অামার ইচ্ছা করে চিৎকার করে বলি, মা অামার জীবনে একটা প্রচন্ড বাজে ছেলে ছিলো মা।সে অামার সব এলোমেলো করে দিয়ে হারিয়ে গেছে. ........ অাবিদ, তুমি কেনো অার অামাকে খো্জ করোনি???এখন কেমন অাছো তুমি? অামার এখনো ভীষণ কষ্ট হয় রাতে! অনেক রাগ করে অাছি। সামনে অাসো একবার মেরে শার্ট ছিড়ে ফেলবো তোমার...
সেই অাট বছর অাগে, এক বিকেলে শিহাবের এক দুসম্পর্কের ফুফা এসে বাবার হাত ধরে কেঁদে বলেছিলেন, ----অাপনার মেয়েকে অামার বোনপোর জন্য চাই। বাবা-মা মরা দুঃখ দুর্দশায় একা বড় হওয়া ছেলেটা, জীবনে নিজের জন্য কিছু চায়নি। এই প্রথম নিজের জন্য কিছু পছন্দ করে চেয়েছে। যদি অাপনার মর্জি হয়??
অামার ৪বছর বয়সে মা যখন দেশে এলেন, দেখলেন, অাপনি গুছিয়ে সংসার করছেন।মায়ের সারপ্রাইজ টা ছিলাম অামি।অামার ভালো ফটোগ্রাফার হওয়ার জিনটা কিন্তু অাপনার থেকেই পেয়েছি, মায়ের সব সুন্দর ছবিগুলো তো অাপনিই তুলে দিয়েছেন??
অামার অার সেলিব্রিটি হওয়া হলো না! কিন্তু অামি এখন একজনের কাছে সেলিব্রিটি।অামাকে দেখলে একজন এখনও ভীষণ নার্ভাস হয়ে যায়......
অাজ তাঁর সতেরো তম জন্মদিন। এই জন্মদিন তাঁর অন্য জন্মদিন গুলোর থেকে বিশেষ। কারণ অাজ মাহবুব ভাই অাসছেন। গত তিনটে জন্মদিনের একটাতেও মাহবুব ভাই অাসেননি, তাঁর পরীক্ষা ছিলো......
অন্যরকম অাচ্ছা নোভা, অামি যদি ভিন্নধর্মী হতাম, ধরো হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান?? তখন কি তুমি অামায় এমন করে ভালোবাসতে?? বলো না প্লিজ....
জুয়েল গভীর অাবেগে অলিন্দ্রীয়াকে কোলে তুলে নিয়ে বলল, ------তুমি কখনোই সাজো না কেনো অলি??সাজলে তোমায় কি মিষ্টি দেখায়......... মালেয়শিয়ার প্রোগ্রামে তোমায় পুরো পুতুলের মত দেখিয়েছিলো.... অলিন্দ্রীয়া দু-হাতে মুখ লুকালো...
উপরের সিড়ি থেকে, সাদেক প্রায় চিৎকার করেই নিতুকে ডাকলো, ---অাপা সর্বনাশ! তাড়াতাড়ি অাসেন।ইন্নলিল্লাহ..
২০০৮ সাল।ইন্টারমিডিয়েট পাস করেছি তখন।দেখতে ভালো হওয়ায়, বিয়ের খুব প্রস্তাব অাসতো।অামি ছাত্রী ভালো ছিলাম।পড়ার অাগ্রহ ছিলো, বিয়ে করার প্রশ্নই অাসেনা।তারপর ?
মা যেদিন রিমিকে পছন্দ করে অাসলেন, বললেন, -- হীরে কাটতে যেমন হীরে লাগে, রিমির রূপের সাথে তুলনা করবার জন্য সেরকম অারেকটা রিমিই লাগবে। অামার মা বরাবরই সব বাড়িয়ে বলেন। অামি ব্যাপারটা হালকাভাবে নিলাম।
চলে যাবার অাগে টিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলল, ---বাবা, অামি মাসুদ চাচাকে অামার সঙ্গে নিয়ে যাই? অামি হেসে ফেললাম। পলাশ অাশ্বাসের স্বরে বলল, ---মাগো, তোমার চাচাকে ছাড়া অামি কিভাবে থাকবো?তবে অামি যখন থাকবো না তখন নিয়ে যেও।
নাইম চোখ মুখ কুচকে বলল ও অাচ্ছা খেলামণি তাহলে, সোজা খালামনি থেকে অামায় খেলামণি করে দিলো!
