আজ আমার আকাশে সূর্য নেই, নেই আজ রাতের চাঁদও শিতের তিব্রতায় কাপঁছে সবই। শৈত্যপ্রবাহের বাতাসে খুঁজছি তোমায়। আজ ঠান্ডাটাও ভালোই লাগছে বাতাসের মধ্যে যেন তোমারই ছোঁয়া। আজ আকাশে মেঘ নেই তবুও দিগন্ত জুড়ে সবই ঝাপসা। আজ বৃষ্টি নেই তবুও ভিজছে টিনের চাল।শীতের সময় দিনকাল কেমন অলস অলস যায়। শুরু থেকে শেষ অলসতায় যায়। এইদিনে কুয়াশায় ঢেকে যায় জানা সেই শহরটা।
পথিক আজ শহরে নেই। বাংলাদেশের গ্রাম গুলিতে শীতটা একটু আগেই আসে। ভালই ঠান্ডা লাগছে পথিকের। গায়ে ধুসর রং এর একটি শাল।
বাংলাদেশে শীতঋতু কিসের জন্য বিখ্যাত? কেউ বলবে পিঠার জন্য, কেউ বলবে খেজুররসের জন্য, আর পথিক বলবে বিয়ের জন্য। গ্রামের দিকে শীত মানে বিয়ে বিয়ে ভাব, প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের সাথে বিয়েটাও শিতের রেওয়াজ হয়ে গেছে।
পাশেই, নান্টু দের বাড়ি, ভালোই সাউন্ড বক্সের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে " রুপবানে নাচে কোমড় ধুলাইয়া " হই কালা চশমা, " লাড়কি বিউটিফুল " কিছুক্ষণ পরপর ই গান চেন্জ হচ্ছে যদিও পথিক এই ধারার গান শুনে না তাও আজ খারাপ লাগছে না। আর গ্রামের বিয়ে দেখেছে কম সময় হয় নি। যাক বিনা দাওয়াতে গায়ে হলুদে হাজির পথিক।
পিচ্চি পোলাপান বাঁজি বা পটাকা নিয়ে ঘুরতেসে। কিছুক্ষণ আগেই ঘুমন্ত কুকুরের গায়ে ছুঁড়ে মারছিলো, বেচারা এক লাফে পুকুরে গিয়ে পড়েছে। এইটা দেখে পথিকের ছোট বেলার একটে ঘটনা মনে পড়লো।
পথিক : দাদার সাথে একটা বিড়াল থাকে না? ওইটা কই?
শুভ : নানার বিড়াল, নানার খাঁটে গিয়া দেখ কম্বলের উপরে বাদশার মত উৎ হইয়া আছে।
পথিক : চল আজকা ওর উৎ হওয়া দেখাচ্ছি।
শুভ, পথিকের পরম আদরের ফুফাত ভাই। বয়সে বড় হলেও দুইটাই সাইকেলের ২ চাকার মতো, একটা ছাড়া আরেকটা অচল। দাদার বিড়াল পারিবারিক বিড়াল, পরিবারের ছোট ছেলে হিসেবে গণ্য করা হয় যদিও রহীম চাচার মেয়ের বিড়ালীর সাথে ইদানীং ভাব জমাচ্ছে। গত কাল পথিকের হাতে ধরা খেয়েছে ঘরের মাছ চুরি করে টুনির বিড়ালীকে খাওয়াচ্ছে তাই ওর ব্যবস্থা করার সুপরিকল্পনা করা হয়েছে।
BẠN ĐANG ĐỌC
কুয়াশার গল্প ( ছন্দহীন পথিক - ৮ম পর্ব )
Truyện NgắnChandahin Pothik is a half fiction story series by Takdirul Islam Shishir .