বন্ধুত্বের ভালোবাসা

4 0 0
                                    

গল্প- বন্ধুত্বের ভালোবাসা।
পর্ব- ১।
লেখা- মোঃ ইসমাইল হোসেন (তাসকিন)।
রানা- কাকা আসসালামু-আলাইকুম কেমন আছেন? (আব্বু কে উদ্দেশ্য করে)
আব্বু- ওয়ালাইকুম আসসালাম। তা বাবা রানা কেমন আছো?
রানা- জ্বি কাকা আলহামদুল্লিলাহ ভালো। আপনি কেমন আছেন?
আব্বু- আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তা হঠাৎ কি মনে করে আসলে বাবা?
রানা- কাকা তাসকিন কই?
আব্বু- ও তো ঘরেই। কেন কোন দরকার?
রানা- জ্বি কাকা একটু দরকার ছিলো।
আব্বু- আচ্ছা ওর ঘরে যাও।
.
রানা- কিরে কেমন আছোস?
আমি- হুম ভালো। তুই কেমন আছোস?
রানা- হুম ভালো।
আমি- তুই তো কখনও আমার বাসায় আসোছনা! তো আজ হঠাৎ কি মনে করে?
রানা- আসলে দোস্ত আমি একটা মেয়ে কে পছন্দ করি কিন্তু বলতে পারতেছি না।
আমি- মাম্মা.. মেয়েটা কে???😀😀😀 একবার খালি দেখাইয়া দাও।
রানা- ওকে কালকে কলেজে আয় পরে দেখাবো।
আমি- আচ্ছা। আর কালকে খাওয়াতে হবে কিন্তু।
রানা- আচ্ছা এখন যাই। কালকে কলেজে দেখা হবে।
আমি- ওকে যা।

পরেরদিন সকালবেলা,,,,
আব্বু- তাসকিন বাবা উঠ।
আমি- উমমম কয়টা বাজে?
আব্বু- ৭ টা ৩০ বাজে। এখন উঠ আমি দোকানে যাবো। (আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী)
আমি- আচ্ছা উঠতাছি।
আব্বু- হুম উঠ।
আমাকে উঠতে বলে বাবা চলে গেল
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবার খেয়ে ৯ টা ৩০ এ কলেজের জন্য রেডি হয়ে কলেজের দিকে রওয়ানা হলাম। আসেন কলেজে যেতে যেতে পরিচয় পর্বটা সেরে ফেলি। আমার নাম তো আপনারা আগেই জেনেছেন তারপরও বলি আমি মোঃ ইসমাইল হোসেন (তাসকিন)। সবাই তাসকিন বলেই ডাকে আর তাসকিন টা আমার দেওয়া নাম। পরিবারের ছোট ছেলে। আমার বড় ৩ বোন আর ১ ভাই আছে। আর তারা সবাই যার যার মত স্যাটেল। অবশ্য ভাইয়া আমাদের সাথেই থাকে। বাকি আছি আমি একা। কোন কলেজে পড়ি, কোন ইয়ারে পড়ি এগুলো জানতে চাহিয়া লজ্জা দিবেন না। আপনাদেরকে পরিচয় দিতে দিতে আমি কলেজে এসে পরলাম।

