আজ আকাশে চাঁদ উঠেছে ঢাকার চাঁদ টা একটু অন্যরকম হয় কারন ঢাকায় চাঁদের আলো বুঝতে হলে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। চারদিকের নিয়নের আলো যখন বন্ধ হয়ে যায়। তখন চাঁদ তার আলো ঢেলে দেয় পুরো। আজ পথিক চাঁদ দেখবে।
আবারো চা হাতে বারান্দায় ঘড়ির কাটা টিক টিক। ইদানীং পুরনো দেয়াল ঘড়িগুলি দেখা যায় না। ডিজিটাল যুগে অ্যানালগ ঘড়ি না দেখা যাওয়াই বটে তবুও। যখন রাত নির্জন হয়ে আসে তখন দেয়াল ঘড়ি গুলো মনে হতো জীবিত হয়ে উঠেছে। টিক টিক আওয়াজ শুনা যেতো সব ঘর থেকে। পথিক দেয়াল ঘড়িটির দিকে তাকিয়ে, রাত এখন ২ টা কি ২ টা ৫।
পথিকের চোখ পাশের বারান্দায়, রমণীকে দেখে না আজ ৩ দিন। লাজুক টাইপ পথিক তার খোঁজ নিতে গিয়ে বাসার দরজা থেকে ২ বার ফিরে এসেছে। খট!!!! করে আওয়াজ করল বারান্দায় রমণী দাড়িয়ে।
পথিক : কি ছিলেন কোথায় বহুদিন বাদে।
রমণী : ঘরেই ছিলাম, মন ভালো নেই।
পথিক : আচ্চাহ, তো মনের কি জ্বর সর্দি নাকি?
রমণী : নাহ।
পথিক : নাহ, আমাদের প্রতি ঘরেই তো মা নামে ডাক্তার থাকে পেটে ব্যাথা করলেও নাপা, মাথায় ব্যাথা নাপা, জ্বর হইলে নাপা, মোটামুটি সব রোগের প্রথম ওষুধ নাপা।
রমণী : হুম।
পথিক : মন তো বেশিই খারাপ, এক কাজ করেন।
রমণী : কি?
পথিক : ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি নিয়ে মাথায় ঢালবেন না। পায়ে ঢালবেন।
রমণী : উদ্ভট যত কথা আপনার।
পথিক : আহহা ট্রাই করেই দেখুন। কবি বলেছে মাথা গরম হলে পায়ে পানি ঢালতে। তখন মাথা ঠান্ডা হয়।
রমণী : আচ্চাহ, দেখি কি হয়।
পানি নিয়ে রমণী পায়ে ঢালতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর গায়ে শিরশির ভাব আসতে লাগলো একটু গা ছাড়া অনুভব হচ্ছে। বারান্দায় এসে বলল
রমণী : জ্বি, কিছুইতো হলো না।
পথিক : আপনার চোখে সস্তি দেখা যাচ্ছে, মিথ্যা তো বলতে পারেন না।
YOU ARE READING
চাঁদ ও রাত ( ছন্দহীন পথিক - ২ )
Truyện NgắnA fictional story of a stranger named Pothik . He is like Himu but he is not Himu :)