"পঞ্চইন্দ্রিয়ের ধারনা সভ্যতার শুরু থেকে, এগুলো হলো, স্পর্শানুভূতি, স্বাদ, শ্রবনানুভুতি, দৃষ্টি ও ঘ্রাণ। এইসবগুলোই হলো ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য কিন্তু আমাদের আরেকটা ইন্দ্রিয় আছে বলে ধারনা করা হয়, কিন্তু বিজ্ঞান এখন পর্যন্ত এটাকে স্বীকৃতি দেয়নি, এটা হলো, "ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়"। বিজ্ঞান স্বীকৃতি দেয়নি বলার চেয়ে বলা ভালো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। মূলত মনে করা হয় এই ইন্দ্রিয়বলে মানুষ ভবিষ্যৎ অনুমান করতে পারে। এত বছরে সভ্যতার এই চরম উৎকর্ষতার পরেও এই ব্যাপারটা অনাবিষ্কৃত থাকার কারণ হলো এ বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা না হওয়া এবং যতটুকুই হয়েছে শুরু থেকেই একটা ভুলকে কেন্দ্রকরে এগিয়ে যাওয়া।
ভুলটা হলো, এটাকে ষষ্ঠ-ইন্দ্রিয় না ধরে, ধরতে হবে সপ্ত-ইন্দ্রিয়। প্রকৃতপক্ষে ষষ্ঠ-ইন্দ্রিয় হলো আমাদের স্মৃতি। এই স্মৃতি হতে পারে দুটি পর্যায়ে, একজনের সমগ্র জীবনের প্রত্যক্ষ স্মৃতি
দীপ ও অঙ্কিতা বিয়ে করেছে। তারা সুখে শান্তিতে জীবন কাটাচ্ছিল, অঙ্কিতা বিয়ের পাঁচ মাসের মধ্যে গর্ভবতী হয়, সংসারে নতুন অতিথি আসার আনন্দে দীপ খুব খুশি ছিল। এক মহাবিশ্বের ঘটে যাওয়া ঘটনার স্বপ্ন অঙ্কিতার স্বপ্নে আসে, অন্য কোনো মহাবিশ্বে ঘটে যাওয়া ঘটনার স্বপ্ন কিনা সেটা অঙ্কিতার জানা ছিলনা ঠিকই কিন্তু স্বপ্নের পর সে দীপ কে ফোন দেয় কারণ স্বপ্নটা ছিল দীপকে নিয়ে।