কি করছিস সামি?
বারান্দায় বসে আছি।
এতো রাতে?
হ্যা ।
কেন?
মন টা ভালো লাগছিলো না। তুই?
এইতো। ঘুমিয়ে পড়বো এখন। আচ্ছা টাটা। কালকে কথা হবে।
সামি প্রায়ই এরকম করে। মাঝরাতে একা একা বসে থাকে। কারণ ওর মন টা একটা কারণে প্রায়ই খারাপ হয়ে যায়। সেটা হলো নুহা। ওরা ছোটবেলা থেকেই বন্ধু। নুহা রেজাল্ট খারাপ করেছে। সেটাতে নুহার কোনো মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু সামির মন টা খারাপ। ও নুহাকে নিজের থেকেও কয়েকগুণে বেশি ভালোবাসে। কিন্তু সে জানে নুহা সেটা বোঝে না।
কি নুহা ঘুম ভাঙলো তোর?
নুহা বললো, হ্যা ঘুম ভেঙেছে। তুই কি ঘুমিয়েছিলি?
সামি বললো, না ঘুমাইনি। ঘুম ই আসেনি।
নুহা বললো, হায়রে, মাঝে মাঝে কি যে হয় তোর । এই তোর থেকে ১০ টা নাম্বার ধার দে না আমাকে।
সামি বললো, পুরাটাই নিয়ে যা। প্রব্লেম নাই।
নুহা বললো, সেটা নিলেও তো ফার্স্ট ই থাকবি।
সামি বললো, হয়েছে আর বলতে হবে না। স্কুলে যাবি?
নুহা বললো, স্কুল আবার কি জিনিস?
সামি বললো, যেখানে না গেলে তোমাকে তোমার আব্বার বকা খেতে হইবে।
নুহা মুচকি হেসে বললো, ও হ্যা মনে পড়েছে। না যাবো না। তুই যাবি?
সামি বললো, হ্যা আজকে কি প্রাইজ না কি ছাতার মাথা দিবে।
নুহা বললো, ভাগ এইখান থেকে। এই বলে ফোন টা রেখে দিলো।
সামি তার সামনের দেওয়ালের দিকে তাকালো। নুহা জানে ও না যে সামির বাসার দেওয়ালে তার একটা বড় হাসিখুশি ছবি টাঙানো। ছবিটির দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো, নুহাটা আসলেই ছেলেমানুষ। এই বলে সে অজান্তেই হেসে দিলো।নুহা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আছে। কেমন জানি দুলছে দুলছে মনে হচ্ছে। কে বলবে আজ তার স্বপ্নের ডাক্তারি পরীক্ষা? অথচ সে ড্রেস কোনটা পরবে এটা নিয়ে চিন্তামগ্ন।