পর্বঃ ১৬

52 4 0
                                    

- হোমওয়ার্ক?
-  আ,আ,সলে!
- হোমওয়ার্ক? ( চিল্লিয়ে)

তিশা কেপে ওঠে শুভর কথায়।

- ক,করিনি।
- হাত সামনে বের করেন।

তিশা চুপচাপ হাত বের করে দেয়, শুভ সটাসট কয়েকটা  বারি মারে তিশার হাতের ওপর।

পুরা রুম স্তব্ধ হয়ে যায় মারার শব্দ শুনে, সবাই তিশার দিকে তাকিয়ে আছে, শুভ কিছু না বলে স্কেল  টা নিয়ে হনহনকরে করে রুম থেকে বের হয়ে যায়,  তিশা ডুকরে কেদে ওঠে হাত দুটো মুঠো করে ধরে, আবির এসে চট করে তিশার হাত দুটো ধরে নেয়, শিলা আর জয়াও উঠে আসে ওরা তিশার হাত দেখে লাফিয়ে ওঠে, হাত পুরা রক্তমাখা হয়ে গেছে, স্কেল এর ধারালো সাইড দিয়ে হাত কেটে রক্ত বের হচ্ছে। আবির সাথে সাথেই পানি ঢেলে দেয়  তিশার হাতে, পানি ঢালার সাথে সাথেই তিশার খুব কষ্ট লাগছিলো মনে হচ্ছিলো কেউ  কলিজাটা ধরে জোরে টান ধরেছে।

- ইস,স্যার এটা কি করে করলো? এমন তো কোনোদিনও করে না(জয়া)
- স্যার মনে হয় কোনো কিছু নিয়ে ডিস্টার্ব আছে(শিলা)
- স্যারের ব্যবস্থা আমি করি, এমন অমানুষের মতো কেউ কোনোদিন মারে? উনার টিচার গিরি আমি.....(আবির)
- Enough! তিনি টিটার এখানের, উনাকে সম্মান করা সবার উচিৎ, উনি যাই করুক আমার সাথে করেছে আমার দোষ ছিলো তাই মেরেছেন, এটা নিয়ে অহেতুক কথা বলা ঠিক না।
- কিন্তুু তিশা...?

তিশা হাত ঝাকাতে ঝাকাতে রুম থেকে বেরিয়ে আসে, তিশা রুম থেকে বের হয়ে সোজা লাইব্রেরিতে চলে যায়  লাইব্রেরিতে গিয়ে এক কোনে ধুপ করে ফ্লোরে বসে ডুকরে কান্না করে ওঠে অসহ্য রকমের যন্ত্রনা করতে শুরু করে ওর হাতে এমন ভাবে কেউ কোনোদিন মারে নি,  প্রথমবার কেউ  মারলো তাও এভাবে, কাদতে কাদতে কিছু একটা ভেবে তিশার মুখ খুশিতে উজ্জল হয়ে যায়, তখন তিশা মুখ তুলে তাকিয়ে দেখে শুভ ওর সামনে দাড়িয়ে আছে, শুভর রাগি লুক দেখে তিশা ভয় পেয়ে যায়, তিশা তারাতারি উঠে হাত দুটো পিছে ঘুরিয়ে চুপচাপ চলে যেতে লাগলো।

- ( বিকট রেগে দাতে দাত চেপে)stop,and follow me.

শুভ যেতে লাগলো পিছে তাকিয়ে দেখে তিশা চুপটি করে দাড়িয়ে আছে, শুভ আবার ঘুরে এসে তিশার সামনে দাড়িয়ে রাগ কন্ট্রোল করে তিশার পিছে কোনো বই দেখার উছিলায় তিশার কানের কাছে গিয়ে বললো..

বউ - Wife  | √Nơi câu chuyện tồn tại. Hãy khám phá bây giờ