ব্রহ্মান্ড সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে, যখন থেকে মানুষ তার এই পার্থিব শরীরটাকে আয়ত্বে পেয়েছে, ধারণ করেছে রক্ত মাংসের এই শরীরটাকে, তখন থেকেই যোগ সাধনার সম্বন্ধে আগ্রহ জাগতে শুরু করে। মস্তিষ্ককে ব্যবহার করতে শেখার পর কাঁচা মাংস খাদক প্রাণীটিও আগুনের ব্যবহার শেখে। সাথে সাথে চলে আসে বোঝা বোঝা প্রশ্নের পাহাড়। আকাশের রং পরিবর্তন কেন হয়?? মেঘ গর্জন কেন করে?? শরীরের মৃত্যু কেন হয়?? মানুষ আসলে চায়টা কী?? সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর হয়তো মানুষ আজও সম্পূর্ণ জানতে পারেনি। এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই প্রধানত উৎপত্তি হয় মন্ত্রের। ঠিক সেই আদিম লগ্নে আবির্ভাব হয় এক মহাপুরুষের, নাম সদাশিব।সদাশিবকেই সবচেয়ে প্রাচীন এবং প্রধান যোগ-গুরু বলা হয়। তিনি বুঝলেন যে মানুষ সুখের থেকে বেশি শান্তি চায়। যেমন মানুষ পশুহত্যা করে তার মাংস আগুনে পুড়িয়ে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