সবাই একটু কষ্ট করে আমার লেখাটি পড়বেন। ভুল-ত্রুটি মার্জনীয় । একটু অন্যরকম করে লিখেছি ,ভালোমন্দ আপনারা যাচাই করবেন দয়া করে কোনো বিরুপ মন্তব্য করবেন না। ভালো না লাগলে এড়িয়ে যাবেন। আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করবেন তার জন্য চিরো কৃতজ্ঞ । ভালো থাকবেন সবাই ।
““অপরাজিতা -নীল””
আয়েশা ইছহাক মুক্তি
২৯/০১/১৯১৭“নীল ”
কেমন আছো? ভালো যে থাকবে তা জানি।
তোমাদের পুকুর পাড়ের শিউলি গাছটা কি
এখনো আছে?
প্রিয় নীল তোমার সে কি আনন্দ, যখন দেখতে
শিউলিতলা ছেয়ে গেছে শিউলি ফুলে।
দৌড়ে চলে আসতে আমাদের বাসায় টেনে নিয়ে যেতে আমাকে । কতো অভিযোগ চিলো তোমার ছুটির দিনে কেনো ঘুমাই।তোমার ময়না পাখি টা কি এখনো বলে ““এই “নিরর্জলা” তুই কি আমার বউ হবি?
নিজের মুখে বলার সাহস ছিলো না তাই ময়না পাখিটা কে শিখিয়ে দিলে।
আচ্ছ তোমাদের তুলতুলিটা কেমন আছে যাকে দেখলে আমার বিষম ভয় হতো কখন আচড় দেয় আমাকে। ওকে ধরতে খোব ইচ্ছে হতো।
তুমি বলতে দেখিস বিড়ালের সাথে তোর বিয়ে দেবো।
এখন ও কি ধোঁয়াটে করো তোমার শোবার ঘর?
প্রথম যে দিন দেখি, রাগে আমি চাচীমণি কে বলে দেই । তারপর পুকুর ঘাটে ডেকে নিয়ে
একটা চড় উপহার দিয়েছিলে । সেটাই ছিলো
তোমার প্রথম স্পর্শ । আজ ও অনুভব করি
মনের অজান্তে হাত চলে যায় গালে।
এরপর অনেক দিন দেখা হয়নি । সজল কে দিয়ে একটা চিরকুট পাটালে”“লিখা ছিলো”
দেখ নিরর্জলা আজই আসবি না হয় শিউলি গাছটা কেটে দেবো। আজ সাত দিন থেকে তোর দেখা নাই কি রকম লাগে বলতো দেখি??আর দেখ আমি একটি সিগারেট ও খাইনি তোর দিব্য দিয়ে বলছি ওই জিনিসে আমি আর হাত ও লাগাবো না।
দেখ ময়নাটার খোব কষ্ট হচ্ছে তোর জন্য টিকমতো খাচ্ছে না । আমার কথা বিশ্বাস না হয় মা কে বলে দেখিস।তুমি তবুও বলতে না তোমার কষ্ট হচ্ছে । আমাকে না দেখে“ থাকা তোমার জন্য কি যে
কষ্টের তা আমি জানি আর জান তো তোমার ময়নাটা।
আচ্ছা তোমার খালাতো বোন শাপলার খবর কি ? ওর সাথে তুমি কেনো এমন আচরণ করতে ? আহারে বেচারি শাপলা। তোমাকে খোব পচন্দ করতো। আর তুমি ওকে দেখলেই ঝাড়ি দিতে। ওতো কোনো আপরাধ করেনি । ভালোবাসা কি পাপ নীল? তাহলে বলবো
তোমার ভালোবাসায় ও পাপ চিলো।
আচ্ছ তোমাদের ভাড়াটে“ হৃদয় ” কি চলে গেছে?
