রানীর বান্ধবী পিউ এলো। পিউ রানীর বাবাকে বলল, 'আংকেল, আমরা যদি না যাই তাহলে আমাদের এত বড় কৃষ্টি, আমাদের নিজস্ব কালচার সব কিছু ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে। তা কখনো করত ে দেওয়া যায়? আমাদের চুপ করে ঘরে বসে থাকা মানেই সেটা ঘটতে দেয়া। পয়লা বৈশাখ যে বাঙালির সার্বজনীন একটি উৎসবের দিন, সে কথাটা আমাদের সংস্কৃতিতে প্রোথিত করবে কারা? আমরা ছাড়া?"'
'তুমি ঠিক বলেছ। কিন্তু কোনো বাবা-মা কি চায় নিজের সন্তানকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে। কেউ চাইবে না। আমিও চাই না। তাই বলছি তোমরা ১লা বৈশাখে যেও না।'
রানী বলল, 'না বাবা, আপনার সব কথা মানি, ভবিষ্যতেও অনেক কিছু হয়ত মানবো। কিন্তু আজ এই মুহূর্তে আপনার এ কথাটা কোনোভাবেই মানতে পারছি না। সরি বাবা। আমরা চললাম।'
উনি তখন বিমানবাহিনীতে সবে ঢুকেছেন।টগবগে তরুণ! উনাকে দেখতে যে তখন কি ভালো দেখায়। ভীষণ লম্বা, গভীর চোখ, অার সবথেকে সুন্দর উনার হাসি।শুধু মাথাভর্তি ঝাকরা চুলটাই ছোট করে ছাটা।
ইস! এমন হ্যান্ডসাম ছেলে সারা পৃথিবীতেই বুঝি অার একটাও নেই।পৃথিবীতে কেনো, অাশে পাশের কোনো গ্রহেও নেই।