নিতীন - তার দিকে মুখ বাড়িয়ে তুমি কাঁদছো কেন?
সহীনি - (অভিমান স্বরে) আমাকে একটু একা থাকতে দাও।
নিতীন - দ্যাখ তুমি আমার দিকে।
সহীনি - বললাম তো যাও না কেন বিরক্ত করছো।
নিতীন - আমার উপর রাগ করে খাবারের উপর রাগ দেখাচ্ছো বেকার।
সহীনি - যাওওও না ( একটু কন্ঠের স্বর কেঁপে উঠলো।
নিতীন - আচ্ছা ঠিক আছে, চলে যাব তুমি খেয়ে নাও।
সহীনি - আমার খিদে নেই তুমি যাও।
নিতীন - আমি খাইয়ে দিচ্ছি খেয়ে নাও।
সহীনি কিছু বললো না। কিছুক্ষন পর
নিতীন - শোনো না আমি তো ভাত বারতে পারি না, তুমি বেরে দাও আমি..আমি আমি তোমাকে খাইয়ে দেবো।
সহীনি - (একটু উচ্চ স্বরে) বললাম খিদে নেই।
(সঙ্গে সঙ্গে নিতীন তার হাত সহীনির মুখের উপর রেখে।)
নিতীন - আস্তে মা ঘুমাচ্ছে এখ্খনি উঠে পরবে।
তোমাকে কিছু করতে হবে না, আমি নিয়ে আসছি, তুমি চুপ করে দাড়িয়ে থাকো আমি খাইয়ে দেব।
(সে খুঁজে খুঁজে থালা বার করলো এবার ভাত বারতে যাচ্ছে। হাত দিয়েই বার যাচ্ছে। সহীনি ও দিক থেকে দেখছে তার বরের কান্ড )
সহীনি - হাত দিয়ে ভাত বারে না। ওই যে হাতা।
নিতীন - কই!? ওই তো সামনে।
(উফ্ সে কি কান্ড কত কষ্ট করে ভাত বারলো, পস্ত, ডাল নিরামিষ রান্না ছিল কি ভাগ্যিস)
ভাতের থালাটা সহীনির কাছে রেখে এসে একটা বাটি নিয়ে এলো ডাল নিলো, সেটা আবার রেখে এলো, আবার একটা বাটি নিলো পস্ত নিলো ওই একই হাতা দিয়ে। নিয়ে গেলো সহীনির কাছে।
ভাতে ডাল মাখলো পস্ত মাখছে.. ঠিক সেই সময়
সহীনি - আমার খিদে নেই আমি খাব না।
নিতীন - আমি খাইয়ে দিচ্ছি বললাম তো।
সহীনি - তুমি নিজে মাখছো নিজে খাও।
নিতীন - আমি তো খেলাম কত বার খাব।
সহীনি - তখন আমার কথা মনে পরেনে। নিজে তো খুব একা একা খেয়ে নিলে। একবারও আমার কথা ভাবলে না। ডাকলে না খেয়ে যাও বলে।
নিতীন - (সহীনির কথা শেষ হবার কিছুটা আগে থেকে নিতীন বলতে লাগল) দেখ তুমি বুঝছো না আমার ব্যপারটা আমি মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তুমি খাবে না। মায়ের সামনে কিছু বলতে পারি নি। এখন তো এসেছি খাইয়ে দেবো বলছি (হাতটা মুখের কাছে নিয়ে গিয়ে)
হা করো
সহীনি - না।
নিতীন - এবার কিন্তু আমি কাঁদবো খেয়ে নাও না প্লিজ্। কান ধরছি সরি।
(একহাতে তো ভাত, একহাতে কান ধরে ,আর যেই হাতে ভাত, সেই হাতটার উল্টো দিকটা কানে ঠেকায়।
সহীনি তো মুচকি হাসে।
নিতীন - (হেসে একটু উচ্চ স্বর হয়ে যায়) এতো তো আমার বউটা হেসেছে,(সহীনি নিতীনের মুখে হাত দিয়ে বলে- আসতে মা ঘুমাচ্ছে না!) উফ্ আমি আর পারি না কি জ্বালাতন।
নিতীন সহীনির মুখে ভাত দিল সে মুখে নিয়েই
সহীনি - উমহ্! নুনটা কে দেবে দাদু!
নিতীন - দাড়াও দাড়াও আনছি।
নুন মেখ আবার ভার দিল। খাওয়া হলো কিছুক্ষণ।
নিতীন - আমার সোনা বউ ,(ব্যস সহীনির বিসম লাগলো কেসে উঠলো ভালো ছিল তার শাশুরি ঘুমিয়েই ছিল ওঠেনি। )
দৌঁড়ে জল এনে সহীনির মুখে ধরে, মাথায় ফু দেয়। সহীনি গ্লাসটা হাতে ধরে নিতে পিঠ চাপরে দেয়।
সোহীনিকে কাছে টেনে কপালে একটা হামি দেয়। সোহীনির মুখে সুন্দর একটা মৃদু হাসি ফুটে উঠেছে।
খাওয়া- দাওয়া শেষ।
নিতীন - এইটুকু বাসন আমি মেঝে দিচ্ছি। আজকের জন্য শুধু কিন্তু (সহীনি হাসে)
নিতীন - চলো,চুপি চুপি মায়ের ঘর থেকে বেরাতেই, সহীনিকে কোলে তুলে নিলো।
সহীনি - (একদম আস্তে) এইই কি ক.. র. ছ পরে.. যাব তো।
নিতীন সোহীনির কপালে হামি দিলো।
তারপরি ঠোঁটে, সে সহীনির কি লজ্জা ,নিতীনের গলা ভালো করে দুই হাতে জড়িয়ে। নিতীনের বুকে মুখ লুকিয়ে রাখে।
তাদের ঘরে গিয়ে সহীনিকে বিছানায় বসিয়ে।
দরজা বন্ধ করে দেয়।*নমস্কার দরজা বন্ধ থাকার কারণে আমি আর এগো পারলাম না,এখানেই শেষ করলাম। দরজা খোলার পর আবার নতুন গল্প পেয়ে যাবেন। *
YOU ARE READING
ঝগড়া শেষে অনেক ভালোবাসা
Romanceস্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটো ছোটো জিনিস নিয়ে ঝগড়া তো তারপর, প্রেমটা কিন্তু অনেক গভীর হয়।