আহারে কি পিটুনি টা দিয়ে ছিলে বেচারা কে।
এখনো আমার হাসি পায় ।
কি এমন বলেছিলো আমার চুলের একটু প্রসংশা করেছিলো, তাই বলে কি এভাবে উত্তম -মাধ্যম দিতে হয় ? এতো হিংসুটে ছিলে তুমি।নিজের মুখে তো একবার ও বলোনি “নিরর্জলা” আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি
শুধু একবার বলে দেখতে,,,,“নীল ”তোমার সাদা পাঞ্জাবিটা এখনো আমার কাছে গচ্ছিত মাঝেমধ্যে ছুঁয়ে দেখি।
জানো আমার এখন আর কান্না আসেনা। তুমি বলতে শ্রীমতী কন্ধন শ্রী । অল্প তে কেঁদে বুক ভাসাতাম।
তোমার সাথে কল্পনায় কথা বলি “নীল” । শিউলি তলায় শিউলি কি এখনো আগের মতো সাদা আর কমলার মিশ্রণে
ফুটে “নীল”?
“নীল”
জানো এখন অন্ধকার কে আর ভয় পাইনা।
বিড়াল কে ও না। “টিকটিকি”?
” না“ নীল ”তা ও না।
আমি বুজতেই পারি না আমার আসপাশে কি
হচ্ছে।
সেদিন মা বলেছিলেন তোমার কোনো খোজ মিলে নি।
রহিম চাচা বললেন তোমাকে সিলেটে রেল লাইনের ধারে দেখেছেন। ময়লা কাপড়চোপড়
এলো চুল একদম পাগলের মতো লাগছে ।
আচ্ছা তুমি কেনো এমন করলে?নিজের হাতে আমাকে অন্যের করে দিলে। দিলে যখন তবে নিজেকে এভাবে শেষ করে দিলে কেনো?“নীল”
তুমি তো মেহেদি পছন্দ করতে না ”বলতে বিদঘুটে গন্ধ ,কিন্তুু জানো আমি এখন মেহেদি পাতার মতো । আমার সব রং ধুয়ে মুছে গেছে সময়ের সাথে। যে কোনো সময় নর্দমায় চলে যাবো অবশিষ্ট মেহেদি পাতা যেমন যায়।“নীল”
ভালোবাসলে তবে কেনো আগলে রাকলে না?
এ কেমন ভালোবাসা ছিলো তোমার?
তুমি জানো নীল চোখ দুটি হারিয়ে ভালো হয়েছে ,যদি কখনো তোমার সাথে দেখা হয়ে যেতো তাহলে আমি তোমার এই হেরে যাওয়া জীবন টা দেখতে পেতাম।
আমি বেঁচে গেছি নীল তোমার সাথে দেখা হলে
তোমার মুখটি দেখতে হবে না।
“নীল” আনেক দিন নীলাভ আকাশ টা দেখা হয়নি। পদ্ম পুকুরের নীল পন্মগুলো ও আর দেখতে পারব না। বৃষ্টির রিনঝিন শোনতে পাই। জীবন আমার সাথে অনেক লুকাচুরি খেলেছে“ নীল”। যেমন খেলেছিলে তুমি।
আমার শ্রুতি টুকু আমার সাতে প্রতারণা করেনি। সব শুনতে পাই ,সাগরের ঢেউ শব্দ ,বাতাসের শুনশান শব্দ ,পাখির কলতান সব শোনতে পাই।
কেউ নেই এখানে -ওখানে
শব্দ আর আমাতে, প্রেম হয় দুজনে।
আমার দিন আমার রাত্রি
প্রহর সবই অনন্দকারের যাত্রী।
দুঃখ শুধু দেখা হবে না চন্দ্রমা
আমি এখন নীলের বিষে নীল প্রতিমা ।
আমি “নিরর্জলা” এক অপরাজিতা
তোমায় ভালোবেসে অপরিণিতা।
“নীল ”তুমি ভালো থেকো শিউলির মতো
কালো মেঘের সাথে ভাসিয়ে দিও ,দুঃখ আছে যতো।ইতি
তোমার অপরাজিতা
““নিরর্জলা”””
♥♥♥স্থান শিউলি -তলা♥♥♥