিপু, রাজ, তানবির,ইশান,হাসনাত ও হৃদয়
চলে গেলো মীমের বাড়িতে। তাদের
পৌছাতে পৌছাতে রাত হলো ৮ টা।
মীমের বাড়িতে গিয়ে মীমের বাবাকে
তারা ড্রয়িং রুমে বসা পেলো।দেখা
যাচ্চে খুব চিন্তিত। পাশে বসা ওনার ছুটো
মেয়ে লাম(মানে মাননে মীমের ছুটো
বোন)।রাজ উনাকে সালাম করে বললো
আন্কেল ঐ মীমরা মারা গেছে।আর ওদের
খুব খারাপ ভাবে মারা হয়েছে।
মীমের বাবা বললেন বাবা আলম(রাজ)
আমার মীমের লাশ কোথায়(কেদে কেদে)?
রাজ বললো আন্কেল কাদবেন না।আমরা
আপনাকে কিছু জিগ্যেস করতে চাই।
মীমের বাবা বললেন কি বাবা?
রাজ বললো এই ছবির ক্লাবটির মালিক
আপনি কিনা?
মীমের বাবা বললেন কেনো?(একটু অবাক
হয়ে।অবাকের সাথে ভয় মিশ্রীত)
রাজ বললো এটার পাশে তাদের গাড়ি
রাখা ছিলো।
মীমের বাবা বললেন তাহলে কি এটা
(ক্লাবটি)আমার হয়ে গেলো?
রাজ বললো আমরা তদন্ত করে দেখেছি যে
এটা আপনার ক্লাব। এটা প্রায় ২৫ বছর ধরে
বন্ধ আছে।আপনি প্লিজ মিত্যা বলবেন না।
মীমের বাবা সামান্য জিরাম নিয়ে
বললেন বাবা এটা আমারই ক্লাব।এটা প্রায়
৩০ বছর আগে তৈরী করি।
রাজ বললো এটা বন্ধ হলো কেনো?
তিনি বললেন বাবা একটু অন্য রুমে আসো।
রাজ বললো আচ্চা আন্কেল।
তারা সবাই অন্য একটা রুমে যাওয়ার পর
তিনি বললেন সেখানে একটা মেয়েকে
একদিন কিছু লোক এসে খারাপ কিছু করে
চলে যায়।আর সে আত্মহত্যা করে।
তারপর থেকে সেখানে একের পর একজন
লোক প্রতিদিন মারা যেত।তাই আমি এটা
বন্ধ করে দেই।
রাজ বললো আন্কেল এই সমস্যার কারনে
মীমরাও মারা যায়।আর ওররা এখন অতৃপ্ত
আত্মা।
রাজ আবার বললো আচ্চা আন্কেল তাহলে
আসি।
তিনি বলেন আচ্চা বাবা।
তারা বিদায় নিয়ে চলে আসে।
তানবির বললো রাজ কেমন হয় যদি আজকে
আমরা ঐ ক্লাবে যাই।
রাজ বলার আগে হৃদয় বললো মরবি নাকি?
তানবির বললো শালা মনে আছ তর ডান
হাতের তাবিজের কথা?
হৃদয় বললো ওহ সরি।
ইশান বললো তাহলে চলো।
রাজও বললো চলো।
রাত প্রায় ১১ টার সময় তারা ঐ ক্লাবের
এলাকায় পৌছায়।তারা ওখানে গিয়ে
ক্লাবের লোকেশন কোথায় তা দেখে
সেখানে গেলো।তারা দেখলো সেখানে
লাইট জলছে।আর বাহির থেকেও গানের বিট
শুনা যাচ্ছে হাসনাত তালে তালে
নাচতাসে দেখে সবাই হাসলো।
ইশান বললো একন হাসা আর নাচার সময় না।
এখন আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হতে হবে।
তারা সবাই হুম বলে ভিতরে চললো। ,,,,,,,দরজা খুলে ডুকলো তারা।
ডুকে দেখলো খুব জোরে জোরে গান চলছে।
আর অনেক লোক এখানে মুখুশ পড়া।
হাসনাত একজনকে বললো ভাই এখানে কি
ঐশি আছে?
লোকটা সোফায়য় বসা একটা মেয়েকে
দেখালো।হাসনাত লোকটাকে ধন্যবাদ
দিলো।
রাজ আর তানবির আগেই সোফার পাশে
গিয়ে ঐশিকে বললো তুমি কেনো এভাবে
এতো জিবন নিচ্চো।
সে এসে তানবিরকে ধরবে কিন্তু কোনো
অদৃশ্য শক্তির কারনে পারলো না।হৃদয়
বললো তুমি পারবে না কারন আমাদের
গায়ে তাবিজ দিয়ে বন্দ করা।
এবার রাজ বললো তুমি কিসের জন্য এসব
করছো?
ঐশি দেয়ালের দিকে ইশারা করলো।
তারা তাকিয়ে দেখলো সেখানে
লেখা"আজ থেকে ২৫ বছর আগে আমাকে
এখানে ধর্ষন করে হত্যা করা হয়েছে"।
তানবির বললো কে করেছে এসব।
তখনই আবার লেখা উঠলো "মীমের বাবা এই
ক্লাবের মালিক ছিলো।আমি প্রতিদিন
এখানে আসতাম।আমি কথা বলতে পারতাম