কলেজে এসে,,
আমি- কিরে সবাই কেমন আছোস? (রকি, ইকন, সামি, কানিয, সুমা, রানা সবাইকে উদ্দেশ্য করে)
কানিয- এতক্ষন সবাই ভালো ছিলাম কিন্তু এখন আর থাকা হবেনা।
আমি- কেন কেন এখন আর ভালো থাকা হবে না কেন?
সুমা- কারন আমাদের গ্রুপের সবচাইতে ফাযিল টা আসছে তাই আর ভালো থাকা হবে না।
আমি- সে যাই হোক। আজ তোদের সবাইকে একটা ব্রেকিং নিউজ দিব।
সবাই- কি নিউজ বল।
আমি- আমাদের সবার প্রিয়, সবার জানের জিগার দোস্ত প্রেমে পরছে।
কানিয- কি তুই প্রেমে পরছোস??? (আমাকে সম্পূর্ণ কথা বলতে না দিয়ে)
সুমা- বলনা মেয়েটা কে?
আমি- আসলে তোরা মেয়েরা যে একটু বেশি বুঝোস তা আজকে আবার প্রমাণ করলি।
তো আমার প্রিয় বন্ধুগন আমাদের সবার জানের দোস্ত, প্রাণের দোস্ত রানা প্রেমে পরছে। তাই আজকে GFC র সম্পূর্ন খরচ তার। আর একটু পর সে আমাদের ভাবিকে দেখাবে।
অতঃপর
আমি- কিরে রানা কই তোর প্রেয়সী?
রানা- আসবে কিছুক্ষনের মধ্যে।
আমি- আচ্ছা।
কিছুক্ষন পর,,,
রানা- দোস্ত ঐ যে গেট দিয়ে ঢুকলো মাত্র ঐটা।
আমি- কোনটা?? ঐ চাশমিশ টা?
রানা- না তার পাশের টা।
রকি- ওকে দোস্ত এখন সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাসকিনের উপর ছেড়ে দাও।
আমি- ঐ আমি একা কেন করব? তোরাও আমাকে সাহায্য করবি।
ইকন- আচ্ছা আমি মেয়েটার খবর এনে দিব।
রকি- আমি ইকনের সাথে আছি।
আমি- আচ্ছা তোরা খবরটা এনে দে বাকিটা আমরা করব।
রকি & ইকন- ওকে দোস্ত।
ঐদিন রানার টাকায় দুপুরে ভালোই ভোজ হলো।
তারপর দিন ক্যাম্পাসে,,
রকি- মেয়েটার নাম বৃষ্টি, থাকে ...... কলোনিতে, আমাদের এক বছরের জুনিয়র।
আমি- ওকে দোস্ত এইটুকুই চলবে।
তারপর দিন থেকে আমি লাগলাম মেয়েটির পেছনে কখন কোথায় যায়, কাদের সাথে কথা বলে, কাদের সাথে চলাফেরা করে ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে কেটে গেলো এক মাস।
এক মাস পর মামার GFC তে,,
আমি- রানা আমার মনে হয় আজ ওকে বলে দেয়া উচিত। কারন সুন্দরী মেয়েরা কিন্তু সবসময় খালি থাকে না। আর আমি খবর নিয়ে দেখেছি ওদের এলাকার আমিনুল ওর পেছনে ঘুরে। তো যা করার তারাতারি কর।
রানা- আচ্ছা তাহলে তুই আমার হয়ে বৃষ্টি কে বলে দে।
আমি- কেন প্রেম কি আমি করমু?
রানা- তুই করবি কেন?
আমি- তাহলে প্রপোজ আমি করবো কেন? প্রেম করবা তুমি তো প্রপোজও তুমি করবা।
রানা- দোস্ত............!
আমি- লাভ নাই। আমি বলবোনা। তবে তোর সাথে থাকতে পারি কিন্তু বলতে হবে তোর।
রানা- আচ্ছা আমিই বলবো কিন্তু তুই সাথে থাকবি।
আমি- আচ্ছা। তাহলে কালকে ঠিক সময়ে ক্যাম্পাসে আয়।

