কিন্তু ব্যাগ থেকে টিকটিক বেরতে , ওহিদুর ঠিক করলো ব্যাগ এর ভিতর যা যা জিনিস আসে সব বের করবে । যেমন ভাবা তেমন কাজ । কিন্তু ব্যাগ থেকে শুধুমাত্র জিনিস পএরই বেরোলো এবার । টিকটিকি বা অন্য কোনো প্রাণী বেরোলো না । ওহিদুর কোনোমত জিনিস পত্র গুছিয়ে ঘুমোতে চলে গেলো । ভোর রাতের দিক বাথরুম যাওয়ার প্রয়োজন পড়াআই ওহিদুররের ঘুম ভেংগে গেল । বাথরুম থেকে ঘরে আসার মুহূর্তে চোখ পড়লো টেবিলের দিকে । আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে টেবিলে থাকা ফুলদানির পাশে শুয়ে থাকা টিকটিক তার দিকে। ওহিদুর ভাবলো , এটা কি সেই ব্যাগ থেকে বেরোনো টিকটিকি টা ? কিন্তু চোখ এ ঘুম থাকায় এবং পরের দিন সকালে অফিসের চিন্তায় সে লাইট অফ করে ঘুমিয়ে পড়লো । পরের দিন অফিসে গিয়ে কাজের চাপ থাকায় ওহিদুর সেই টিকটিকির কথা টা একেবারেই ভুলে গেলো । কিন্তু বাড়ি ফিরেই আবার টিকটিক ই টা কে দেখতে পেলো । এবার টিকটিকি টা ফুলদানির গায়ে সেঁটে আসে । ওহিদুর একবার বাহবলো এইটা কি সেই টিকটিকি টা ? অন্য টিকটিকি ও হতে পারে ত ? কিন্তু টিকটিকি নিয়ে এত কি ভাবে র আছে সেই প্রশ্ন ওর মনে আসলো । তাই সে টিকটিকি টা কে নিয়ে বেশি না ভেবে নিজের কাজে মন দিল । প্রতি রাতের মত আজও তার ঘুম ভেংগে গেল ।কিন্তু লাইট জ্বলে যা দেখলো তাতে ওহিদুররের যতটুক ঘুম - ঘুম ভাব ছিল তা একেবারেই চলে গেলো । ওহিদুর দেখলো টিকটিকি টা ফুলদানির গায়ে লেগে আছে আগের মতন এবং ফুলদানির তে ঝুল থাকা রজনীগন্ধা ফুল একটু একটু করে খাচ্ছে । ওহিদুর অফিস থেকে বেরিয়েই কিছু রজনীগন্ধা ফুল কিনে ফেলল ।
যদি কাল রাতে টিকটিকি টা ফুল টি খেয়ে থেকে তাহলে আজ রাতেও নিশ্চয় খাবে । ঘরে ঢুকে রজনীগন্ধা ফুল গুলো কে ফুলদানির মধ্যে রেখে দিল । সেই রাতে ওহিদুর এর ঘুম এলোনা । মাঝে মাঝেই লাইট অন করে দেখাছিলো টিকটিকিটা এসেছে কিনা । শেষে ভোর রাতে টিকটিকি টা হাজির হলো । এবং মনের সুখে আগের রাতের মত রজনীগন্ধা ফুল টি খেতে লাগলো । ওহিদুর এর এর কোনো দ্বিধা থাকলো না যে এই টিকটিকি টি ফুল - পাতা খাই । আর দেরি করলো না ওহিদুর , পাশেই রাখা ফোন টা নিয়ে ভিডিও করতে লাগলো । পরের দিন অফিসে গিয়ে তার কলিগ প্রথমে টিকটিকির পাতা খাওয়ার কথা বিশ্বাস করে নি তাকে গিয়ে দেখলো ভিডিও টি । সে তো দেখে অবাক ! কেউ বলল এটা টিকটিকি এই নয় অন্য প্রাণী !
কেউ আবার মজা করে বলল , টিকটিকি নিরামিষ হয়ে গেছে । বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে শুনলো যখন মা রান্না ঘরে তখন নাকি ওই টিকটিকি টা বাধা কপি খাচ্ছিল । ওহিদুর এর ভিজতে ভুল হলনা যে এটা সেই টিকটিকি টা ই ।
এবাহবেই একমাস কেটে গেলো । টিকটিকির ভিডিও আখন ইউটিউব এ ভাইরাল ! ওহিদুর এর বাড়িতে আখন শোনায় টিকটিকির পাতা খেতে দেখতে এসেছে ।
তবে যেইটা বলার বিষয় সেটা হলে টিকটিকির সাইজ ।
টিকটিকির সাইজ আখন একটা গোষাপের সমান !
প্রতি বাড়ি রবিবারে টিকটিক কে দেখতে আসে স্ববায়
এরকমই একটি রবিবারে আমেরিকা থেকে একটা লোক দেখতে আসেন টিকটিকি টিকে
এবং সেটি তিনি কিনতে চান । ওহিদুর কে শে লোক টাকা অফার করলেন ১ লাখ ! টিকটিকির ওপর এই কয় মাসে মায়া পরে গেলো ওহিদুর ভালো বুঝ তে পরর্ছিল । তার উপর টিকটিক টা কে কেনার জন্য ১ লাখ টাকা ! দেবেন এটা ওহিদুর কল্পনায় করতে পারছিল না । ও বলতে ভুলে গেছি লোক টির নাম( জন ) । হটাৎ করে টিক টিকি টা কিছুই খাচ্চে না ওহিদুর ও খাওয়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু খাচ্চে না । টিকটিকি টা কিছু খাচ্চে না আবার দেওয়াল থেকে এ ও নিচে নামছে না !সাহেব একমাস পূর্ণ হওয়ার আগেই চলে গেলো গাজীপুর ছেড়ে । ওহিদুর ও ১ লাখ টাকা পায়নি। আর টিক টিকি টা ও আগের মত শাকসবজি খাই না আবার আকারেও আখন বাকি ৫ টা টিক টিক এর মত ছোট হয়ে গেছে ।
আর আখন সে সারাদিন দেওয়াল এ ঘুরে হেরাই এবং পোকামাকড় ধরে খাই ।..................