বিপর্ণার ফ্রেশ হতে সময় লাগলো আধাঘন্টা। শাড়ি পাল্টে হলুদ রঙের সুতি সালোয়ার কামিজ গায়ে জড়িয়েছে। অভ্যাসবশত ভেজা চুলগুলো মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলো ওয়াশরুম থেকে। কিন্তু চোখের সামনে আইজামকে দেখে মনে পরলো সে এখন নিজের বাড়িতে, নিজের ঘরে নেই। ভেজা লম্বা চুলে হলুদ রঙে রাঙা হলুদিয়া পাখিকে দেখে আইজামের শ্বাস আটকে আসছে। গোসলের পর নারীদের ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এমন স্নিগ্ধ রুপের মোহে যেকেউ আটকে যেতে বাধ্য। মোহগ্রস্তের মতো বিপর্ণার দিকে এগিয়ে গেলো আইজাম। চেয়ে চেয়ে দেখলেও নড়াচড়া করতে ভুলে গেলো বিপর্ণা। ওর দু গালে দু হাত রেখে আইজাম নিজের আঁজলায় ভরে নিলো স্নিগ্ধ মুখশ্রীটি। ঠোঁটের খুব কাছে ঠোঁট নিয়ে এসে খুব নিচু কিন্তু স্পষ্ট স্বরে বললো, - সেদিন এই মুখটা দেখেই আমি থমকে গিয়েছিলাম। অস্থির হৃদয়টা যেনো এক মুহুর্তে শান্ত হয়ে গেলো।All Rights Reserved