ঐতো সেদিন গণিত পরীক্ষার আগের রাত পেন্সিল কম্পাস নিয়ে বসে আছি .অলস লাগছে.. জানি এখন ঘুমিয়ে গেলে কাল একদম ফেল . তাও ভাবলাম বিছানায় একটু শুয়েই উঠে পরব.. দরজা লাগিয়ে শুয়ে পড়লাম.
কখন ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেও টের পেলাম না. হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল. আমি জেগে আছি কিন্তু চোখ খুলতে পারছি না. ভাবলাম উঠে বসি . নাহ.. আমার শরীর এর চুল পরিমান ও নড়াতে পারছিনা
বুক এর মধ্যে চাপ অনুভব করলাম. কেমন একটা বাজে অনুভূতি. হঠাৎ মনে হলো আমার পিছনে কেউ আছে.. আমি মাথা ঘুরিয়ে দেখতে পারছি না... কি ভয়ানক অনুভূতি.. চেষ্টা করেও আঙুল ও নাড়াতে পারছি না.
আমার চোখ বন্ধ কিন্তু তাও আমি বুঝতে পারছিলাম আমার বিছানার পিছে লম্বা কোনো মানব শরীর আছে আমার দিকে তাকিয়ে.
আমি প্রচন্ড ঘামছিলাম . নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় মানুষ মনে হচ্ছিলো
মনে হচ্ছিলো জোরে চিৎকার দেই. লাফিয়ে উঠে পড়ি.. কিন্তু না পারছিলাম না. আমার ব্রেন ছাড়া সব কিছু অচল হয়ে ছিলো. হটাৎ দেখি কারো পায়ে চলার শব্দ... স্বাভাবিক মানুষ এভাবে হাঁটতে পারে না.. মনে মনে চিৎকার করছিলাম .. কান এর পাশে কেমন ভয়ঙ্কর সব শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম.. এই মুহূর্তে মনে হচ্ছিল আমি মারা যাচ্ছি না কেন . ধপ ধপ পায়ের আওয়াজ আরো বাড়ছিলো. ভয়ানক সেই লম্বা ছায়া মানব শরীর আমার আরো কাছে আসছে. হঠাৎ শুনতে পেলাম আমার দরজা কেউ অনেক জোরে এ লাগিয়ে দিয়েছে. আমি কোনো কিছু ভাবতে পারছিলাম না.. এভাবে অনেক সময় কেটে গেলো.
হটাৎ চোখ খুলে গেলো. শুনতে পেলাম ফজর এর আজান দিচ্ছে. আশে পাশে তাকে দেখি সব স্বাভাবিক. লাইট জলছে .. ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি একদম কাটায় কাটায় রাত চারটা তিরিশ বাজে. আমি তখনি উঠে জ্যামিতি প্রাকটিস করি এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি নেই.. পরের দিন পরীক্ষা অনেক খারাপ হলো কারণ আমি শেষ রাত যে কি হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না.. পরীক্ষার মধ্যেও এসব মাথায় ঘুরছিলো. হয়তো এটাই স্লীপ পেরালিসিস..