হায়াত তো বর এসেছে শুনে লজ্জায় আর একটু হলে মাটির নিচেই ঢুকে যাচ্ছিল। ওদের বাবা সাঈদ হোসেনকে এত খুশি আগে কখনো দেখা যায় নি। আর মা তো সবার সামনে হাসে আর আড়ালে গিয়ে কাঁদে। নায়া তো ওর বান্ধবীদের সাথে বেশ মজা করছে। আর আমাদের আলিফ, ওই শয়তানটা (আমি জানি যে ও মোটেও শ*তান না, আর ওকে এটা বলাও ঠিক হচ্ছে না। ও আসলে অনেক ভ ালো।) তো হায়াতের পরে নিজেও বিয়েতে বসে যাওয়ার সপ্ন দেখছে। আর ওদের দাদি শুধু ছোট বাচ্চা মেয়ের মতো কান্না করছে। আয়াত নিজেও জানে না ওর কেমন লাগছে। এখন পর্যন্ত- তো ভালোই চলছে সবকিছু। কিন্তু জীবনটা যে এর থেকেও অনেক বেশি বড়। জীবনের এই ছোট্ট মুহূর্তের মতো করে সারা জীবন কী সুখে থাকবে এই চার রত্ন? নাকি জীবনের নির্মম-কঠোর কোনো বাস্তবতা অপেক্ষা করে আছে তাদের জন্য?All Rights Reserved