গল্প হলেও সত্যি

19 2 1
                                    

গল্প শুনবে? সেই মেয়েটির গল্প। যে ভুলে গেছে ভালোবাসতে, ভুলে গেছে বেঁচে থাকতে।
শুনবে তার গল্প? আচ্ছা বলি শোনো

ভালোবাসার মানে বোঝার আগেই সে ভালোবেসেছিল  একজনকে! সে কি বুঝতে পেরেছিল যে সে তাকে ভালোবাসে? না পায়নি। সে বুঝতেই পারে নি তার এই অনুভূতিটার মানেই ভালোবাসা।

ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় প্রথম সে জানতে পারে সে যাকে তার সবথেকে কাছের ভাবতো সেই মানুষটা তাকে ভালোবাসে! ইস! তখন যদি সে জানতো যে সবটাই বানানো কথা। সেই মানুষটা তাকে কখনো ওভাবে ভালোই বাসে নি তাহলে হয়ত ১২ বছর সেই মেয়েটা অপেক্ষাই করতো না তার জন্য।

ও আচ্ছা ওদের নামটাই তো বলা হয় নি। মেয়েটির নাম শৈলী আর ছেলেটির নাম নিপুন। সমবয়সী তারা। ছোটবেলার খেলার সাথী আর বড়বেলার ভালেবাসা,বিশ্বাস আর ভরসার জায়গা।

বয়স তখন বারো

কিরে শৈলী কেমন আছিস? শৈলীকে দেখেই জিজ্ঞাসা করলো নিপুন। আমি ভালো আছি,  তোর কি অবস্থা? এইতো ভালো। কি করিস? রান্না!!! তুই আদো পারিস রান্না করতে? এটা খেলে তো সবাই মরবে, দেখিস পেট খারাপ না হয় আবার, শৈলীকে চা বানাতে দেখেই এভাবে ওর সাথে মজা করে যাচ্ছিলো নিপুন।  এটা যেন ওদের নিত্যদিনের কাজ।


আজ প্রায় দুবছর পর দেখা হলো তোর সাথে আমার আর তুই আজই এমন করতেছিস? কেন রে? আমার সাথে এমন না করলে কি তোর ভালো লাগে না? জিজ্ঞাসা করলো শৈলী আর নিপুন ও হেসে বললো কি করবো বল তুই ছাড়া আর কে আছে আমার! এই যা তো সর। কাজ করতে দে আমাকে। আচ্ছা আচ্ছা যাচ্ছি মা। আর রাগ দেখাতে হবে না! এটা বলেই ড্রয়িং রুমে চলে গেলো নিপুন। শৈলী ও মুচকি হেসে নিজেরমত কাজ করতে লাগলো।
আজ প্রায় দুবছর পর দেখা হলো ওদের। যদিও এতদিন সব নরমাল ছিলো কিন্তু গত ২৫ দিন আগে সাজিদ মানে ওর খালাতো ভাই ওকে জানায় যে নিপুন তাকে ভালোবাসে আর সাজিদকে সে নিজে এ কথা বলেছে। এটা জানার পর থেকে শৈলী একটু অবাক হয় আবার খুশিও হয় কারণ নিপুন ছাড়া আর তো কেউ নেই ওর। যদিও তখন এ ভালোবাসার মানেটা সে বুঝে নি কিন্তু মনে মনে নিপুন কে নিয়েই নিজের পৃথিবী গড়তে শুরু করে সে।
ধ্যাত আবার আসছিস তুই? আসতেছি তো আমি খাবার নিয়ে।  জ্বালাস নাতো যা ভাগ বলে আবারো কপট রাগ দেখায় শৈলী। এই নিপুন টাও না! শৈলীকে না জ্বালালে যেন তার ভালোই লাগে না।
এভাবেই মজা,ঝগড়া আর কপট রাগ অভিমানের মাঝেই কেটে গেলো ৩ দিন আর নিপুনের ও বিদায় নেওয়ার সময় হয়ে গেলো। এবার যেন আরো বেশি খারাপ লাগতেছে এই পাগলটার জন্য।
হ্যারে কবে আসবি আবার বলতো, কেন কেন? মিস করবি নাকি? ধূর! তোকে কে মিস করবে। যা তো যা ভাগ। আসতে হবে না আর। আচ্ছা এখন আর রাগ করিস না। চলেই তো যাচ্ছি। এদিক তাকা একটু, দেখ আমাকে, শোন! আসবো তো যত তাড়াতাড়ি পারবো চলে আসবো। তোকে জ্বালাতে হবে তো! বলে জোরে একটা চিমটি কাটলো শৈলীর হাতে নিপুন আর হাসতে হাসতে গাড়িতে উঠে বসলো। শৈলীর চোখটা ছলছল করছে ঠিকই তবুও হাসি মুখে বিদায় জানালো ওদেরকে তারপর বাসায় এসে ঠিকই কাঁদতে লাগলো।

***(প্রথম কিছু একটা লিখার চেষ্টা। আশা করি ভালো লাগবে সবার। কোন ভুল ত্রুটি থাকলে জানাবেন! আর কেমন লাগলে সেটাও
ধন্যবাদ☺🤗❤)

সেই মেয়েটিWhere stories live. Discover now