না।কারন আমি ছিলাম বোবা।তাই সে
একদিন আমার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে
আমাকে মেরে ফেলে।আর তাই এই ২৫ টি
বছর আমার আত্মা এই ক্লাবে বন্দি"।
রাজ জিগ্যেস করলো আমরা তোমাকে
কিভাবে মুক্তি দিবো?
সেখানে লিখা উঠলো" তোমাদের কিছু
করা লাগবে না এখন তার ছুটো মেয়েকে
মারবো পরে তাকে"।
রাজ বললো না এরুপ আমরা হতে দিতে
পারি না।
আবার লেখা উঠলো"তাকে মারলেই আমরা
সবাই মুক্তি পাবো"।
রাজ বললো আচ্ছা তাকেই মারো।
তানবির বললো কি বলচিস এসব?
রাজ বললো যে একটা খুন করে তাকেতো
মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।তাহলে উনাকেই মারা
হবে। কারন উনার জন্য আবার উনার ছুটো
মেয়ের মৃত্যু হবে।
দিপু বললো ঠিক আছে রাজ। এদেশে
আমাদের মতো পুলিশদের ক্ষমতা না
থাকায় আমরা শাস্তি দিতে পারিনি।তবে
ঐশি তার প্রাপ্য বিচার পাবে।
হৃদয় ও বললো ঠিক আছে আমি একমত।
তারা ঐশিকে বললো আর কাউকে না
মারতে।আর তারা উনাকে তার হাতে তুলে
দিবে।
দেয়ালে লেখা উঠলো" ধন্যবাদ"।
তারা বের হলো ক্লাব থেকে।
বের হয়ে দেখলো বাজসে ১২:২০।
তার তাদের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে
দিপুকে তার বাসায় পৌছে দিলো।তার চলে
গেলো তাদের কার্যালয়ে।গিয়ে তারা
খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়।
সকালে উঠে তারা ৫জন চলে যায়
রেস্টুরেন্টে।গিয়ে নাস্তা খেয়ে।দিপুকে
নিয়ে চলে যায় মীমের বাড়িতে।
তারা বাড়িতে ডুকলো।রাজকে দেখো
মীমের বাবা বললেন বাবা আলম(রাজ) তুমি
এসে বসো।
রাজ বললো আন্কেল আপনি মিত্যা কেনো
বললেন?
মীমের বাবা বললেন কিসের মিত্যা?
রাজ বললো আপনি তো ঐশিকে মেরেছেন।
মীমের বাবাকে চিন্তিত লাগলো।
দিপু বললো আপনি আপনার দূষ শিকার করে
নেন নাহলে আপনার ছুটো মেয়েকেও ও
মারবে। তিনি বললেন তাহলে কি করতে হবে
আমাকে?
তানবির বললো আপনি শুধু আজকে রাতকে
চলে আসবেন আমাদের সাথে এই ক্লাবে।
মীমের বোন বললো তাহলে কি আর কোন
উপায় নাই?
রাজ বললো না নাই।
মীমের বাবা বললেন আচ্ছা।তাহলে আজকে
আমি আমার সব কাজ শেষ করে।চলে যাবো
তোমাদের সাথে।
তারা বললো ঠিক আছে আন্কেল।বলে তারা
সবাই চলে গেলো তাদের কার্যালয়ে।
# রাত ৭টা।তারা সবাই চলে
গেলো মীমের বাড়িতে।
কয়েক জন লোকও দেখা গেলো বাড়িতে।
মনে হয় তিনি প্রোপার্টি বিষয়ে কোন
কাজ করছিলেন।
তারা গিয়ে উনাকে বললো আন্কেল
আপনার কি সব কাজ শেষ।
তিনি একটু হেসে বললেন হ্যা বাবা।তাহলে
যাওয়া যাক।
তারা বললো চলেন।
তারা উনাকে নিয়ে গেলেন সেই ক্লাবে।
ক্লাবে আলো জলছে আগের রাতের মতো।
আর বাজনাও বাজসে।
অত:পর তারা উনাকে ছেড়ে দিয়ে আসলো
ক্লাবের ভিতর।আর তারা বের হয়ে গাড়ির
পাশে দাড়ালো।চিৎকার শুনা যাচ্চে
উনার।
তারপর হঠাৎ সব আলো, বাজনা বন্ধ হয়ে
গেলো।
তারা বুঝতে পারলো এতো গুলা আত্মার
মুক্তি হলো।তারা চলে গেলো কার্যালয়ে।
পরের দিন দিপু আর রাজ সবাইকে সিলেট
রেল স্টেশন থেকে সবাইকে বিদায় দিলো।
সমাপ্তি

You've reached the end of published parts.

⏰ Last updated: Dec 16, 2017 ⏰

Add this story to your Library to get notified about new parts!

ভৌতিক গল্পWhere stories live. Discover now