পর্বঃ ১৪

49 4 0
                                    

শুভর গালে একটা কিস করে তিশা হাসতে হাসতে রুম থেকে বের হয়ে যায়।

তোমার মনে আমার জন্য ফিলিংস হয়েছে কি না সেটা কাল জানতে  পারবে আমার লাভ। বউ আমি তোমার, মনে তোমার ঢুকেই পরবো তাও বিনা টিকেটে হুম।

ঝুনুরঝুনুর শব্দে  শুভ কাগজ থেকে চোখ তুলে তাকিয়ে দেখে তিশা কিছু একটা খুজছে, ওকে দেখে শুভ হা হয়ে যায়। নীল রং এর একটা শাড়ি পরেছে তিশা হাত দুটো ভরে নীল চুড়ি পরেছে চুল টা বরাবরের মতই ছেরে দিয়ে রেখেছে কিন্তুু তিশাকে ভালোভাবে অনুসরন করেই শুভর মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তিশা শাড়ি টা এমন ভাবে পরেছে এক সাইড থেকে তিশার কোমড় সহ পেট এর কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে।

- কোথায় যাচ্ছেন আপনি?( রাগি সুরে)
- বের হবো একটু জান।
- সেটা কোথায়?
- কেনো? ( যাবোতো কোথাও না,দেখি তুমি কি বলো)
- কেনো মানে কি? যেটা পারেন না সেটা করতে আপনাকে কে বলে?
- আমি আবার কি করলাম?
- শাড়ি এভাবে পরেছেন কেনো?
- কেনো ভালো লাগছে না? ইরা ও তো এভাবেই শাড়ি পরে শুনলাম তাই আমিও পরলাম।

শুভ কিছু বলতে যাবে তখনই তিশা হাত দুটো উপরে তুলে চুলটা ঠিক করতে শুরু করে তখনই শুভর চোখদুটো আটকে যায় তিশার পেট এর ওপর টকটকে গাড় রং এর একটা কালো তিল তিশার পেটের ওপরে অনন্যময় সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছে। শুভ হারিয়ে যাচ্ছে তিশার মধ্যে।

- আসলে আবির বলেছিলো আজ আমাকে নিয়ে নাকি কোথায় যাবে সারপ্রাইজ দিতে তাই আমি ওর সাথে একটু।

একথা শুনেই শুভর মেজাজ খারাপ হয়ে যায়ে।

- আবির মানে কি? আবিরের সাথে বের হওয়া যাবে না।
- কেনো? বন্ধুর সাথে কি শুধু আপনার ইরাই বের হতে পারবে আমি কেনো বের হতে পারবো না শুনি? আমার বেলায় কেনো এত বারন হুম??
- বেশি কথা বলা আমি পছন্দ করি না একদম।
- হুহ আমি তো যাবই।
- ( কয়েকটা খাতা বের করে) এই কয়েকটা solution solve করে যেনো রাখা হয় আর পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে দিবো আমি যদি বাসায় এসে না পাই আপনাকে।

কথাটা বলেই  শুভ রুম থেকে বের হয়ে যায়
তিশা ধুপ করে বিছানায় বসে পরে শুভর কথা শুনে নিজে নিজেই জোরে চিমটি কেটে জোরে জোরে হাসতে থাকে।

বউ - Wife  | √Donde viven las historias. Descúbrelo ahora