#diary
Writer : syeda raisha abedin ohona
Part - 67
(আবির নিজেই একা একা এসব কথা বলতে থাকে আর এদিকে অহনাও তার রুমের স্টাডি টেবিলে বসে কি যেন ভাবতে থাকে আর তখনি অহনার রুমের দরজায় কে যেন নক দেয় আর অহনা সেই নক দাওয়ার আওয়াজ পেয়েই পিছনে ঘুরে তাকালেই অবাক হয়ে যায়,,,,,,,,কারন সেখানে আর অন্য কেউ না ফারিয়াল ছিলো,,,, ফারিয়ালকে অহনা তার রুমের দরজায় দেখে বলে)
অহনা - তুমি!
ফারিয়াল - হ্যাঁ আমি!কেন আমাকে কি ভুলে গিয়েছো?,,,,,,,, আসলে অনেকদিন পর তোমার সাথে দেখা হলো তো তাই কথা না বলে থাকতে পারলাম না তাই চলে আসলাম তোমার রুমে তোমার সাথে দেখা করতে,,,,,,, যাই হোক অনেকদিন পর দেখা হওয়ার পরেও যে আবির তোমার সাথে এমন বিহেইভিয়ার করবে বুঝতে পারি নি,,,,,,, এখনো আবির কিন্তু সেই সাত মাস আগের সেই দিনের মতোই রয়ে গিয়েছে,,,,,, মনে আছে সেদিনের কথা আবির তোমাকে বাসা দিয়ে বের করে দিয়েছিলো যে,,,,,,, সেইদিন আবিরের মনে জন্মানো তোমার প্রতি সেই ঘৃনা এখনো আবিরের চোখে দেখা যায়,,,,,, হি স্টিল বিলিভ অন মি,,,,,তোমার থেকে বেশি আমাকে বিশ্বাস করে আবির দেখলেই তো,,,,, তোমার মানা করার পরেও আবির আজকে নিজেই আমার হাত ধরে আমাকে নিয়ে আসলো এই বাসায়,,,,,, আমি জানতাম যে জানতাম তুমি আমাকে এখানে থাকতে দিবে না তাই আমাকে সবার সামনে একটু ভাল সাজার জন্য নাটক করা লাগলো,,,,,, আর সেই নাটকটার জন্যই আবিরের চোখে তোমার প্রতি ঘৃনাটা দেখতে পেলাম এন্ড বিলিভ মি তোমার প্রতি আবিরের এই রাগ দেখে আমার কি যে ভালো লাগছিলো বলে বুঝাতে পারবো না,,,,,,,
(অহনা ক্রসহ্যান্ড করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে স্থির দৃষ্টিতে ফারিয়ালের দিকে তাকিয়ে ছিলো আর ফারিয়ালের কথাগুলি শুনছিলো)
ফারিয়াল- আসলে ভালো লাগবে না কেন বল? আমার জীবন থেকে আরমানকে তুমি সরিয়ে দিয়েছো,,,,, কি ভেবেছো আমি তোমাকে তোমার ভালোবাসা পেতে দিবো? কখনোই না,,,,, আমি জানি তুমি আবিরকে আর আবির তোমাকে কতো ভালোবাসে কিন্তু আজ অবধি কেউ কাউকে মনের কথা বলতে পারোনি,,,,,, এন্ড ডোন্ট ওয়ারি সামনে কখনো এমন সুযোগ আসবেও না,,,, কারন আমি আসতে দিবো না তাই,,,,, অলরেডি আবিরের মনে তোমার প্রতি ঘৃনার বীজ বুনা শুরু হয়ে গিয়েছে সামনে তো আরো হবে,,,, জাস্ট ওয়েট এন্ড সি ভাবী,,,,,,, বাই দা ওয়ে তোমার মনে এখন এই প্রশ্ন জাগতে পারে যে আমি তোমাদের মনের কথা কিভাবে জানলাম তাই তো? আরে এটা তো তোমার আর আবিরের চোখ দেখলেই বুঝা যায় যে একে অপরকে কতো ভালোবাসো,,,,, কিন্তু তোমরা একে অপরকে যে নিজের মনের কথা বলো নি সেটা আমি আয়াত ভাবির কাছ থেকেই জেনেছি,,,, আসলে তুমি বাসা দিয়ে চলে যাওয়ার পর একদিন আমি আমার রুমে যাওয়ার সময় আয়াত ভাবির রুমে শুনতে পাই যে আয়াত ভাবি রেহান ভাইকে বলছিলো যে দুইজন দুইজনের মনের কথা আজ পর্যন্ত বলতে পারলো না যে ওরা একে অপরকে কতো ভালোবাসে আর এর আগেই এতোবড় মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে গেল,,,,,,,, তখন শুনেছিলাম কিন্তু ডোন্ট ওয়ারি এই মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং আমি শেষই হতে দিবো না