হাটছি আমরা। হাটছি পার্বত্য অঞ্চলের ভেতর দিয়ে। আমি এবং যুবরাজ শুহাংশু, দুজন মিলে প্রায় একটা অসাধ্য সাধন করার চেষ্টায় নিয়োজিত হয়েছি।
চারদিকে শুভ্র তুষারের ছড়াছড়ি, আকাশটাও এখানে শুভ্র বর্ণ ধারন করেছে। তার মাঝ দিয়ে চলছি আমরা দুজন। মাঝে মাঝে দূর আকাশের বুকে দু'একটা পাখি চক্কর কাটছে।
দুজনের মাঝে কোন কথা হচ্ছে না। শুধু ইশারাই যথেষ্ঠ আপাতত। পিঠের বোঝাটা একটু ভারী হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে কথা বলে শক্তিক্ষয় করার কোন মানে হয় না। শক্তিটা বাঁচিয়ে রাখতে হবে। না হলে আমার লক্ষ্য অর্জন করা হবে না কোনদিনও।
হ্যাঁ, এগিয়ে যেতে হবে, আরো বহুদুর। যেতে হবে শুভ্র মানুষের দেশে। রক্তমণির সন্ধানে।
ক্রিতদেবের কথাগুলো কানে ভাসছে আমার, "রক্তমণি লাগবে। গাঢ় লাল রঙের জমাট বাঁধা স্ফটিক, যেটা পাবে তৈমুর পর্বতের নিঞ্চল গুহায়। দেবী প্রাচী এতোদিন ধরে যেটা পাহারা দিয়ে রেখেছেন।"