১২জুন. ২১৫২ সাল।
সন্ধ্যা৭টা,
ঢাকা বাংলাদেশ।ব্যস্ত শহর ঢাকার চারিদিকে ব্যস্ততা।
দিন শেষে ক্লান্ত লোকেদের ঘরে ফেরার ব্যস্ততা।সাই সাই করে ছুটে চলছে দ্রুত গতির পাবলিক পরিবহন ম্যাগনেট ট্রেন। আকাশচুম্বী শত তলা - হাজার তলা সব বিল্ডিং এর স্ক্রীনে অবিরাম চলছে বিজ্ঞাপন।
রাস্তায় সমান গতিতে সারিবদ্ধভাবে ড্রাইভার বিহীন
প্রাইভেট গাড়িগুলো ঘরে ফিরছে তাদের মালিকদের নিয়ে।।
আকাশে সবসময় টহল দিচ্ছে পুলিশের নতুন এন্টিগ্র্যাভিটি ইঞ্জিন যুক্ত কিছু টাইপ 004 বাইভার্বাল (মধ্যম উচ্চতায় উড়তে সক্ষম বাহন)।
ক্লিনার রোবটেরা পরিস্কার করছে শহরের রাস্তাঘাট।।
আর গৃহপালিত কিছু এন্ড্রোয়েট ব্যস্ততার মিথ্যা ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।।
.
চারিদিকে ব্যস্ততা আর ব্যস্ততা।।
কিন্তু এর মাঝে একটি মাত্র প্রানীর কোন কাজ নেই, সে হলো জিগি।।
ছাত্র হলেও পড়ালেখা করেনা বললেই চলে।।
সে তার পোষা এন্ড্রয়েট রুটু কে কোলে নিয়ে রাস্তার ধারে ৪২৫ তলা বিল্ডিং রিওয়ান টাওয়ারের গায়ে হেলান দিয়ে আনমনে রাস্তার গাড়িগুলো দেখছিলো ।
কিছুক্ষণ পর পর walk way দিয়ে হেটে যাওয়া রোবটদের অযথা বিরক্ত করে মজা পাচ্ছে। রুটুও যান্ত্রিক গোলায় খিক খিক শব্দ করে হাসছে।
.[ফ্ল্যাশব্যাকঃ
বাংলাদেশ
আধুনিক বিশ্বের উন্নয়নশীল একটি দেশ । খুব একটা উন্নত নয়, আবার খুব একটা অনুন্নত দেশও নয়। কৃষি খাতের উন্নয়ন ধরে রাখতে পেরেছে, আবার রোবট শিল্পতেও দিন দিন উন্নতি করছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উন্নয়নের পথে কিছুটা বাধার সৃষ্টি করছে।। কারন বড় জনসংখ্যার কারনে অনেক জনগন গরীব থেকে যাচ্ছে। সরকার অবশ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে।। সরকার আর কতই বা করবে , তারা নিজেরাই কাজের প্রতি যদি আগ্রহ প্রকাশ না করে! তবে বাংলাদেশে বেশ কিছু টেক জায়ান্ট তৈরি হয়েছে। এই কোম্পানি গুলোর মধ্যে আবার কিছু কিছু রয়েছে বিশ্বের সেরা ১০ এ। তাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী । এরকম একটি টেক জায়ান্ট হল মাশটাং। রোবটের সিজিয়াম মোটর এবং বাইভার্বালের এন্টিগ্রাভিটি ইঞ্জিন তৈরিতে বিশ্বে যাদের একছত্র আধিপত্য।