চিরকুট

27 1 0
                                    


দৌড়াতে দৌড়াতে যখন ৪ রাস্তার মোড়ে এসে দাঁড়ালাম। চারদিক নিস্তব্ধতা নিয়ে হিম হিম বৃষ্টির আওয়াজে জেগে উঠতে চাচ্ছে। আমি যেন নিজের ভেতরেই নেই, কি হচ্ছে তা বুঝার ক্ষমতাটা যেন কুল পাচ্ছেনা।

ভেজা শরীরে ৩০ মিনিট দাড়িয়ে রইলাম।

তারপর, দেখলাম আমার গায়ের সাথে একটা চিরকুট সাপটে আছে। কি যেন লিখা তাতে অন্ধকারে বুঝতে পারলাম না।

তা নিয়েই আবার চলতে শুরু করলাম।

বাসার দরজায় দাড়িয়ে রইলাম ভেতরে টেবিলে জ্বলছিল হলুদ টেবিল বাতি, সিলিং এ ঝুলছে দড়িটা। আমার শরীর পুরো ভিজে ছুপছুপ হয়ে আছি। ভেতরে ঢুকলাম। ভেজা কাপড় পালটে আবার টেবিলে এসে বসলাম ডায়েরীর পাতা গুলি এলোমেলো ভাবে উড়ছে। ভেজা চিরকুট টাও এখন শুকিয়ে গেছে। দেখি তাতে লেখা "

আত্মহত্যা কোন সমাধান না "

আঁতকে উঠলাম, কি করতে যাচ্ছিলাম আমি। প্যাকেটে সিগারেট নেই, মাথা ভনভন করছিল। চারদিক বৃষ্টির আওয়াজে ক্ষিপ্ততা প্রকাশ করছিল। হঠাৎ মনে হল,

কে? ছিল আমার ঘরে? কার পিছুই বা আমি ছুটেছিলাম এই বৃষ্টিতে ?

কোন উত্তর নাই। তাহলে কি আমি ভুল অনুভব করেছি? ভুল জেনে দৌড়িয়েছি? না, তাতো হয় না। তাহলে কি কি কি কি???

এইসব ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়লাম টেবিলে ।

ভোর তখন ৫টা মুয়াজ্জিনের আযানের সাথে, কান বেজে উঠল। ঘুম নিয়ে চোখ মুছে দেখি, আমি টেবিলে বাতি জ্বলছে, জানালার বাহিরে মৃদু আলোয় হিম হিম বাতাস পর্দা গুলো উড়িয়ে আসছে। জীবনের আনন্দটা কি এটাই? চোখ মুছে বাহিরে গিয়ে দেখি সূর্যটা এখনো উঠেনি আবছা আলোর শহর টা যেন তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। মুখ ধুয়ে ব্যাগ সাথে ডায়েরি আর কলম নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। মোড়ের দোকানের পিচ্চিটা চা বানাচ্ছে । গিয়ে বসলাম,

বললাম

আমি : কিরে, রাতে ঘুম হয়েছে?

পিচ্চি :- না গো ভাইয়া, হয় নি।

আমি :- তো, কেন হয় নি?

পিচ্চি :- জানো ভাইয়া কাল রাতে মহল্লার ৫ তলা বাড়িটার রবি'দা গলায় দড়ি দিয়েছে।

চিরকুটWhere stories live. Discover now