রাজকুমারী,
তোমাকে চিঠি লিখতে হবে কখনো ভাবিনি। হৃদয়ের মাঝখানে যার বসবাস, যার সাথে নিত্য কথা বলা তার তো চিঠির দরকার নাই। নয়নের মাঝখানে যে থাকে, সে দৃষ্টির আড়াল হবে কিভাবে? কোথায় তুমি ছিলে আর কোথায় আমি ছিলাম, সে কথা শুধু আমাদের ইশ্বরই জানতেন। তারপর আমাদের মিলিয়ে দিলেন এক সাথে। আমাদের দুজনার দুট পথ এক সূতোয় বেঁধে দিলেন। তখনো কি জানতাম ঐ পথ বেঁকে যেতেই হবে? তখনো জানা হয়নি এই মিলে যাওয়া পথ ক্ষণিকের। কিন্তু দেখো তুমি আর আমি সকল সত্য বাস্তবতা ভুলে ডানা মেলে উড়তে থাকলাম অসীম নীল আকাশের বুক জুড়ে।
কবিগুরুর একটা গান আছে না 'গোপন রহি গভীর প্রাণে, আমার দুঃখ সুখের গানে সুর দিয়েছো তুমি'? সেদিন তুমি কবির কথাকে সত্য করে দিলে। সেদিন আমার সকল শুষ্ক, রুক্ষ গানের কথায় তুমি বসন্তের সজীব, চঞ্চল, স্নিগ্ধতা এনে দিলে। সকল অতীত মুছে দিয়ে হৃদয় মন্দিরের সিংহাসন দখল করে বসলে।
আমি ভালবাসা
একবার দেখেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলো রেহবার ও গুলিস্তা। বিয়ের পর সব ঠিকঠাক চললেও গুলিস্তার নির্লিপ্ততা, অস্বাভাবিক ঠান্ডা আচরণ রেহবারের মনে গাঢ় সন্দেহের জন্ম দেয়। ভালো মন্দ সব
পথ অবলম্বন করে মূল কারণ উদ্ধারের চেষ্টায় সামনে আসে গুলিস্তার অতীত। যা মেনে নেওয়া রেহবারের পক্ষ ে সম্ভব হয়নি।