নীতিন - বেশ করেছি।
সহীনি - আমিও বেশ করেছি ।
নীতিন - হ্যাঁ ঠিক আছে যাও, বেশি কথা বলো না। নিজের... (কথা শেষ হতে না হতে)
সহীনি - হুম! সেতো যাবোই, বেশি না তুমি কথা বলো না। ফালতু একটা ছেলে।
নীতিন - আমি ফালতু!? আমি ফালতু.. তুমি(একটু ভাবনা চিন্তা হচ্ছে কি বলবে) তুমি.. ফালতু।
সহীনি - (মুখ ভেঙানো শব্দ) হুহ! সে দেখাই যাচ্ছে। এইরকম ফালতু একটা ছেলে জানলে কখনোই বিয়ে করতাম না।বা...( কথা শেষ হতে না হতে) জে লোক একটা।
নিতীন - আমার খেয়ে কাজ পরেনে।
মা - কিরে কি হলো তোদের? (রান্না ঘর থেকে চিৎকার মায়ের)
সহীনি - তোমার সাথে পায়ে পা তুলে ঝগড়া করার মতো আমার সময় নেই। আমার... (কথা শেষ হতে না হতে) অনেক কাজ পড়ে আছে।
নিতীন - কে পা তুলে ঝগড়া করছে তা দেখাই যাচ্ছে।
মা - (আবার চিৎকার) কিরে কি হলো।
সহীনি - ফালতু লোক একটা হাট্ (বলে চলে যাচ্ছে)
নিতীন - তুই ফালতু। তুই বাজে, তুই সব
মা - এই সহীনি তুই এদিকে আয়। সকাল সকাল তোদের কোনো কাজ থাকে না না !?
(যখন মা এই কথা বলছে তখন সহীনি ও বলছে নিতীনকে)
নিতীন - তুই, তুই, তুই তুই তুই তুই তুইইইইইই তুইইইইইই ( বলতে বলতে রান্না ঘরের দিকে)
(সেই সাথে সাথে নিতীনও)
নিতীন - তুইইই তুই তুই তুই তুইইইইইইইই তুইইইইইইই
( রান্না ঘরে সহীনি যেতে )
মা - (জিজ্ঞাস করলো) কি! সমস্যা টা কি বলতো তোদের, এই তো ঝগড়া করছিস আবার তো কিছুক্ষন পরে ভুলে যাবি। আমি বুঝি না তোদের বাবা।
সহীনি - ও কেন আমার জিনিসে হাত দেবে।
(নিতীন রান্না ঘরে কাছে এসে)
নিতীন - বেশ করবো দেবো।
সহীনি - দেখছেন। এমন বেয়াদব মারকা ছেলে।
মা - করবি তোরা।
নিতীন - তুই বেয়াদব, ( মা বলতে শুরু করলো, মা মায়ে কথা বলে চললো ছেলে ছেলের কথা বলে চললো এক সাথে) তুইও তো আমার জিনিসে হাত দিয়েছিস।
মা - বাবু, তুই কেন আবার এ ঘরে এলি, আমি ওকে ডেকে নিলাম, আবার ঝগড়া করবি বলে এলি।
নিতীন - আমি জল খেতে এসেছি।
সহীনি - যতসব ঢং
মা - চুপ করবে তুমি। (সহীনির চোখ থেকে জল গড়ালো মায়ের বকুনি শুনে)
মা - জল তোর বোতলে দেওয়া নেই এখানে এসেছিস।
নিতীন - নেই বলেই তো এসেছি।
মা - ঠিক আছে যা! (ভাব নিয়ে বলছে) আমি দিয়ে আসছি ( সহীনি তার কাপরের আঁচল দিয়ে চোখটা মুছে নিলো) এখানে তোমার কোনো প্রয়োজন নেই যাও।
(নিতীন চলে গেল)
মা - (সহীনিকে বলল) ডালটা সাতলাও আমি বাবুকে জলটা দিয়ে আসি (বলে ফিল্টার থেকে বোতলে জল ভরতে শুরু করলো)
মা - (দিয়ে এসে) হয়েছে!
সহীনি - হুম!
সব রান্না বান্না হয়ে গেল।
মা - বাবু স্নানটা করে নে রান্না হয়ে গেছে।কিছুক্ষণ পর নিতীনের স্নান হয়ে ঘরে এসে বিছানাতে ভিজে গামছাটা রেখেছে।
সহীনির ফোন এই ঘরে ছিল বেজে উঠলো।
সে শুনতে পেয়ে এসেছে। নিতীনের দেখা হয়ে গেছে এমনি কোম্পানি থেকে ফোন এসেছে।
সহীনি এলো ফোনটা দেখলো কোম্পানির ফোন কেটে দিয় চার্জের সুইচটা অফ করে দিল। চলে আসবে দেখে বিছানার উপর ভিজে গামছা। আর তার ঝগড়া করার মুড নেই মায়ের বকুনি খাবার পর তাই গামছাটা তুলে নিল। সেটা দেখলো নিতীন।
নিতীন - এবার যে তুমি আমার জিনিসে হাত দিলে এর বেলা ভালো। (নিতীন গামছাটা টানলো)
সহীনি নিতীনের দিকে রেগে তাকিয়ে গামছা টেনে নিলো। দরজার সামনের দরিতে শুকাতে দিয়ে চলে গেল। নিতীন আর কিছু বলল না। সে বুজতে পারলো সহীনি রেগে আছে। তার উপর রাগ করেছে।
মা - বাবু তোর স্নান হয়েছে, খাবি তো আয়।
সহীনি ওই ঘরে পৌঁছানোর পর
মা - (জিজ্ঞেস করল) তুই এখন খাবি না পরে খাবি।নিতীন চুল আঁচরে নিয়ে গেলো খেতে।
সহীনি - আমি এদিকের কাজ গুলো সেরে নিয়ে তারপর খাবো। তুমি খেয়ে নাও।
মা - আচ্ছা ঠিক আছে। আমি খেয়ে নিচ্ছি তুই খেয়েনিস কাজ সেরে কেমন।
সহীনি - হুম।
নিতীন খেতে বসেছে, মা খেতে দিয়ে নিজেও
খেতে বসেছে।
নিতীন - (নিতীন মাকে জিজ্ঞেস করলো) ও খেতে বসবে না।
মা - ও রান্না ঘরের কাজ গুলো শেষ করে খাবে, তুই খেয়ে নে।
নিতীন বুঝলো আজকে আর সে খাবে না, রাগ হয়েছে। মায়ের সামনে কিছু বলতে পারলো না খেয়ে নিলো। ওদিকে সে চোখের জল ফেলছে আর কাজ করছে।
মা খেয়ে শুয়ে পড়েছে।
সহীনির কাজ হয়ে গেছে।
নিতীন এসে একবার উকি দিল, মা নাক ডাকছে।
আস্তে আস্তে রান্নাঘরে গিয়ে দেখে সহীনি জানালার দিকে চেয়ে চুপ করে দাড়িয়ে আছে। তারপর দেখে চোখ থেকে জল গড়াচ্ছে।
YOU ARE READING
ঝগড়া শেষে অনেক ভালোবাসা
Romanceস্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটো ছোটো জিনিস নিয়ে ঝগড়া তো তারপর, প্রেমটা কিন্তু অনেক গভীর হয়।