পর্বঃ ১৯

50 6 0
                                    

শুভ চট করে তিশার ফোনটা নিয়ে নিজের একটা বাটন ফোন তিশার হাতে ধরিয়ে দেয়।

- এখন থেকে এ ফোন ইউজ করবেন আর আমার সিম টাও। এই ফোন এর জন্যই পড়াশোনা লাটে উঠেছে। যত্তসব। আর হ্যা আমার নাম্বারটা যেনো কারো কাছে না যায়। মনে থাকে যেনো,be careful.

শুভ রুম থেকে বের হয়ে গেলো। তিশা আবালের মতো দাড়িয়ে আছে। কিছুক্ষণ পর শুভ রুমে ঢুকে হা হয়ে গেলো। বিছানার মাথার কাছে দেওয়ালে টাঙানো ছবিটা দেখে ওর চোখটা ওখানে আটকে গেলো। সেদিন কলেজ থেকে বাসায় ফেরার সময় তিশা শুভকে ট্যাপে ফেলিয়ে শুভর কোলে উঠে বাসায় এসেছিল আর সবার সামনে ওরা খুনটুশি ঝগড়া করছিলো আশা সামনে থেকে ওদের কিছু ছবি তোলে। ছবিটাতে  তিশা  এক হাতে শুভকে জরীয়ে ধরে আর অন্য হাতে শুভর নাক ধরে টানছে আর শুভ তিশাকে কোলে নিয়ে  দুহাতে বুকের সাথে জরীয়ে নিয়ে অদ্ভুত ভাবে তিশার মুখের দিকে তাকিয়ে  আছে। তিশার হাসি  মুখটা ছবিটাকে পরিপূর্ন আভায় ফুটিয়ে তুলেছে। 
শুভ নেশায় পরে যাচ্ছে তিশার ছবিটার ওপর। খুব ইচ্ছে হলো ওর তিশার মুখটা ছুয়ে দেবার, শুভ আস্তে করে গিয়ে ছবিতে তিশার মুখটা ছুইয়ে দেয়। তিশার ঠোটে হাত বুলাতেই তিশা ওকে জোর করে চুমু খাবার কথা মনে পরে যায়। নিজের মনের অজান্তে শুভ হেসে দেয়।

- ওই তুমি হাসছো কেনো?
- (হকচকিয়ে)কি করছেন আপনি এসব?
- কেনো জানু আমি আবার কি করলাম?
- কি করেছেন এটা? রুমের মধ্যে এ ছবিটা টাঙিয়েছেন কেনো? কেউ দেখলে কি ভাববে?নামান এটা।

তিশা লাফ দিয়ে বিছানার ওপর উঠে লাফাতে শুরু করে।

- একদম না। এটাতে হাত লাগালে তোমার হাত আমি ভেঙে গুড়াগুড়া করে দিবো বলে দিচ্ছি। এটা আমার শশুর বাড়ি, এটা আমার বরের ঘর, আর এই ছবিটা আমার বরের আর আমার। আমি ছবি টাঙিয়ে রাখি আর নিজে ঝুলে থাকি কার বাবার কি হ্যা? আমার কারো কিছুতে যায় আসে না। খবরদার যদি ছবিতে হাত দিয়েছো শুভ।( ধমক দিয়ে)
- আপনার এত বড় সাহস আমায় শাষাচ্ছেন??? আবার আমার নাম ধরে ধমকাচ্ছেন? ( অত্যান্ত রাগি সুরে)
- তুমি কে হে তোমার সাথে সম্মান করে কথা বলতে হবে আহাম্মক একটা।

বউ - Wife  | √Onde histórias criam vida. Descubra agora