পর্বঃ ৫

16 2 0
                                    

ভোর হতেই আমি চুপি চুপি ধীর পায়ে ব্যাগ গুলো আনতে বাইরে গেলাম।জানালার পাশেই ব্যাগ গুলো রাখা। তুলে নিয়েই আমার রুমে চলে আসলাম। এবার দরজা লক করে এক এক করে ব্যাগ গুলো খুলছি। ওরে বাবা! এতো দেখছি নীল শাড়ী, নীল চুড়ি,নীল টিপ। আরেক ব্যাগে এত্ত গুলা চকলেট। অপর ব্যাগে শ'খানেক গোলাপ আর একটা চিরকুট।

"নীলা, বেঁচে থাকো শত বছর আমায় ভালোবেসে।
ভালোবাসি”

চিরকুট দেখেতো চোখ কপালে আমার।আর গিফট গুলো দেখেতো আরো বেশি অবাক। মানুষ টা কি করে জানলো,
আমার অনেক দিনের শখ,একটা নীল শাড়ী,কিছু নীল চুড়ীর। আর চকলেট আর গোলাপ যে আমার খুব প্রিয়।
সব কিছুই তো অবাক লাগছে। সকাল হয়ে গেলো। সব কিছু আলমারিতে লুকিয়ে রাখলাম আম্মু দেখার আগেই।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেতে গেছি সেই সময় আম্মু আব্বু আমাকে উইশ করলো। আর হঠাৎ ই দেখি আমার সব বান্ধবী আমার বাসায় এসে হাজির। হ্যাপী বার্থডে হ্যাপী বার্থডে বলে সবাই জড়িয়ে ধরলো। আম্মু আব্বু ওদের নাস্তা করতে বললেন, ওরা নাস্তা করলোনা। সবাই বাসা থেকে নাস্তা করে এসেছে। আমি সবাইকে নিয়ে রুমে গিয়ে বসলাম। সবাই আমার জন্য গিফট নিয়ে এসেছে। কেউ কানের দুল,কেউ চুড়ি,কেউ আংটি,কেউ ড্রেস।আরো অনেক কিছু। সবাই বল্লো, রেডি হয়ে নে,এক্ষুণি বাইরে ঘুরতে বের হবো। আজ সারাদিন ঘুরবো, মজা করবো।
রেস্টুরেন্টে খাবার খাবো। আমি সীমুকে ডেকে বললাম,

-দোস্ত,একটু এদিকে আসবি?
-হুম বল কি বলবি?
-শোন না,রাতে একজন আমাকে শুভ জন্মদিন এঞ্জেল লিখে মেসেজ পাঠিয়েছে। আর বলেছে,জানালার সামনে কিছু রাখা আছে তা নিয়ে নিতে।
-তারপর?
-তারপর আমি ভোর হতেই বাইরে গিয়ে জানালার কাছ থেকে সব নিয়ে আসি।
-তারপর তারপর?
-তারপর আর কি। খুলে দেখি এই সব রাখা। এই দেখ।
-ও মাই গড।এত কিছু?
-হ্যাঁ এত কিছু। কিন্তু আমি অবাক হচ্ছি সে আমার নাম্বার পেলো কই? আর আমার এগুলো যে পছন্দ তা ই বা জানলো কি করে?
-কিজানি বাপু,আমিও তো বুঝতে পারছিনা।
-খুব চিন্তা হচ্ছে জানিস।
-ধুর বাদ দে,এত চিন্তা করতে হবেনা।যে হবার সে হোক।
তুই তো আর গিফট গুলো চেয়ে আনিস নি।তার ইচ্ছে সে দিয়েছে।চুপচাপ বসে থাক। আর আজকের দিনে এত চিন্তা না করে চল সবাই ইঞ্জয় করি।
-আচ্ছা চল।

অচেনা মানুষ - Strangers | (Complete)Where stories live. Discover now