পরের দিন কলেজে,,
আমি- excuse me আপু।
বৃষ্টি- জ্বি আমাকে বলছেন?
আমি- এখানে তুমি ছাড়া তো আর কেও নাই তার মানে তোমাকেই বলছি আর তুমি আমাদের ছোট তাই তুমি করেই বললাম।
বৃষ্টি- জ্বি বলুন কি বলবেন তবে একটু তারাতারি।
আমি- কেন এতো তারা কিসের?
বৃষ্টি- দেখুন আমি আপনার সাথে কথা বলতেছি এইটা কেও দেখলে আমার সমস্যা হবে।
আমি- আমার সাথে কথা বললে কলেজের কেও কিছু বলবেনা। (কলেজের প্রিন্সিপালের সাথে ভাইয়ার ভালো খাতির তাই আমার আলাদা একটা দাম আছে)
বৃষ্টি- জ্বি এখন বলেন কি বলবেন!
আমি- এখানে দাঁড়িয়ে কথা না বলে চলো ক্যান্টিনে বসে কথা বলি।
বৃষ্টি- না সমস্যা নাই এখানেই বলেন।
আমি- আরে আসো তো কেউ কিছু বলবে না।
বৃষ্টি- না ভাইয়া... তারপরও।
আমি- আরে আসো তো।
ক্যান্টিনে গিয়ে,
আমি- আমি কিছু বলবো না তবে এইযে আমার পাশে যাকে দেখতে পাচ্ছো সে তোমাকে কিছু বলবে।
বৃষ্টি- জ্বি বলেন। (রানাকে উদ্দেশ্য করে)
রানা- Hi আমি রানা। দেখো কথাটা কিভাবে বলবো বুঝতে পারতেছিনা।
বৃষ্টি- সমস্যা নাই বলেন
আমি-  দেখো আমি ততোটা গুছিয়ে কথা বলতে পারি না। কিন্তু যেদিন তোমাকে প্রথম ক্যাম্পাসে দেখি সেদিনই তোমাকে পছন্দ হয়ে যায় আর আজ সেই পছন্দটা ভালোবাসায় রুপান্তরিত হয়েছে। দেখো আমি আমি কথা পেচাবো না তাই সোজা-সাপ্টা বলে দিচ্ছি আমি তোমাকে ভালোবাসি। ভালোবেসে তোমার ঐ হাতটা কি ধরতে দিবে আমায়? কথা দিচ্ছি আজীবন ধরে রাখবো!
বৃষ্টি- দেখুন আমি চাইলেই সব কিছু করতে পারি না। কারণ আপনারা আমার সম্পর্কে সবকিছু জানেন না। জানলে আর আমাকে ভালোবাসতেন না।
আমি- তোমার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি।
বৃষ্টি- কি কি জানেন?
আমি- তোমার নাম বৃষ্টি, তোমার বাবা মি. আব্দুর রহমান, তোমার মা মিসেস রেহানা বেগম, তোমার বাবা একজন ব্যাংক কর্মকর্তা, তোমার মা একজন গৃহিনী আর তুমি তোমার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান, তোমরা আগে টাঙ্গাইল থাকতে, ঐখানে তুমি সজিব নামে এক মানুষ ধারি পশুর শিকার হউ তারপর সেটা এলাকাতে ফ্লাশ হয়ে গেলে তোমার বাবা বদলি নিয়ে এখানে চলে আসে। কারণ সজিব রা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তুমি সঠিক বিচার পাওনি। আর কিছু জানতে হবে তোমার বেপারে?
বৃষ্টি- তারপরও কি আপনার বন্ধু আমার সাথে সম্পর্ক করবে?
রানা- আমি সব জেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি বৃষ্টি।
বৃষ্টি- এছাড়াও আমাদের এলাকার আমিনুল নামে একটা ছেলে আমার পেছনে ঘুরে তাই দেখেন আমি এসবে জড়ালে আবার সে আরেক গেঞ্জাম করবে পরে আমাদের এই এলাকাও ছাড়তে হবে তো আমার পক্ষে সম্ভব না আর তাছাড়া আমি আমার জীবনে আর কোন ঝামেলা চাইনা।
আমি- দেখো হাতের পাঁচটা আঙুল যেমন সমান হয়না তেমনি সব ছেলে/মেয়েরা ও কিন্তু এক হয় না। আর তাছাড়া প্রত্যেকটা এলাকাতে কিন্তু সজিব বা আমিনুলের মতো মানুষ রয়েছে। তো তাদের মোকাবিলা করতেও তো একজন সঙ্গী দরকার হয়। আর আমি কথা দিচ্ছি আজকের পর থেকে আমিনুল তোমাকে আর বিরক্ত করবে না। আর আমরা জোর করবো না যদি তুমি মনে করো তুমি রানাকে গ্রহণ করবে তো করতে পারো আর যদি তোমার মন সায় না দেয় তাহলে দরকার নেই। কারণ আমি মনে করি জোর করে সবকিছু হলেও ভালোবাসা হয়না।
বৃষ্টি- আচ্ছা আমার সময় চাই। আর আমি আশা করি এমন কিছু করবেন না যাতে করে আমার সমস্যা হয়।
আমি- তুমি নিশ্চিন্তে থাকতে পারো। আমি এমন কিছু করবোনা। আর আজ থেকে তুমি আমার ছোট বোন।
বৃষ্টি- আচ্ছা আজকে আসি তাহলে?
আমি- হুম যাও।
বৃষ্টি- আচ্ছা ভাইয়া আসসালামু আলাইকুম।
আমি- ওয়ালাইকুম আসসালাম

