রিয়া

742 4 3
                                    

আমার নাম রিয়া. আমি কলেজে পড়ি, সেকেন্ড ইয়ারে. এটা আমার নিজের গল্পো। আমরা কুলিন ব্রাম্হন, আমাদের পদবি চট্টোপাধ্যায় , আমাদের   বাড়ি নর্থ বেঙ্গলে, বাড়ি মানে একটা ভাঙা ইঁটের পাঁজা আর আমার মাতাল,জুয়াড়ি বাবা। শুনেছি আমরা নাকি একসময় গ্রামের জমিদার ছিলাম ,এখানকার ৫ খানা গ্রামে আমাদের জমিদারি ছিল একসময় , আমার দাদুর ছিল বিশাল প্রতিপত্তি, এককালে বাড়িতে দোল-দুর্গোৎসৰ হতো , আমার দাদু ছিলেন মাতাল,জুয়াড়ি ,বাবাও তাই ......দাদুর আমল থেকেই ভাঙ্গন শুরু হয়, বাবা সারাজীবন কিছুই করেন নি, সম্পত্তি বেচতে বেচতে আজ  সর্বস্ব খুইয়েছে ,কয়েকবছর আগে মা প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে ,বাবা জুয়া খেলে প্রচুর দেনা করে বসে আছে ,প্রায়ই বাড়িতে পাওনাদাররা আছে, চিৎকার চেঁচামেচি করে বাড়ির আসবাবপত্র টেনে নিয়ে যায় , আমি টিউশানির পয়সায় উচ্চ মাধ্যমিক পাস্ করেছিলাম , তারপর কি হবে জানতাম না। এমন সময় দেবদূতের মতো আসে হাজির হলেন জীবনকাকা ,......

জীবন সাহা, তেলের ঘানি,আড়ৎ ,পাইকারি মুদির দোকান, অগাধ পয়সার মালিক।বাবার কাছে বহু টাকা পেতেন উনি ,লোকটাকে আমার খুব একটা ভালো লাগতো না, ওর লোভী দৃষ্টি দিই সবসময় যেন আমাকে চেটে খেত। যাই হোক ওনার দাক্ষিণ্যেই আমি কলকাতার কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলাম, তখন বুঝিনি , এখন বুঝি, আমাকে    আমি একটা কলেজ স্টুডেন্ট থেকে পাকা রেন্ডি  বানানোই ছিল লোকটার উদ্দেশ্য।
কলকাতায় যখন এলাম বি.এ পড়তে, গার্লস হোস্টেলে উঠতে হলো,জীবনকাকা নিজে এসে আমাকে ভর্তি  করে দিয়ে  গেল।  ক্লাস শুরু হয়ে গেলো, পড়াশোনা করতে লাগ্ লাম। আলাপ করিয়ে দিয়া গেল ওনার পরিচিত এক মহিলার সাথে। আমি ওনাকে বৌদি বলে ডাকতাম, পরে জেনেছিলাম উনি ডিভোর্সি, জীবন কাকার রক্ষিতা বলা যায়।   বৌদির বাড়ি ছিলো আমাদের হোস্টেল থেকে কিছুটা দূরে,জীবন কাকা কলকাতায় এলে বৌদির বাড়িতে উঠতেন, আসলে এই ফ্লাট টা জীবন কাকার ই।  আমি রোজই কলেজ থেকে ফিরে বৌদির বাড়ি যেতে লাগলাম। . বৌদির বাড়িটা ছিলো দো তলা. একতলা তে রান্না ঘর , একটা বসার ঘর আর বাথরুম. আর ওপরে একটাই ঘর ছিলো শুধু .

You've reached the end of published parts.

⏰ Last updated: Jul 11, 2018 ⏰

Add this story to your Library to get notified about new parts!

রিয়াWhere stories live. Discover now