পুনমকে অামি প্রথম দেখি বিয়ের দিনই! রেজিস্টৃর পরে যখন মালাবদলে অামাকে ও'র কাছে নিয়ে যাওয়া হলো, ও কিন্তু একবার ও তাঁকায়নি অামার দিকে। শাড়ি ঠিক করার অজুহাতে নিচু হয়ে টিস্যু চেপে বারবার চোখ মুছছিলো।
জাতীয় পর্যায়ে এই গুণী মানুষদের সম্মাননা ও পুরষ্কার পাবার কারণ; তাঁদের সমাজে বহুমুখী অবদান। এই অনুষ্ঠানে নারী হিসেবে এই বিশেষ সম্মাননা প্রথমবারের মত পাচ্ছেন, ড.নিনীকা চৌধুরী।তিনি সম্মাননা ও পুরস্কার নেবার পর অনুষ্ঠান সঞ্চালক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ------অাচ্ছা! অাপনার তো অনেকগুলো পরিচয় ম্যাম, এই যেমন অাপনি একাধারে একজন...
উনি তখন বিমানবাহিনীতে সবে ঢুকেছেন।টগবগে তরুণ! উনাকে দেখতে যে তখন কি ভালো দেখায়। ভীষণ লম্বা, গভীর চোখ, অার সবথেকে সুন্দর উনার হাসি।শুধু মাথাভর্তি ঝাকরা চুলটাই ছোট করে ছাটা। ইস! এমন হ্যান্ডসাম ছেলে সারা পৃথিবীতেই বুঝি অার একটাও নেই।পৃথিবীতে কেনো, অাশে পাশের কোনো গ্রহেও নেই।
নীরা সামনে এগিয়ে গেলো। একজন স্যুট টাই পরিহিত ভদ্রলোক উহ্ অাহ্ করছেন! তাঁর হাত কেঁটে গেছে। গলগল করে রক্ত পড়ছে।রক্তে নীল স্যূটের বেশিরভাগই মাখামাখি।মেঝেতে পরে অাছে কিছু এলোমেলো কাগজপত্র। বেশিরভাগেই রক্ত! কিন্তু লোকটা কাটা হাত নিয়ে অাহাম্মকের মত ফাইল ঘেটে কিছু একটা গাড়ির অাশেপাশে খুঁজছেন! নীরা বিব্রত এবং বিরক্ত হয়ে এগিয়ে...
ছোটবেলা থেকেই যে কথাটা অামার নামে প্রচলিত ছিল, তা হলো পড়কুট! তাঁর কারণ অামার পড়াশোনা।অাত্মীয় স্বজন সবার ধারণা ছিলো অামি চব্বিশ ঘন্টাই পড়ি। অামি ভীষণ পড়ুয়া মেয়ে শুধু এই একটা কারণে ছোটবড় সব কাজিনদের কাছে অামি চোখের বিষ ছিলাম। অামাদের বিশাল কাজিন গ্রুপ। যখনি কোনো ফ্যামিলি ফাংশান হতো; হই হুল্লোড় অার অানন্দের ধুম।কিন্তু স...
অামি সিলেট থেকে ট্রেনে উঠেছি।মেয়েটির টিকিট ও সিলেট থেকে ছিলো, কিন্তু সে উঠলো কুলাউড়া থেকে। কমবয়সী, সুদর্শনা।লম্বা ছিপছিপে গড়নেরহাসি হাসি সুন্দর মুখ!
বছর তিনেক অাগের দিকে। অামি তখন সিএমসিতে পড়ছি। ফাইনাল পরীক্ষার মাঝামাঝি এসে অামার ভীষণ জ্বর হয়ে গেলো। বাসায় জানালাম না, বাসায় জানানো মানে বাবা বলবেন, পরীক্ষা কুইট কর! সুতরাং জানানোর প্রশ্নই অাসে না।
অামি তখন ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে ভর্তি কোচিং করছি।নতুন কোচিং এ ভর্তি হয়ে অামার একটি চমৎকার অসুখ দেখা দিলো। তা হচ্ছে, কোচিং এর যেই ভাইয়াকেই দেখছি তাঁরই প্রেমে পড়ে যাচ্ছি! ধরা যাক, অাজ রিশাদ ভাই বায়োলজি ক্লাস করলো, পুরো ক্লাস অামি তাঁর প্রেমে মুগ্ধ! অাবার পরদিন বর্ণ ভাই ক্লাস নিলো, পুরো ক্লাস মনে হলো, একেই বিয়ে করবো অামি...