বৃষ্টি যাওয়ার পর আমি বড় ভাইয়াকে ফোন দিলাম

আমি- আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া! কেমন আছো?
ভাইয়া- ভালো। তুই কেমন আছোস?
আমি- আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
ভাইয়া- তো হঠাৎ কি মনে করে বড় ভাইকে মনে করলি?
আমি- আসলে ভাইয়া একটা অনুমতি নেওয়া দরকার ছিলো।
ভাইয়া- হুম বল কিসের অনুমতি?
আমি- আসলে ভাইয়া আমিনুল একটু বেশি বেড়ে গেছে তো আজকে একটু ওর সাথে গেঞ্জাম হবে তো ভাইয়া পুলিশের বেপার টা একটু তুমি দেখো। (ভাইয়া এলাকার রাজনীতির সাথে জড়িত তাই ভাইয়ার আলাদা একটা প্রভাব আছে)
ভাইয়া- শুধু শুধু গেঞ্জাম করার কোন দরকার আছে কি?
আমি- আসলে ভাইয়া রানা একটা মেয়েকে পছন্দ করে তো আমিনুল ওকে বিরক্ত করতেছে আর তাছাড়া ও তো এলাকার নামকরা বখাটে তাই আর তাছাড়া আজ যদি আমাদের বোনকে ও বিরক্ত করতো তাহলে কি করতা?
ভাইয়া- যাইহোক যা ভালো মনে করোস তাই কর পরে সমস্যা হলে আমাকে ফোন দিস।
আমি- আচ্ছা ভাইয়া।
ভাইয়া- এখন রাখ একটু পর মিটিং আছে আমার।
আমি- আচ্ছা Bye ভাইয়া।


তারপর ফোন দিলাম রকি, সামি, ইকন ওদের আর আসতে বললাম।
কিছুক্ষন পর তারা আসলো,,,
রকি- কিরে কি হইছে?
আমি- আমিনুল এর সাথে আজকে গেঞ্জাম করবো তাই তোদের ডাকলাম। তো বিকালে রেডি থাকিস ওর আড্ডায় যাবো।
ইকন- এটা ফোনেও বলতে পারতি আর তাছাড়া হঠাৎ ওর সাথে গেঞ্জাম করার কি আছে?
আমি- আচ্ছা মনে কর তোর বোনকে আমিনুল বিরক্ত করছে তখন তুই কি করবি?
ইকন- ওকে মেরে হাড়গোড় ভেঙে দিব। কেন আপুদের কে কিছু বলছে নাকি প্রিয়া কে কিছু বলছে? ( প্রিয়া আমার গফ)
আমি- নাহ। রানা যেই মেয়েটাকে পছন্দ করে আমিনুল তাকে প্রতিনিয়ত বিরক্ত করে আর বৃষ্টি আমাদের সবার বোন তো আমাদের একটা দায়িত্ব আছে না?
সামি- আচ্ছা ঠিক আছে বিকালে ফোন দিস।
আমি- বিকালে ফোন দিতে পারমুনা। সময়মতো মামার চটপটির দোকানে আইসা পরিস।
ওরা সবাই- আচ্ছা ঠিক আছে।
বিকাল বেলা আমিনুলের আড্ডায়,,

আমিনুল- আরে তাসকিন সাহেব হঠাৎ আমার আড্ডাখানায় কি করেন?
আমি- দেখ আমি চাইনা কোন গেঞ্জাম করতে তাই সোজাসাপ্টা বলে দিচ্ছি আজকের পর থেকে বৃষ্টিকে আর বিরক্ত করবি না।
আমিনুল- কেন ঐ মাইয়ারে বিরক্ত করলে তোর জ্বলে কেন?
আমি- দেখ বৃষ্টিকে রানা পছন্দ করে আর তাছাড়া বৃষ্টিকে আমি আমার বোন বানাইছি তাই এখন বৃষ্টির ভাই হিসেবে তোকে বলতেছি আজকের পর থেকে বৃষ্টিকে বিরক্ত করবি না।
আমিনুল- দেখ তাসকিন বৃষ্টি মাইয়াডা তোর আপন বইন না যে তোর কথা আমি রাখবো। যদি তোর আপন বইন হইতো তাইলে ভেবে দেখতাম আর বৃষ্টি মাইয়াডারে আমি পছন্দ করি তো রানারে কইস ভুইলা যাইতে।
আমি- তার মানে তুই বৃষ্টিরে বিরক্ত করা বন্ধ করবি না?
আমিনুল- নাহ করমুনা,কি করবি তুই?
আমি- তুই তো জানোসই আমি কি করতে পারি?
আমিনুল- যাহ যাহ দেখমুনে কি করোস!
সামি- আচ্ছা তাইলে এখনই দেখ।
বলেই সামি ওরে স্ট্যাম্প দিয়ে একটা বাড়ি দিলো। এরপর ওর চ্যালাপ্যালা দের পিটিয়ে শেষে পুলিশকে কল দিলাম তারপর পুলিশ তাদেরকে নিয়ে গেলো।

