শুভ:- আপনর কাছে কোনটা এটা??
আশা:- Lovely war.
কালো সানগ্লাসটা চোখে দিয়ে গাড়িতে উঠল আশা। গাড়িটা স্টার্ট দিয়ে বেরিয়ে গেল।তবে আশ্চর্যজনক ভাবে সেদিন থেকে ছুটির পর অফিসের বাইরে আর শুভকে দেখতে পায়নি আশা। একটু খারাপ লাগলেও মেনে নেয়।
সব ঠিকঠাকই ছিল। এরমধ্যে কেটে গেছে প্রায় চারটে মাস। শুভর কোনো দেখাই নেই আর। হঠাত একদিন অফিস থেকে বেরোনোর সময় সামনের ল্যাম্পপোস্টের নীচে একটা ছেলেকে মাথা নীচু করে বসে থাকতে দেখে। আশার তো হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে। শুভ নিজেই উঠে আসে ওর কাছে।
শুভ:- কেমন আছেন??
আশা:- ভালো। তুমি ভালো আছো??
শুভ:- হুম।
আশা:- এখানে?? আজ?? এতরাতে??( শুভ পিছন থেকে একটা সার্টিফিকেট বের করে আশার সামনে ধরে। আশা না দেখেও বুঝে গেছে ওটা কীসের সার্টিফিকেট??) পাশ করে গেছ??
শুভ:- হুম।
আশা:- very good. বাড়িতে মা কেমন আছেন??
শুভ:- মা ভালো আছে। কিন্ত আপনি এই রকম ভাবে কথা ঘোরাচ্ছেন কেন??
আশা:- কথা কেন ঘোরাব?? জিজ্ঞেস করছি।
শুভ:- আপনার শর্তটা মনে আছে তো??
আশা:- কোন শর্ত??
শুভ:- চিটিং করছেন কিন্ত আপনি।
আশা:- চিটিং কোথায় করছি??
শুভ:- থাক। ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করতে হবে না। আসছি আমি। (শুভ নিজের পথে চলে গেল।)
আশা:- খারাপ নয় ছেলেটা। তবে রাগ করল কী??
🌼
সেদিন অফিস থেকে একটু দেরিই হয়েছিল বেরোতে। বেরিয়ে যথারীতি শুভর সাথে দেখা হয়েছিল। এরপর নিজের গাড়ি নিয়ে প্রতিদিনের মতোই বাড়ি ফিরছিল আশা। মোবাইলে মহুয়ার সাথে কথা বলছিল। হঠাত গাড়িটা থেমে যায়।কী হয়েছে ভেবে নেমে দেখে টায়ারে পেরেক লেগেছে। রাস্তায় আরো অনেক পেরেক ছড়ানো দেখতে পায় ও। চারিদিকে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পায় না।
YOU ARE READING
পিছুটান
Mystery / Thrillerআশা একজন নামকরা ব্যাবসায়ী। বলতে গেলে নিজের জীবনে অনেক চড়াই উতরাই পার করে সে এই জায়গা পর্যন্ত পৌঁছেছে। কিন্ত হঠাত তার জীবনটা এলোমেলো যায় যখন সে জানতে পারে যে সে মা হতে চলেছে। কারণ একটাই, সে এখনও অবিবাহিত আর এই সন্তানের বাবা কে সে জানে না। রোজ রা...