প্রায় দুই বছর হলো আমার আর
সোনালীর বিয়ে হয়েছে. আমার
স্ত্রী খুবই সুন্দরী. ও পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি
লম্বা. আমার থেকে দুই ইঞ্চি
বেশি. বুক-পাছা খুবই উন্নত. চল্লিশ
সাইজের ব্রা লাগে. ও একটু মোটা.
কিন্তু মোটা হলেও ওর বালিঘড়ির
মতো বাঁকানো শরীর, মোটা
মোটা গোল গোল হাত-পা, বিশাল
দুধ-পাছা আর চর্বিযুক্ত কোমর আর যে
কোনো পুরুষের মনে ঝড় তুলে দেয়. ও
খুব ফর্সা আর ওর ত্বকটাও খুব মসৃন.
ভারী হলেও ওর দেহখানি খুব নরম.
ওকে টিপে-চটকে খুব আরাম পাওয়া
যায়. আমাদের বেশ ভালো ভাবেই
কাটছিল. কিন্তু হঠাৎ একদিন সবকিছু
বদলে গেল.
অকস্মাৎ একদিন সোনালীকে ওর
এক্স-বয়ফ্রেন্ড মোবাইলে কল করলো.
ওর সাথে দেখা করতে চায়.
আমাদের বিয়ের ঠিক আগেই ওদের
সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়. কারণ কি ছিল
জানি না. কোনদিন জিজ্ঞাসাও
করিনি. এটুকু জানতাম যে ওদের
মধ্যে একটা বড় ঝগড়া হয়ে খুব তিক্ত
ভাবে সম্পর্কখানা শেষ হয়েছিল.
সোনালী আমাকে জানালো যে
অমিত ওর সাথে একবার দেখা করে
সেই তিক্ততাটা কাটাতে চাইছে.
তার ইচ্ছা সুন্দর ভাবে সম্পর্কটাকে
শেষ করার. আমার বউও দেখলাম
অমিতের সাথে দেখা করে
সম্পর্কের শুভসমাপ্তি করতে আগ্রহী.
অমিতের সম্পর্কে সোনালী
আমাকে খুব কমই বলেছিল. শুধু এটুকু
জানতাম যে তাকে দেখতে খুবই
সুপুরুষ. লম্বা-চওড়া জিম করা
চেহারা. ওদের সম্পর্কটা খুবই গাঢ়
ছিল. অমিতের চাকরি না পাবার
কারণে ব্রেক-আপটা হয়েছিল.
সোনালীর বাবা একটা বেকার
ছেলের সাথে ওর বিয়ে দিতে
রাজি হলেন না. আমার সাথে ওর
সম্বন্ধ ঠিক হয়ে গেল আর ওদের
সম্পর্কটা ভেঙ্গে গেল. সোনালী
বললো যে দেড় বছর আগে অমিত
বাজারে ধারদেনা করে একটা
ব্যবসা শুরু করেছিল. ভাগ্যদেবী
সুপ্রসন্ন হওয়ায় আজ সেটা ফুলে-
ফেঁপে বেশ বড় হয়েছে. এবার
অমিতের মা ওর ছেলের বিয়ে
দিয়ে দিচ্ছেন. বিয়ে করার আগে
অমিত সোনালীর সাথে একবার
দেখা করে সবকিছু মিটিয়ে নিতে
চায়.
সোনালীকে আমি অনিচ্ছুক ভাবে
অমিতের সাথে দেখা করার
অনুমতি দিয়েছিলাম. আমি স্বভাবত
একটু ঈর্ষাপরায়ণ মানুষ. বউকে কড়া
শাসনে রাখতে পছন্দ করি. আমার এই
স্বভাবের জন্য মাঝেমাঝে
আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়. কারণ
সোনালী একটু উড়তে পছন্দ করে.
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া,
রাতে দেরী করে বাড়ি ফেরা; ওর
স্বভাব. তাই মাঝেমধ্যেই আমাদের
মধ্যে খিটিরমিটির লেগে যায়.
বউকে অনুমতি আমি সহজে দিনি.
অনেক বাছা-বাছা তির্যক সব বাক্য
বিনিময়ের পর যখন দেখলাম এক্স-
বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে
যেতে ও বদ্ধপরিকর, তখন নিরুপায়
হয়ে দিয়েছি.