কিছুদিন পর কলেজ ক্যান্টিনে বসে আছি আমরা সব বন্ধু-বান্ধবিরা মিলে। এই সময়,,,,,
বৃষ্টি- আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া কেমন আছেন?
আমি- ওয়ালাইকুম আসসালাম! আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তুমি কেমন আছো বোন?
বৃষ্টি- আমিও ভালো আছি ভাইয়া।
আমি- Good তো কিছু কি বলবে?
বৃষ্টি- আসলে ভাইয়া আমি এতোদিন ভেবে দেখলাম আপনার কথাটাই সঠিক।
আমি- কোনটা?
বৃষ্টি- ঐযে আপনি ঐদিন বলেছিলেন না যে “হাতের পাঁচটি আঙুল যেমন সমান হয়না তেমনি সব মানুষ একরকম হয়না” এইটা।
আমি- ওহ। তো কি সিদ্ধান্ত নিলে? আমার বন্ধুটা কে কি মেনে নেওয়া যাবে এখন?
বৃষ্টি- ভাইয়া এতোদিন ভেবে দেখলাম যে ওকে মেনে নেওয়া যায়।
সবাই- আলহামদুলিল্লাহ।
আমি- তাহলে রানা আজকে আবার হয়ে যাক দুপুরের Lunch, কি বলিস সবাই?
কানিয- অবশ্যই এখানে জিজ্ঞেস করার কি আছে?

এরপর বৃষ্টি আর রানার সম্পর্ক ভালোই চলতেছিলো।
পড়ালেখা শেষ করে রানা তার বাবার ব্যবসার ভার নিলো এক কাধে আরেক কাধে বৃষ্টির দায়িত্ব নিলো পারিবারিক ভাবেই।
এমনিতে সবার সাথে যোগাযোগ হলেও আর দেখা হলেও একসাথে সবার দেখা হতোনা। এইচএসসি পরীক্ষার পর একেকজন একেক জায়গায় চান্স পেলে সবার সাথে আর ঠিক ভাবে দেখা হয়ে উঠেনি। প্রায় ৬-৭ বছর পর আজ আমরা সবাই আবার একসাথে আমার বাসায়। আর এই কয় বছরে অনেক কিছুই পালটে গেছে। আর আমিও রানার মত পড়ালেখা শেষ করে বাবার ব্যবসা দেখতেছি। আর প্রিয়া ও আমি একজন আরেকজন কে ভালোবাসতাম তাই পারিবারিক ভাবে আমাদেরও মিলিয়ে দিলো।
প্রিয়া- কিরে রানা কেমন আছোস? বৃষ্টি কেমন আছে? বৃষ্টির কোন অযত্ন হয়না তো? শত হলেও ও কিন্তু আমার ননদিনি!
বৃষ্টি- ভাবি আমরা ভালোই আছি। কিন্তু ভাবি তোমার জামাই টা কই?
প্রিয়া- কেন ও আবার কি করছে?
বৃষ্টি- কি করেনাই সেটা বলো। বন্ধুকে ফোন দিয়ে কথা ঠিকই বলে কিন্তু ছোট বোনের সাথে কথা বলার সময় পায় না।
আমি- আচ্ছা আমি কি জানতে পারি আমার নামে কি বিচার দেওয়া হচ্ছে?
সুমা- আচ্ছা এগুলো বাদ দে। এখন বল তোরা কেমন আছিস?
ইকন- সুমা তুই কাকে জিজ্ঞেস করলি আমাদের সবাইকে নাকি তাসকিন আর প্রিয়াকে?

ইকনের কথায় সবাই হেসে উঠলো। এভাবেই ভালো থাকুক সকল বন্ধুত্ব।

..........সমাপ্ত..........

You've reached the end of published parts.

⏰ Last updated: Jul 06, 2019 ⏰

Add this story to your Library to get notified about new parts!

বন্ধুত্বের ভালোবাসা Where stories live. Discover now