one

11 0 0
                                    

সকাল সাতটার মতো বাজে, বাহিরে আজ অনেকটাই কুয়াশা পরেছে। নভেম্বর শেষ হতে চললো তাই এখন একটু হলেও শীতের আবেশটা বোঝা যাচ্ছে।

যতই শীত বা ঠান্ডা পরুক না কেন ইয়াশ রোহান ঠিকই রেডি হচ্ছে ইউনিভার্সিটির ক্লাস সময় মতো ধরার জন্য,

চলুন তাহলে ইয়াশ রোহানের একটু পরিচয় দেই।

এই হচ্ছে ইয়াশ রোহান। বয়স ২৫। ইংলিশে অনার্স করছে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি থেকে। স্যার, ম্যাডামদের চোখের মণি। বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। আদর্শ ছেলে।

Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.

এই হচ্ছে ইয়াশ রোহান। বয়স ২৫। ইংলিশে অনার্স করছে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি থেকে। স্যার, ম্যাডামদের চোখের মণি। বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। আদর্শ ছেলে।

যিনি এখন তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু আরশকে ফোন দিতে ব্যাস্ত।
"আম্মু নাস্তা তাড়াতাড়ি দাও,  আরশের বাসায় যেতে হবে" ইয়াশ খাবার টেবিলে বসলো, আরশের ফোনে অনবরত কল দিয়েই যাচ্ছে মাগার ওই ব্যাটা ফোন আর রিসিভ করছে না।

"এই নে," ইয়াশের মা মিসেস হক ছেলেকে খাবার দিয়ে পাশের চেয়ারে বসলেন,

"আরশের বাসায় কেন যাবি?" গ্লাসে পানি ঢালতে ঢালতে জিজ্ঞেস করলেন,

ইয়াশ তার মুখের খাবার শেষ করে উত্তর দিলো,
"ফোন ধরতেছে না, এখন বাসায় গিয়া যদি না ডাকি তাহলে ক্লাস মিস করবে"

"কি যে এক ছেলে, এত বড় হয়েছে শুধু  শরীলেই, বুদ্ধি হয় নাই..যদিও মা বাবা সেপারেট থাকলে তো ছেলে এমন বেপরোয়া হবেই" মিসেস হকের মুখে আরশের জন্য ঘৃণা অনেকটাই বোঝা যাচ্ছে,

ইয়াশ ছোট্ট একটা নিশ্বাস ছাড়লো, গ্লাসের পানি টুকু খেয়ে মাকে বিদায় দিয়ে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে গেলো।
তার মার কাছে আরশের নামে বদনাম শোনা এই প্রথম না আরো অনেকবার শুনেছে কিন্তু সাহস করে কোনো পালটা উত্তর আর দিতে পারেনি।

এখন সকাল সাতটা বেজে পয়তাল্লিশ মিনিট, ইয়াশ তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুর বাসার সামনে দাড়িয়ে কলিং টিপে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই।

হঠাৎ করে সামনের কেচি গেট খুলে একটা আধ ঘুমুন্ত ছেলে ইয়াশের সামনে হাজির,

"কি হইছে এতো সকাল বেলা বেল চাপতাছোস কিয়া" আরশ  হাই তুলতে তুলতে বললো, চোখে মুখে এখনো অঘোর ঘুমের ভাব

কিন্তু সেই ঘুম ভেঙে গেলো মাথায় একটা থাপ্পড় খাওয়ার পর,

"শালা আমি সেই কখন থেইকা তোরে ফোন করতাছি না ফোন রিসিভ করতাছোস, কলিং বেল দিতাছি এইটারো রেসপন্স করোস না, কি মইরা গেসিলি তুই আর এখন বলোস আমি এইনে এতো সকাল বেলা কি করতাছি.. তোর লাশ নিতে আইছি ভার্সিটি নিয়া যাইয়াম" ইয়াশ এক দমে বলে শ্বাস ছাড়লো মুখের এক্সপ্রেশন দেখে বোঝাই যাচ্ছে ক্ষেপে আছে,

"আরে ভাই চ্যাততাছোস কেইল্লিগা, কাল রাতে একটু হাই হইয়া গেছিলাম তাই কিছুই টের পাইছি না। এখন তো টের পাইছি আর তোর বকা খাইয়া ঘুমও উইড়া গেছে তুই খালি ৫টা মিনিট দে আমি রেডি হইয়া এহনি আইতাছি। আয় ভিতরে আয়"

"আরে ভাই চ্যাততাছোস কেইল্লিগা, কাল রাতে একটু হাই হইয়া গেছিলাম তাই কিছুই টের পাইছি না। এখন তো টের পাইছি আর তোর বকা খাইয়া ঘুমও উইড়া গেছে তুই খালি ৫টা মিনিট দে আমি রেডি হইয়া এহনি আইতাছি। আয় ভিতরে আয়"

Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.

এই হচ্ছেন আরশ খান। ২৫ বছর বয়স। সিএসসিতে অনার্স করছে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি থেকে। আর বলতে গেলে... পুরোই ইয়াশের উল্টো।

You've reached the end of published parts.

⏰ Last updated: Nov 27 ⏰

Add this story to your Library to get notified about new parts!

Friends To Lovers [arosh x yash]Where stories live. Discover now