পার্ট ওয়ান: স্বপ্ন হলেও সত্যি

6 0 0
                                    

সে আবার কে? রাস্তায় মরে পড়ে আছে।
দেখতে হুবহু আমার মতো, আমিই নাকি??

হাবিব আর তার বন্ধু রাব্বি। একসাথে নিজেদের সাইকেলে করে স্কুলে যায়। ৪০/৪৫ মিনিট সাইকেল চালাতে হয় স্কুলে পৌঁছাতে। ফেরার পথে বাজার থেকে হাবিবের বাড়ি বেশি দূরে না, কিন্তু রাব্বির বাড়ি বাজার থেকে আরো ১ কিলোমিটার দূরে। যার কারণে তাদেরকে সময় মিলিয়ে চলতে হয়।
আসার সময় হাবিব ৯টায় বাজারে থাকে‌, রাব্বি ও এমন সময় বাসা থেকে রওনা দেয় যেন ৯টায় বাজারে থাকে।
তারপর একসাথে স্কুলে যায়।
খুব ভালো লাগে তাদের একসাথে গল্প করতে করতে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতে। টিভিতে দেখা নাটক, কখনো শ্লোক, কখনো বা ক্লাসের কোন মজার ঘটনা নিয়ে গল্প করে, চলার পথে কখনো আবার গান গাইতে গাইতে যায়। কখনো রাস্তা ফাঁকা থাকলে Race দেয় দু'জনে। বেশির ভাগ সময় রাব্বি ই জিতে যায়। মাঝে মাঝে কোম্পানির বিশাল বিশাল ট্রাক সাই সাই করে রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলে যায়। খুব ভয় করে তখন। তাই আগে থেকেই সাইকেলের স্পিড কমিয়ে রাস্তার সাইড ঘেসে চালায়।

আজ স্কুলে পৌঁছাতে নাকি 44 মিনিট লেগেছে।‌ রাব্বি তার হাতঘড়ি টা দেখিয়ে বলল।‌

রাব্বির হাতঘড়িটা আসলেই খুব সুন্দর, সাদা ফ্রেমে বাদামি রঙের ভারি ফিতা। ওর সুন্দর হাতে মানিয়েছেও ভালো। ওর দুলাভাই নাকি ওকে ওর জন্মদিনে ঘড়িটা উপহার দিয়েছে। হাবিব কালো মানুষ কালো হাতে কোনো ঘড়িই ভালো মানায় না। কিন্তু তারও মন চায় হাতঘড়িতে সময় দেখে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাবে। দেখবে কত মিনিট লাগলো পৌছাতে। ক্লাসে কোন ঘড়ি নেই, হাতঘরিতে সময় দেখেই বুঝতে পারবে কত মিনিট পর ঘন্টা বাজবে!!

আব্বাকে বলছিল হাবিব যে তাকে একটা হাতঘড়ি কিনে দিতে। উনিও বিষয়টা বুঝে যে দূরে স্কুলে যায়, একটা হাতঘড়ি আসলেই প্রয়োজন। আব্বা আশ্বাস দিয়েছেন সেলারি পেলেই ঘড়ি কিনে দিবেন।
হাবিবও অপেক্ষায় আছে কবে তার আব্বা সেলারি পাবে আর কবে আসবে তার ঘড়ি। ঘড়ি কিনার কথা প্রায়ই মনে করিয়ে দিতো সে যেন সেলারি পেয়ে ঘড়ির কথা ভুলে না যায়।

Você leu todos os capítulos publicados.

⏰ Última atualização: Jan 03 ⏰

Adicione esta história à sua Biblioteca e seja notificado quando novos capítulos chegarem!

একটি ঘড়ির গল্প Onde histórias criam vida. Descubra agora